সেনা কর্মকর্তা হত্যার প্রতিবাদে রাঙ্গামাটিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
॥ মোঃ আরিফুর রহমান ॥
সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবুর রহমানকে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে রাঙ্গামাটিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ।
বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে একটি মিছিল শুরু হয়ে বনরূপা পেট্রোল পাম্পের সামনে এসে জমায়েত হয়। পরে মূল সড়কেই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বিভিন্ন ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার জনসাধারণ সমাবেশে অংশ গ্রহণ করেন। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কাজী মুজিবুর রহমান।
পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের রাঙ্গামাটি জেলা সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সোলায়মানের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় মহা সচিব মো আলমগীর কবির, রাঙ্গামাটি জেলা সভাপতি মোঃ শাব্বির আহমেদ,সহ-সভাপতি নাদিরুজ্জামান, কাজি জালোয়া, মোঃ সাবের, পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মোর্শেদা আক্তার জেলা সভাপতি সালেহা আক্তার পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সিঃ সহ-সভাপতি মোঃ হাবিব আজম, শরিফা খানম প্রমুখ।
প্রতিবাদ সমাবেশে কেন্দ্রীয় পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটির সভাপতি কাজী মুজিবুর রহমান এঘটনায় জেএসএসকে দায়ী করে বলেন, সন্তু লারমার সন্ত্রাসীরা রুমায় সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবুর রহমানকে হত্যা করেছে। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরেক সেনা সদস্য। সন্ত্রাসীরা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছে, এটি রাষ্ট্রের জন্য হুমকি। এটা কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না।
এসময় অবিলম্বে পার্বত্য এলাকায় সন্ত্রাসীদের আস্তানায় জোরালো অভিযান পরিচালনা করা ও সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাকে যারা হত্যা করেছে তাদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের দাবি জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ২ ফেব্রুয়ারি রাতে বান্দরবানের রুমা উপজেলার বথিপাড়ায় সেনাবাহিনীর টইল দলকে লক্ষ্য করে সন্ত্রাসীরা গুলি চালায়। এ সময় আত্মরক্ষার্থে সেনাবাহিনী পাল্টা গুলি চালায়। সন্ত্রাসীদের গুলিতে সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবুর রহমান নিহত হন এবং মো. ফিরোজ নামের এক সৈনিক আহত হন। পরে ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে তিন সন্ত্রাসীর লাশ উদ্ধার করে সেনাবাহিনী। ঘটনাস্থল থেকে একটি এসএমটি, তিনটি বন্দুক, ২৮০ রাউন্ড গুলিসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।