‘রাঙ্গামাটিতে দুই মুক্তিযোদ্ধার নামে দু’টি সেতু নামকরণ করা হবে’
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
রাঙ্গামাটিতে দুইজন বীর মুক্তিযোদ্ধার নামে দু’টি সেতুর নামকরণ করা হয়েছে। এগুলো হলো-রাঙ্গামাটি শহরের রিজার্ভ বাজার এলাকাস্থ জুগুলুক্যা পাহাড় বা পুরানবস্তি সেতুর নাম পরিবর্তন করে “বীর মুক্তিযোদ্ধ মোজাফফর আহমদ তালুকদার সেতু” এবং আসামবস্তি হতে ব্রাক্ষনটিলা সেতুর নাম পরিবর্তন করে “বীর মুক্তিযোদ্ধা লাল বাহাদুর ছেত্রী সেতু” নামে নামকরণের প্রশাসনিকভাবে অনুমোদিত বিষয়টি আলোচনা করেছেন,পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা।
বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে খাগড়াছড়ি ইউনিট কার্যালয়ের সম্মেলন সভা কক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালনা বোর্ড এর ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের ২য় সভায় এ তথ্য জানান তিনি।
এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস-চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল আলম চৌধুরী (অতিরিক্তসচিব), ইফতেখার আহমেদ (যুগ্মসচিব) সদস্য প্রশাসন, মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ (উপসচিব), সদস্য বাস্তবায়ন; খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের প্রতিনিধি বিপুল ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ^াস, রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, বান্দরবান পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি উপস্থিত ছিলেন।
চেয়ারম্যান জানান, রাঙ্গামাটি শৈল বিপনী বিতানের ভাড়া আদায়ের জন্য সংশ্লিষ্ট দোকানদারদেরকে পত্র প্রেরণ এবং বকেয়া ভাড়া আদায়, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড তহবিল সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, উঁচুভূমি বন্দোবস্তীকরণ প্রকল্প, তিন পার্বত্য জেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র ঘরে ঘরে সোলার বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন (বিনামূল্যে সোলার বিতরণ), পর্যটন শিল্প বিকাশে তিন পার্বত্য জেলার বিভিন্ন ভিউ পয়েন্ট নির্মাণ ও পর্যটকদের সুবিধার জন্য রাস্তা নির্মাণ, পানি রিজার্ভার নির্মাণ, শিক্ষা সম্প্রসারণ, কৃষি, পানীয়জল সরবরাহকরণ ও যোগাযোগ খাতকে অগ্রাধিকার প্রদান, তিন পার্বত্য জেলায় হেডম্যান কার্যালয় নির্মাণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক আয়োজিত শেখ রাসেল স্মৃতি নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানটি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো ব্র্যান্ডিং হিসেবে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন, প্রাকৃতিক পরিবেশের বিরুপ প্রতিক্রিয়া পরিহারের জন্য বেশি পরিমাণে বৃক্ষ রোপন এবং পাথর উত্তোলন বন্ধের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
তিনি আরো জানান, প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে এবং উপকারভোগী নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোন প্রকার ওভারলেপিং যেন না হয়, কোন প্রকল্পের ১ম পর্যায়ের কাজ যদি ভালোভাবে বাস্তবায়ন করা যায় ২য় পর্যায়েও যেন ভালোভাবে সমাপ্ত করা যায় এবং যে সমস্ত এলাকায় পানি সমস্যা রয়েছে সেই সব এলাকার পানি সমস্যা দূরীকরনে প্রকল্প গ্রহণ করে দ্রুত সমস্যা নিষ্পত্তি করা হবে
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক বাস্তবায়িত সোলার প্রকল্পের আওতায় উপকারভোগী নির্বাচনের সময় উপজলো পরিষদ এবং ইউনিয়ন পরিষদের সাথে সমন্বয় করলে কাজের ওভারলেপিং হবে না মর্মে পরামর্শ দেন।
বান্দরবান পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেন, বান্দরবান সদরে অবস্থিত জেলা স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন করে বান্দরবানের বীর বিক্রম এর নামে নামকরণের বিষয় প্রস্তাব করেন। তিনি জানান যে, হারিয়ে যাওয়া লোকজ সংস্কৃতিগুলো পুনরুজ্জীবিত করার জন্য বান্দরবান জেলা প্রশাসন পক্ষ থেকে লোকজ উৎসব এর আয়োজন করা হবে এবং বান্দরবানের পর্যটন শিল্প বিকাশের লক্ষ্যে নীলাচল স্পটে ১৬ই ডিসেম্বর এর পরবর্তী সময় হতে পর্যটন মৌসুমে প্রতি সপ্তাহে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করবে এক্ষেত্রে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতা কামনা করেন।