[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

অধিকাংশই শিশু শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে

খাগড়াছড়ি জেলার দুর্গম এলাকায় মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংকট

৭৫

॥ দহেন বিকাশ ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি ॥

খাগড়াছড়ির বিভিন্ন উপজেলার দুর্গম অঞ্চলে নেই কোন মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এতে প্রাথমিক স্তর পেরোতেই ঝড়ে পড়ছে বেশির ভাগ শিক্ষার্থী। জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৮কি.মি দূরে তৈকাথাং মৌজা। এতে প্রায় ১০টি গ্রামের ৪০০ পরিবারের বসবাস। দুর্গম এলাকায় অবকাঠামো সুবিধা না থাকায় নেই কোন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। একটি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও সেটা তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত। এ স্কুলেরও বেহাল অবস্থা। শিশুদের জন্য নেই বসার স্থান, নেই অবকাঠামোগত সুযোগ সুবিধা। জেলায় সব দুর্গম এলাকাতেই প্রায় একিই চিত্র। মাধ্যমিক বিদ্যালয় না থাকায় কোন রকমেই প্রাথমিক গন্ডি পেরোলে বন্ধ হয়ে যায় পড়াশোনা।

স্থানীয় তৈকাথাং আশা হফ্নুং বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি রাজেন্দ্র ত্রিপুরা জানান, প্রায় ৭-৮কি.মি দূরে মাটিরাঙ্গা বাজারের হাইস্কুলে গিয়ে লেখাপড়া করতে হয়। শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য কাজ ‘শিক্ষা উন্নয়ন সংস্থা’র সমন্বয়ক নবলেশ্বর ত্রিপুরা লায়ন বলেন, দুর্গম এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না থাকার কারণে অধিকাংশই শিশু শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ কারণে যার যার এলাকায় অন্ততঃ প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করা দরকার। খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার দুর্গম এলাকায় সঠিক জরিপ চালিয়ে মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছেন সুবিধাবঞ্চিতরাও।

খাগড়াছড়ি জেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা উত্তম খীসা বলেন, যে সমস্ত এলাকাগুলো দুর্গম সেখানে যদি শিক্ষানুরাগী ও সচ্ছল ব্যক্তিরা যদি স্কুল প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসে, তাহলে পরবর্তীতে সরকারের তরফ থেকে অবকাঠামো উন্নয়ন, শিক্ষক প্রদান, শিক্ষকদের বেতন-ভাতার জন্য এমপিওভুক্তি এগুলো ব্যবস্থা করা হয়। এর আগে প্রথমে স্থানীয় পর্যায়ে ভূমিদাতা ও শিক্ষানুরাগীদের এগিয়ে আসতে হবে মন্তব্য করেছেন তিনি।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, দশ (১০) কিঃমিঃ ভিতরেও হাই স্কুল নেই এমন জায়গা আছে। সেই প্রেক্ষিতে মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে তালিকা করতে হবে। তালিকা অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট একটি দূরত্বের ব্যবধানে বাচ্চারা যেন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা দুটোটেই যেন সুযোগ পায়, সেজন্য অবকাঠামো উন্নয়নে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ও পার্বত্য জেলা পরিষদকে অবহিত করতে হবে। পার্বত্য জেলায় দুর্গম এলাকায় মাধ্যমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে বিশেষ প্রকল্প ও অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন সংস্থাগুলোকেও দায়িত্ব নেওয়ার আহবান জানান তিনি।