[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মিয়ানমারের দু’বাহিনীর মধ্যে গোলাগুলি, সতর্ক বিজিবি

১১২

॥ মোঃ মুবিনুল হক মুবিন, নাইক্ষ্যংছড়ি ॥

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সীমান্তের ওপারে ছালিদং পাহাড়ি এলাকাজুড়ে মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষী ও সে দেশের স্বশস্ত্র বিদ্রোহীদের মধ্যে ঘন্টা ব্যাপী গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। ঘটনায় বেশ ক’ জনের হতাহতের খবর পাওয়া গেলেও তাদের নাম ঠিকানা পাওয়া যায় নি। গত শুক্রবার সকাল ৭ টা থেকে প্রায় সাড়ে ৮টা গোলাগুলির ঘটনা ন্থায়ী ছিল। বিজিবি জানান, এ ঘটনার পর থেকে সীমান্তে তারা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন।

সীমান্তের লোকজন জানান, শুক্রবার সকালে অনেকে তখনও বিছানা ছিলেন। আবার অনেকেই ঘুমে। কিন্তু হঠাৎ সীমান্ত থেকে গোলাগুলির শব্দ শুনে তাদের এ ঘুম ভাঙ্গে। বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেষা চেরারকূলের দিদারুল আলম, আমতলীর ফরিদুল আলম, ৬ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার ফরিদুল আলম ও চাকঢালা মহিউচ্ছুন্নাহ দাখিল মাদরাসার শিক্ষক মৌলানা জাফর আলম বলেন, সকাল ৭ টা থেকে প্রচন্ড গোলাগুলির আওয়াজ শুনেন তারা। জানতে পারেন সীমান্তেই এ গোলাগুলি হচ্ছে। বিশেষ করে ৪৪ নম্বর সীমান্ত পিলার এর ১ কিলোমিটার পূর্বে বাংলাদেশের অংশের বড়ছনখোলা-ভেতরের ছড়ার বিপরীতে মিয়ানমারের ছালিদং গ্রামে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।

ওই এলকার একাধিক সীমান্তবাসী জানান, তারা নানা ভাবে জেনেছেন ঘটনায় অন্তত বেশ ক’জন লোক হতাহত হয়েছে। তাদের মধ্যে শিশু ও রয়েছে। তবে কোন সূত্র হতাহতের নাম ঠিকানা জানাতে পারেনি। তবে সীমান্তের এ পয়েন্টের অধিবাসী নাইক্ষ্যছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার ফরিদুল আলম জানান, যেভাবে ফায়ারিং এর ঘটনা ঘটেছে, তাতে বড় কিছু ঘটেছে। সীমান্তের বাংলাদেশী লোকজন আতংকিত হয়ে পড়লেও বিজিবির টহল জোরদার করায় লোকজনের আতংক কেটে যায়।

এ সীমান্তে দায়িত্বরত ১১ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)’র অধিনায়ক লে:কর্ণেল নাহিদ হোসেন জানান, গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে মিয়ানমারের অংশে। যা নিজেদের মধ্যকার বিষয় বলে জানতে পেরেছেন তিনি। তবু তিনি সীমান্তের তার অধীনস্থ অংশ জুড়ে বিজিবি জোয়ানদের সর্বোচ্চ সতর্ক রেখেছেন। আর সার্বিক পরিস্থিতি পযর্বেক্ষেণ করছেন। হতাহতের বিষয়টিও তার জ্ঞাত নয় বলে জানান এ প্রতিবেদককে।