খাগড়াছড়িতে বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও জয়িতা সংবর্ধনা
॥ খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি ॥
নারী জাগরণে ও নারীর অধিকার আদায়ের আন্দোলনে বেগম রোকেয়ার ভূমিকা অবিস্মরণীয়। বেগম রোকেয়ার মতো মহিয়সী নারীদের অসীম পরিশ্রম ও ত্যাগের কারণেই নারীরা জ্ঞান-বিজ্ঞান, শিক্ষা-দীক্ষায় অনেক অগ্রসর হচ্ছে। তাই নারীদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে বেগম রোকেয়ার অবদান জাতি চিরদিন স্মরণ রাখবে।
বৃহস্পতিবার(৯ডিসেম্বর) সকালে খাগড়াছড়ি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘বেগম রোকেয়া দিবস’ উপলক্ষে আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভারত প্রত্যাগত শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, এদেশের নারী জাগরণের অগ্রপথিক ছিলেন বেগম রোকেয়া। তিনি আজীবন নারীদের অধিকারের জন্য সংগ্রাম করে গেছেন।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার অধিকার বঞ্চিত নারীদের শিক্ষার জন্য তিনিই সর্বপ্রথম সচেতন করে তুলেছিলেন। তার জন্যই নারী সমাজ শিক্ষাসহ সবক্ষেত্রে সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে।
রোকেয়ার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে শিক্ষা-দীক্ষায় আলোকিত হয়ে দেশ গড়ার কাজে আজকের নারীদের অবদান রাখার আহবান জানান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।
আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান ক্রইসাঞো চৌধুরী প্রমুখ। এসময় সহকারী শিক্ষক প্রতিভা ত্রিপুরার সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মহিউদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সফল জননী নারী হিসেবে ইন্দিরা দেবী চাকমা, অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী হিসেবে নিপু ত্রিপুরা, নির্যাতনে বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করেছে যে নারী আমেনা আক্তার, সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় নমিতা চাকমা, শিক্ষা ও চাকুরির ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী হিসেবে মাচিচিং মারমাকে জয়িতা হিসেবে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, বেগম রোকেয়া ১৮৮০ সালের ৯ ডিসেম্বর রংপুর জেলার মিঠাপুকুরের পায়রাবন্দ গ্রামের জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৩২ সালের ৯ ডিসেম্বর তিনি ইন্তেকাল করেন।
নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে বৃহস্পতিবার সারা দেশে বেগম রোকেয়া দিবস পালিত হচ্ছে।