[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
লুটেরার দল আচমকা গন্ডোগোল আবোল তাবোল দল বাঁধাইয়া হগ্গল হাতাইয়া নিতে গোল পাকাইয়াছে, চিন্তায় আছি….দিন-মাস বছর ধরেই অবৈধ দখলে সংকুচিত কাপ্তাই হ্রদ, মুক্ত করতে হবেদেশে বর্তমানে যথেষ্ট খাদ্য মজুদ রয়েছে: উপদেষ্টা আলী ইমামমানুষের জীবন-কর্ম জ্ঞান, মৃত্যু, পুনঃর্জন্ম সবকিছুই ন্যাচারাল: পার্বত্য উপদেষ্টাগৌতম বুদ্ধের ত্রি-স্মৃতি বিজড়িত প্রধান ঘটনাই হলো ‘বুদ্ধপূর্ণিমা’বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে দুর্বৃত্তের আগুনে এক পরিবার খোলা আকাশের নীচেবান্দরবানের লামায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে হাটহাজারী যুবকের মৃত্যুখাগড়াছড়ির দীঘিনালায় গৌতম বুদ্ধের জন্ম, বুদ্ধত্ব লাভ ও মহাপরিনির্বাণ উপলক্ষে মঙ্গল শোভাযাত্রাবান্দরবানের রুমায় অগ্নিকান্ডে এক জুমিয়া পরিবারের ঘর ভষ্মিভুতরাঙ্গামাটির লংগদুতে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে আলোচনা সভা
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়

বান্দরবানের লামায় হদিস নেই ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিনের

৪৩

॥ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ॥

বান্দরবানের লামা থেকে গিয়াস উদ্দিন (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে গভীর রাতে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার রাত ৪টায় লামা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড বড় নুনারবিল পাড়াস্থ নাজমা বেগমের ভাড়া বাসায় এই ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছে।

নিখোঁজ গিয়াস উদ্দিন কক্সবাজার জেলা পেকুয়া উপজেলার বার-বাকিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড আবাদিঘোনা এলাকার নন্না মিয়ার ছেলে। তিনি লামা বাজারে মাছ-সবজির ব্যবসা করত ও বড় নুনারবিল এলাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন।

নিখোঁজের বিষয়ে গিয়াস উদ্দিনের পরিবার অনেক খোঁজাখুজি করে কোন হদিস না পেয়ে লামা থানার সহযোগিতা কামনা করে। নিখোঁজ গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী জুবাইদা বেগম (৩৫) বলেন, আমরা লামা পৌরসভার বড় নুনারবিল পাড়ায় নাজমা বেগমের বাড়িতে ভাড়া থাকি। আজ শুক্রবার ভোররাত অনুমান ৪টায় আমার স্বামীকে ঘুম থেকে কয়েকজন লোক ডেকে বলে যে, বাহিরে আসার জন্য। আমার স্বামী বাসা থেকে বের হতে না চাহিলে বলে যে, আমরা লামা থানা থেকে এসেছি। পরবর্তীতে আমার স্বামী প্রচন্ড শীতে কাপড় পড়ে বের হলে তাকে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে তাদের সঙ্গে করে নিয়ে যায়। আমার স্বামীর সাথে থাকা মোবাইল ফোনটিও বন্ধ করে দেয়। যাহার ফোন নং- ০১৮৭১৭২৪৫৬৪, ০১৮১০২৪৫৬১৮। তারা আমাকে সকাল ১০টায় লামা থানায় যোগাযোগ করার জন্য বলে। আমি সকাল ৭টা, ৮টা এবং ১০টার সময় থানায় যোগাযোগ করি।

যোগাযোগ করে দেখা যায় যে, লামা থানায় আমার স্বামীকে আনা হয়নি। আমি আমার আগের বাড়ি পেকুয়া ও চকরিয়া থানায় যোগাযোগ করি। বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করে কোথাও খোঁজে না পাওয়ায় আমরা চিন্তিত হয়ে পড়েছি। আমরা অজ্ঞাতনামা আসামী করে লামা থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

নিখোঁজের বর্ণনাঃ উচ্চতা অনুমান ৫ ফুট ২ ইঞ্চি, মুখমন্ডল- হালকা গোলাকার, গায়ের রং- শ্যামলা, পরণে ছিল- গেঞ্জি, শীতের জেকেট ও প্যান্ট, চুলের রং কালো, সে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে। শারীরিক গঠন-চিকন।

এই বিষয়ে কথা হয় লামা থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শিবেন বিশ্বাসের সাথে। তিনি বলেন, লামা থানা পুলিশ তার বাসায় যায়নি, বিষয়টি আমরা জানিনা। নিখোঁজ গিয়াস উদ্দিনের পরিবারের লোকজন তার খোঁজে থানায় আসেন। তাদেরকে সাধারণ ডায়েরি লিখে নিয়ে আসতে বলা হয়েছে।