পাহাড়ী দাদুর দুরবীণ হইতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মা’র নিকট খোলা চিঠি-৫৫
বুট-বাদাম বেপারী পাখী, রিক্সা মেকনিক গফুরও কুটিপুতি,মাথা ঠান্ডা রাখিয়া কিছু জবাব দিতে হইবে
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মা’ পত্রের শুরুতেই আমি পাহাড় চুড়া, টিলা-নালার অভাগা, পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুব লাঠি দ্বারা চলিত পাহাড়ী দাদুর হাজার কুঠি আদাব, নমস্কার ও সালাম গ্রহন করিবেন। আশা করি মহান সৃষ্টি কর্তার অপার কৃপায় সোনার বাংলার প্রায় দেড় ডজন কুঠি মানুষ অ-মানুষ লইয়া আপুনি কোন রকুম দিন যাপন করিতেছেন। আমিও নানান চরিত্রের অবাধ্য জীবানু করোনা-১৯’র অত্যাচার, তিন পাহাড়ী জেলার ষোল লাখের অধিক নর-নারী লইয়া পাহাড়ের তলায়, নালায়, চিপায়, কাপ্তাই হ্রদের ধারে, উপরে টং বানাইয়া, জানপরান হাতে লইয়া, মুক্তিপন আর চাঁন্দা দিয়া, মাথা ফাঠাইয়া, ব্রাশ ফায়ার খাইয়া, ষড়যন্ত্রের জেল খাটিয়া, লুটপাঠ আর ঠেলা গুতোর পাহাড় পর্বতে গড়াগড়ি করিয়া, খাইয়া না খাইয়া কোন রকুমের বাঁচিয়া থাকিয়া এই পোড়াকপাইল্লা, অধম, হতভাগা, বেকুব পাহাড়ী দাদুর ভাঙ্গা দুরবীণ হইতে আপুনার দরবারে কিছু জানাইতে, পাহাড় পর্বত লইয়া ভাবিতে, ভাবাইতে, আগাইতে, ফাঁফিয়া, হাঁপিয়া, কাঁপিয়া, আইজ পর্যন্ত ৫৫ নম্বর চিঠিখানা লিখিয়াছি। মা’গো দয়া করিয়া পাহাড়ের এই অভাগা পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুব দাদু’র খোলা চিঠিখানা আপুনি একটু সময় দিয়া পড়িবেন, পাহাড় নিয়া ভালামন্দ বিচার বিশ্লেষণ করিবেন, আগাইবেন, হ¹ল দিক ঠিক রাখিয়া সুক্ষ্ম চিন্তায় পাহাড় শাসনের সুক্ষ্ম ব্যবস্থাপত্রও বানাইবেন।
শ্রদ্ধেয় মমতাময়ী, রাজনৈতিক বিজ্ঞ, অকুতোভয় শাসন কর্তা, বিশ^ নেতা মা’জননীগো এই অভাগা পাহাড়ের চুড়ায় থাকিয়া পাহাড় সমতল হ¹ল কোনার বার্তা লইয়া আপুনার দরবারে প্রতি এক পক্ষে লিখিয়া যাইতেছি, তয় মা’গো দূর্বিফাঁকে পড়িয়া মইধ্যে মইধ্যে চোখে ঝাপসাও দেখি পক্ষও অপক্ষে গড়াইতেছে। মা’রে পার্বত্য চট্টগ্রামেও আধিপত্য, চাঁন্দাপথ্য, ঘায়েলপথ্য, দখলপথ্যসহ নানান অপকর্মপথ্যের বিস্তার লইয়া বহুতে দৌঁড়াইতেছে আবার সন্ত্রাসীরাও বন্দুকের নলায় খালি ফটর ফটর করিয়া মানুষ মারিতে ওস্তাদ। পর্বতের বহু ওস্তাদের দলাদলী বলাবলি লইয়া জীবন সাঙ্গের গননায় যোগই হইতেছে। ক’দিন বিরতি থাকিয়া আবার ঢুঁস করিয়া ফুটায়। চরম নরম ভক্তের অধিকারী সন্ত্রাসীগোর লাগাতার অত্যাচারে অসহায় দাদু-দিদিরা পিষ্ট হইতেই আছে, বৈদ্য ওজাতেও ফলাফল শুন্য। অভাগারা রাইত দিন সৃষ্টিকর্তারে জবিতে জবিতে, চোখের জল ফালাইতে ফালাইতে, বুক চাপড়াইতে-চাপড়াইতে জানপরান হেই আছে হেই নাই। উপরে করুনাময় সৃষ্টিকর্তারে, নীচে আপুনি মমতাময়ী, অকুতোভয় শাসন কর্তা, বিশ^ নেতা’র দরবারে খালি মিনতি জানাইতেছে। যাউ¹া, এইবার পর আলোচনা-সমালোচনা হইলো….
মা’জননীগো, ইউনিয়ন পুরিষ নির্বাচন লইয়া দেশের সমতলের মতন পাহাড়েও লাট্টালাট্টির ঘটনা ঘটিয়াছে। তয় নেতৃত্বের শুরুর চেয়ার লইয়াও যদি এইভাবে গোলাগুলি, মাইরপিট হইতে থাকে বড় চেয়ার লইয়াতো বুজিয়া উঠিবার আগেই মাইর চলিবে। ক্ষেমতারে ললিপপ ভাবিয়া পাহাড়েওতো কে কারে লটকাইবে, পটকাইবে, ছিটকাইবে এইসব চলিতেছে। বহুতেতো পুরিস্থিতিরে চুইংগামের মতন টানিয়া লম্বা করিতে চালইন চালাইতেছে। মাদার ডিস্ট্রিক্টের নেতার চরিত্র লইয়া যুবলীগরে ডুবাইয়াছে। তাইনেরাতো খালি নিজেগোর পকেট ভর্তি করিতেছে। চরিত্রহীন ঐ নেতারে বাঁচাইতে তাইনের বহুত নেতা নাকি ঢাকার পার্টি আফিসে দেন দরবার করিতেছে। যুবলীগের বহুতে কহিলো ফষ্টিনষ্টি করিয়া শেষে ঐ নেতা দিদিরে কবুল করিয়া এ দফায় বাঁচিয়াছে। তয় লম্পট এই নেতার নাকি আরো বহুত কূকীর্তি। তম মা’রে তিন পাহাড়ের আনাচে কানাচে দলের প্রকৃত নেতা বাঁচাই করিতে চিরুনী চালাইতে আপুনারে ফরমায়েশ করিতেছে। পাহাড়েও কিশোর গ্যাংকও বাড়িয়াছে। তিন পাহাড়ের উন্নয়নে ভালো করিয়া নজর দেন সুনাম কার কতঠুকু তারও হিসাব লন। পাহাড় ঘুচাইতে না পারিলে আগামীর আসনতো চিন্তায় পতিত হইবে।
মা’গো নতুন করিয়া দেশের দাদু-দিদিগোরে চটাইয়া দিয়াছে বলিয়া মনে হইতেছে। বনানীর এক হোটেলে কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী ধর্ষণ ঘটনার মামলার রায়ে আসামীগোরে খালাস এর পাশাপাশি ধর্ষণ ঘটনার ৭২ঘন্টার মইধ্যে পুলিশকে মামলা না নেয়ার আদেশে দেশের দাদু-দিদিরাতো ক্ষেপিয়াছে। আসামীরাও কিভাবে খালাস পায় তা লইয়াও কুইশান তুলিতেছে। প্রকাশিত ধর্ষণ ঘটনাতো আমাগো সভ্য সমাজেরও ক্ষতি হইয়াছে। আলোচিত সিনহা হত্যা পরিকল্পিত তদন্ত কর্তার স্বাক্ষী। সীমান্তে হত্যাকান্ড ঘটিবে না কহিলেও হেই অঘটন আদো ঘটিতেছে। দেশের পৌসভাগুলোতে জন্ম নিবন্ধন করিতে নাকি জনমের ভোগান্তি হইতেছে। নোয়াখালীতে তিন ব্যাংক কর্তার ৩১ বছর জেল বাকীদেরও ধরিতে হইবে। মাদক কারবার লইয়া বুট-বাদাম বেপারী পাখী, টেকনাফের রিক্সা মেকনিক গফুরও নাকি কুটিপুতি। আমাগো স্বরাষ্ট্র দাদুর জিরো টলারেন্স ঘোষনার হেতু কি।
মা’গো নিষেধাজ্ঞার পরেও দুর্নীতিবাজরা দেশ হইতে পলায়ন করিয়াছে হাইকোর্ট প্রশ্ন তুলিয়াছে। নির্দেশ অমান্যকারীগোর বিরুদ্ধে নির্বাহী ব্যবস্থা লওনের আদেশ করিবেন। রাজবাড়ীতে নৌকা প্রতিক পাইয়া তিন ঘন্টার মইধ্যে লতিফ মিয়ারে হত্যার তল্পীতল্পা বাহির করেন। শাহীন দাদু কহিলো নরসিংদীতে বারশ পুরিবার গ্রাম ছাড়া হইয়াছে। আমামীলীগের ঘরের কোন্দলে বহুতে পরপারেও যাইতেছে। হল ছাড়ার ঘটনা লইয়া ঢাবিতেও তলে তলে বহুত আকাম হইতেছে। দলেতো ভিন দলের বহুতে স্থান করনের কারনে ঘরে ঘরে আগুন জ্বলিতেছে। এক আসামী ফাঁসির সেল হইতে ফিরিয়া আসা পিলে চমকানোর মতনই ঘটনা হেইখানেতো সত্যরে মিথ্যা করিয়াছে। সাবেক প্রধান বিচারপতির কারাদন্ড কেমুন কেমুন লাগিতেছে।
মা’রে দেশের উন্নয়ন বিরোধী চক্রতো চাঁটের মতন। দলের এমপি, মুন্ত্রী, কর্তাগোর পিএস,সিএসরা বেশ খোশ মেজাজে। সুযোগ পাইলেই অন্যগোরে চুষিয়া খাইতেছে। ইউপি নির্বাচন লইয়া দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা তলে তলে নাকি ঠকিয়াছে। এই পিএস,সিএস বাহিনীর পিছনে গুরিন্দা দেন। কানাঘুষো করিতেছে বহুতে তলে তলে কালো টাকার মালিক বনিতেছে। তয় রক্তচোষা জোঁকের দল বধ্ করিতে সজাগ থাকিতে হইবে। অর্থ পাচারকারী লুটেরার দল কি দেশের অর্থনীতির কোমড় ভাঙ্গনের পুতিযুগিতায় নামিয়াছে। যশোর শিক্ষাবোর্ডেও আড়াইকুটি নাই হইয়াছে। লুটেরার দল আঁট-ঘাঁট বান্ধিয়া লাইন ধরিয়া লুট চালাইতেছে। রাজনীতিতো অর্থ আর পেশী শক্তিতে বন্ধী হইতেছে। মা’জননী, চোরের দল ডিজিটালরে আকামে ব্যবহার করিয়া ই-কমার্স চালাইয়া রাতারাতিই দাদু-দিদিগোর কুটি কুটি টাকা ফুরুত। নানান কিচিমের ফন্ধি আঁটাইয়া অসহায়গোর হাজার হাজার কুটি টাকা নাই। গ্রামীণ ব্যাংকও নাকি সাতষট্টি কুটি টাকা ফাঁকি মারিয়াছে। রেলের টাকাও লুট হইতেছে। ঢাকার মাদককারবারীর সংখ্যা দেখিয়াতো বহুতে চমকিয়া উঠিতেছে। রোহিঙ্গ্যা ক্যাম্পে কঠোর নজর রাখিতে আদেশ করেন। ই-কমার্সের কাইজ কামেতো মনে হইতেছে আইনও নাই ফাইনও নাই অবস্থা।
মা’গো আপুনার বিদেশ সফর উন্নয়নের আরো বহুত পাকাপোক্ত হইবে। জলবায়ু পুরিবর্তনে দোষত্রুটিতে ধনী দেশ গুলাইন পাশ কাটিয়া যাওনের সুযোগ নাই। রোহিঙ্গ্যা প্রর্ত্যাবর্তনে বিশ্বের সহযুগিতা দেশের ভাবমুর্তির উন্নয়ন ঘটাইবে। দেশে ভ্যাকসিন ইনষ্টিটিউট দুর্যোগে জাতি রক্ষায় আপুনার যুগান্তাকারী উদ্যোগ। বিশ্বের উন্নয়নে বাংলাদেশ অবদান রাখতে চাহে দেশের মানতো বিশ্বের দরবারে বহুগুন বাড়িয়াছে। মা’গো খালি সময়ের অপেক্ষা, যারা দেশরে তলাবিহীন ঝুড়ি কহিয়াছে তারা চাইতে আসিবে। ঢাকা-প্যারিস বাণিজ্য দ্বিগুনে হ¹ল দিকে নিজের দিক ঝোঁক নিবেন। তয় দূর্নাম কিছু রটিতেছে দলে কিছু লুটেরার কারনে। আমলাগোর কাইজ কামেও নজর রাখিবেন। দেশ ও দলের যারা সুনাম নষ্ট করিয়াই যাইতেছে তাঁগোরে ছাঁটিতে কড়া ব্যবস্থা লইবেন। তয় মা’রে মাথা ঠান্ডা রাখিয়া কিছু জবাব দিতে হইবে।
মা’গো, ২০০৩ সালে চাঁটগার বাঁখালীতে ১১ জনকে পুড়িয়ে হত্যার বিচার কবে শেষ হইবে জানিতে চাহে চাঁগার দাদু-দিরিা। দুই নেতার দলাদলীতে চমেকে ডাক্তার পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরাতো পড়ালেখায়ও গোল্লা মারিবে। কর কর্মকর্তারাও করের টাকা মারিতেছে। বঙ্গবন্ধু ট্যানেলও খুশির বার্তা। ডিজেলের দাম লইয়া ভাড়ার বাড়াবাড়িতে বহুতে আহত। ইউপি নির্বাচন লইয়া বহুতে লাল হইয়া হাসপাতালে ভর্তি হইয়াছে। রোহিঙ্গ্যা ক্যাম্পের পাহাড়ে অস্ত্রের কারখানার পিছনে কারা হদিস লইতে আদেশ করিবেন।
মা’গো পরম করুণাময় সৃষ্টি কর্তার অশেষ কৃপায় আপনিতো ভালা-মন্দে আপুনার উপদেষ্টা, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী লইয়া দেশ পরিচালনা করিয়া যাইতেছেন। তয় মা’গো আপনি হ¹ল উন্নয়ন দ্রুত গতিতে চালাইলেও দেশ গেরামের দাদু-দিদিরাতো রাক্ষস খোক্ষসের পল্লায় পড়িয়াছে তারমইধ্যে যোগ হইয়াছে বিশ্ব শক্তিধর করোনা-১৯। হুট করিয়া হৃদমাজারে ধরে আর মারিয়াই ছাড়ে। এমনিতে কুটি কুটি দাদু-দিদিরা মানব সৃষ্ট অত্যাচার, নারী-নির্যাতন, ধর্ষন-হত্যা, দূর্নীতি আর মাদকের ছোবলে পিষ্ট। মা’রে মানবতাবিরোধীগোর এইসব কাইজ কাম বধ্ করিতে আপুনার নেতা-নেত্রী, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, ডিসি, এসপি, আইনশৃংখলা বাহিনী, গুরিন্দা বাহিনীরে কড়া ওয়ার্ডার অব্যাহত রাখিবেন।
মা’জননীগো এই শোকের মাসে জাতির পিতারে প্রাণভরে শ্রদ্ধা ও ভালোবাস। জাতি বঙ্গমাতারে শ্রদ্ধার সাথে স্মরন করিয়াছে জন্মদিন পালন করিয়াছে। জাতিরে যারা অন্ধকারে নিমজ্জিত করিতে চাহে তলে বলে শত্রুরাও উঁকি ঝুঁকি মারিতেছে। আপনার মতন বিজ্ঞ মা’রে জ্ঞান দেয়া আমার মতন লাঠি দ্ধারা চলিত পোড়াকোপাইল্লা, অধম, বেকুব পাহাড়ী দাদুর জ্ঞান কতঠুকুই বা কাজে লাগিবে, কথা হইলো আপনার সবদিকেতো শত্রু আর শত্রু। হজাগ থাকিবেন, মানবতাবিরোধীদের ঘায়েল করিতে হার্ট লাইনে যাইবেন। মা’রে আইজও আর বেশী লম্বা করিতে চাহি না। আয়রন, সিলভার, গোল্ডেন বুলেটে আবদ্ধ পাহাড় চুড়া লইয়া এই অভাগার বুকের পাঁজরে বহুত ক্ষোভ, দুঃখ বেদনা জন্মিয়া রহিয়াছে, খোলাসা করিয়া আপনার দরবারে দু-চার কলম লেখিয়া পাবলিকের উপকার করিতে পারিলে জীবনের পরপারে যাইয়াও শান্তি। আইজ যা লিখিয়াছি কোন ভুলভ্রান্তি হইলে মনে কষ্ট দিলে এই অভাগা পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুবরে ক্ষমা করিবেন। মা’রে প্রতি এক পক্ষে আপনার নিকট লিখা এই বেকুবের খোলা চিঠিখানা একটু সময় হাতে লইয়া পড়িবেন। আপনি ও দেশের ১৭ কুঠি দাদু-দিদির জন্য আর্শিবাদ, দোয়া রইল, সবদিকে দৃষ্টি রাখিবেন, স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখিবেন, ভালা থাকিবেন। আইজ এই পর্যন্ত।
ইতি,
আপনারই কুঠি কুঠি দাদু-দিদির পোড়াকোপাইল্লা, অধম, বেকুব
পাহাড়ী দাদু
গ্রন্থনা- এস.এস.বি.এম, তারিখ- ২১নভেম্বর, ২০২১ খ্রীঃ