[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

সেতু নিমার্ণে শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের পথে আরো একধাপ এগিয়ে গেলাম : প্রধানমন্ত্রী

৬৯

॥নিজস্ব প্রতিবেদক॥

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রাঙ্গামাটি নানিয়ার উপজেলার চেঙ্গী নদীর উপর দীর্ঘ ৫০০ মিটার সেতু নিমার্ণ হওয়ায়, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনগণের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন-প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। এ সেতু নিমার্ণের মধ্য দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের পথে আরো একধাপ এগিয়ে গেলাম।

বুধবার সকালে ঢাকা বঙ্গভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্স মাধ্যমে উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাঙ্গামাটি জেলার সদর সাথে প্রত্যেকটি উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে সহযোগ যাতে থাকে,সেই পরিকল্পনা নিয়ে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাঙ্গামাটি জেলা থেকে চট্টগ্রাম সহ বিভিন্ন জেলা যোগাযোগ সহজতর করতে, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটাতে এবং উৎপাদিত পণ্য যাতে সহজে বাজারজাত করতে পারে, সেই বিবেচনা করে সড়ক এবং নানিয়ারচর চেঙ্গী নদীর উপর এ সেতু নিমার্ণ করা হয়েছে। এতে বিভিন্ন উপজেলার সাথে যোগাযোগ স্থাপিত হবে এবং ব্যবসা-বাণিজ্যে আরো বেশি অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে।

তিনি আরো বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের সর্ব বৃহৎ এ সেতুটি নিমার্ণের মাধ্যমে রাঙ্গামাটি জেলা সদরের সাথে নানিয়ারচর উপজেলার নিরবিছিন্ন সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হলো। যা ভবিষ্যতে লংগদু উপজেলা হয়ে মাইনী নদীর উপর দুইটি দীর্ঘ সেতু নিমার্ণের মাধ্যমে মারিশ্যা পর্যন্ত বিস্তৃতি লাভ করবে। এর ফলে পার্বত্য অঞ্চলের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ, প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রাণ সঞ্চার এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের পথে আরো একধাপ এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।

৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনষ্ট্রাকশন ব্রিগেড এর অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, কর্ণেল মুহম্মদ সাইফুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতায় নানিয়ারচর সেতু আলোর মুখ দেখেছে। ভবিষ্যতে লংগদু হয়ে বাঘাইছড়ির মারিশ্যা এবং সাজেক পর্যন্ত সড়ক নিমার্ণের পরিকল্পনা হচ্ছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, রাঙ্গামাটি আসনের সংসদ সদস্য ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার,কক্সবাজার-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ জাফর আলম, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, রাঙ্গামাটি রিজিয়নের কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ইমতাজ উদ্দিন,পিএসসি, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী প্রমূখ।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে ১ নভেম্বর এই প্রকল্পের নিমার্ণ কাজের শুভ সূচনা হয়েছিল। ২০২২ সালের ১২ জানুয়ারি প্রকল্পটি উদ্বোধন করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নানিয়ারচর সেতুটি নিমার্ণ করার মাধ্যমে অত্র অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এবং পর্যটন শিল্পের সাথে নিরবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থার একটি নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়।