[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর সদস্যরা বৈষম্যের শিকার এটা সত্য কথা: রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসকবান্দরবানে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক এর প্রতিষ্ঠাতা তপন জ্যোতি’র ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী পালনরাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলার করল্যাছড়ি ব্রিজ ভেঙ্গে যেতে পারে পড়ার যে কোন সময়খাগড়াছড়ির দীঘিমালায় হর্টিকালচার সেন্টার’র চাষীদের মাঝে চারা বিতরণবান্দরবানের আলীকদমে ইয়াবা সেবন, কৃষক দলের সভাপতি আলম সহ আটক ৪খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় তামাক চুল্লিতে আগুন, ব্যাপক ক্ষতিবাঘাইছড়ির মারিশ্যা ২৭ বিজিবি’র উদ্যোগে বিদ্যালয়ে নগদ অর্থ প্রদানবান্দরবানের রুমার মুনলাই পাড়ায় অসহায়দের জন্য সেনাবাহিনীর চিকিৎসা সেবা প্রদানখাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়িতে তরুণী ধর্ষণ ঘটনায় আটক ২ জন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতানায়েক রাসেলের গুড সার্ভিস পুলিশ ব্যাজ ও সনদপত্র অর্জন
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

অধিকাংশই শিশু শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে

খাগড়াছড়ি জেলার দুর্গম এলাকায় মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংকট

৭৬

॥ দহেন বিকাশ ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি ॥

খাগড়াছড়ির বিভিন্ন উপজেলার দুর্গম অঞ্চলে নেই কোন মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এতে প্রাথমিক স্তর পেরোতেই ঝড়ে পড়ছে বেশির ভাগ শিক্ষার্থী। জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৮কি.মি দূরে তৈকাথাং মৌজা। এতে প্রায় ১০টি গ্রামের ৪০০ পরিবারের বসবাস। দুর্গম এলাকায় অবকাঠামো সুবিধা না থাকায় নেই কোন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। একটি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও সেটা তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত। এ স্কুলেরও বেহাল অবস্থা। শিশুদের জন্য নেই বসার স্থান, নেই অবকাঠামোগত সুযোগ সুবিধা। জেলায় সব দুর্গম এলাকাতেই প্রায় একিই চিত্র। মাধ্যমিক বিদ্যালয় না থাকায় কোন রকমেই প্রাথমিক গন্ডি পেরোলে বন্ধ হয়ে যায় পড়াশোনা।

স্থানীয় তৈকাথাং আশা হফ্নুং বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি রাজেন্দ্র ত্রিপুরা জানান, প্রায় ৭-৮কি.মি দূরে মাটিরাঙ্গা বাজারের হাইস্কুলে গিয়ে লেখাপড়া করতে হয়। শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য কাজ ‘শিক্ষা উন্নয়ন সংস্থা’র সমন্বয়ক নবলেশ্বর ত্রিপুরা লায়ন বলেন, দুর্গম এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না থাকার কারণে অধিকাংশই শিশু শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ কারণে যার যার এলাকায় অন্ততঃ প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করা দরকার। খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার দুর্গম এলাকায় সঠিক জরিপ চালিয়ে মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছেন সুবিধাবঞ্চিতরাও।

খাগড়াছড়ি জেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা উত্তম খীসা বলেন, যে সমস্ত এলাকাগুলো দুর্গম সেখানে যদি শিক্ষানুরাগী ও সচ্ছল ব্যক্তিরা যদি স্কুল প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসে, তাহলে পরবর্তীতে সরকারের তরফ থেকে অবকাঠামো উন্নয়ন, শিক্ষক প্রদান, শিক্ষকদের বেতন-ভাতার জন্য এমপিওভুক্তি এগুলো ব্যবস্থা করা হয়। এর আগে প্রথমে স্থানীয় পর্যায়ে ভূমিদাতা ও শিক্ষানুরাগীদের এগিয়ে আসতে হবে মন্তব্য করেছেন তিনি।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, দশ (১০) কিঃমিঃ ভিতরেও হাই স্কুল নেই এমন জায়গা আছে। সেই প্রেক্ষিতে মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে তালিকা করতে হবে। তালিকা অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট একটি দূরত্বের ব্যবধানে বাচ্চারা যেন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা দুটোটেই যেন সুযোগ পায়, সেজন্য অবকাঠামো উন্নয়নে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ও পার্বত্য জেলা পরিষদকে অবহিত করতে হবে। পার্বত্য জেলায় দুর্গম এলাকায় মাধ্যমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে বিশেষ প্রকল্প ও অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন সংস্থাগুলোকেও দায়িত্ব নেওয়ার আহবান জানান তিনি।