[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
বান্দরবানের রুমায় অগ্নিকান্ডে এক জুমিয়া পরিবারের ঘর ভষ্মিভুতরাঙ্গামাটির লংগদুতে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে আলোচনা সভাখাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় স্কাউটিং বিষয়ক ওরিয়েন্টেশন কোর্স অনুষ্ঠিতখাগড়াছড়ির রামগড়ে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৫ উদযাপনরাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ পালিতপাহাড়ি অঞ্চলে তামাক চাষে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্যইব্রাহিম খলিল বিএনপির একজন নিবেদিত প্রাণ ছিলেন, স্মরণ সভায় নেতৃবৃন্দবান্দরবানে আবুল খায়ের টোব্যাকো কোম্পানির অফিস ডাকাতি, ১ কোটি ৭২ লাখ টাকা লুটবান্দরবানের রুমা কাঠ বোঝাই জীপ দূর্ঘটনায় হেলপারের মৃত্যুএই সরকার মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতে চায়: পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

সরকারি সাহায্য সহযোগিতা থেকে বঞ্চিত

রাজস্থলীতে গ্রামবাসীর চাঁদার টাকায় চলে বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়

৫৯

॥ মোঃ আজগর আলী খান, রাজস্থলী ॥

বিদ্যালয়ে আসে না কোন সরকারি সাহায্য সহযোগিতা। শিক্ষার্থীরা বেশীর ভাগই পড়ছে বিনা বেতনে। শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন ভাতা মেটাতে হিমশিম খেতে হয় বিদ্যালয় পরিচালনা কর্তৃপক্ষকে। রাঙ্গামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলার ১ নং ঘিলাছড়ি ইউনিয়নের খাগড়াছড়ি পাড়া এলাকায় এমন একটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মাণ করলো গ্রামবাসী। বিদ্যালয়ের নাম দেওয়া হল, রাজস্থলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। এ দুর্গম পাহাড়ী এলাকায় আর কোন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় না থাকায় এবং কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বিশেষ করে বালিকাদের কথা চিন্তা করে এটি ২০২০ সালে গ্রামবাসীর চাঁদার অর্থে এবং স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, রাজস্থলী উপজেলার ঘিলাছড়ি ইউনিয়নের গ্রামবাসীর সমন্বয়ে চাঁদা তুলে কোনো রকম এ বিদ্যালয় চলে। তবু ও শিক্ষক – কর্মচারীদের বেতন ভাতা মেটাতে হিমশিমে পড়তে হয় পরিচালনা কমিটিকে। বিদ্যালয়ে বর্তমানে ষষ্ট শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম রয়েছে। শিক্ষার্থী রয়েছে প্রায়, ৫০ থেকে ৬০ জন, শিক্ষক রয়েছেন ৮ জন, ৪ কর্মচারী ও রয়েছেন।

স্থানীয়রা আরো জানান, ২০২০ সালে বিদ্যালয়টি নির্মিত হলে ও আর্থিক সংকটের কারণে মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায়। তবে আবার এলাকাবাসীর সহযোগিতায় পূনরায় চালু করা হয়েছে। এ অবস্থায় বিদ্যালয় কত দিন চালু রাখা যাবে তা নিয়েও সংশয় আছে কর্তৃপক্ষ ও অভিভাবকরা। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হলাচিংথোয়াই মারমা জানান, শিক্ষক – কর্মচারী বেতন – ভাতা ও বিদ্যালয়ের খরচ মেটাতে এলাকার ব্যবসায়ী সহ বিভিন্ন পেশার মানুষ থেকে এখনো সাহায্য সহযোগিতা নেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্টানের সহযোগিতায় প্রতিমাসে তাদের বেতন ভাতা দিতে হয়, তাও সংকটে থাকে। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ২ নং গাইন্দ্যা ইউপি চেয়ারম্যান পুচিংমং জানান, গ্রামবাসীর স্বেচ্ছাশ্রমের এ বিদ্যালয়টি যদি সরকার, বা পার্বত্য চট্রগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড, জেলা পরিষদের কাজ থেকে কোনো সুযোগ সুবিধা পায় তাহলে এ বিদ্যালয়ের কার্যক্রম আরো একধাপ এগিয়ে নেওয়া যাবে।

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর আলম জানান, সরকারি সহযোগিতা পেলে বিদ্যালয়টি আরো শিক্ষার প্রসার ঘটবে, কেন না এ এলাকায় আর কোন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় নেই। ফলে প্রয়োজন সরকারি সহযোগিতা। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান উবাচ মারমা, জানান, আমরা উপজেলা পরিষদের সমন্বয় মিটিংয়ে বিদ্যালয়ের বিষয়ে আলোচনা করে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সুপারিশ প্রেরণ করিব।