[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
বান্দরবানের রুমা গ্রামবাসীর প্রশ্ন কত বছর অপেক্ষা করলে পাকা-নিরাপদ সড়ক পাবখাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় গণধর্ষণের শিকার উপজাতি কিশোরী, আটক-২রাঙ্গামাটি জেলায় শিক্ষার মানোন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে- কাজল তালুকদারসেবাপ্রাপ্তীদের প্রত্যাশা পুরণে রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতাল বদ্ধ পরিকর: সিভিল সার্জনখাগড়াছড়ির রামগড়ে পিতা হত্যা’র আসামি ছেলে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তাররাঙ্গামাটিতে মৃত হাতি শাবককে ৪৮ঘণ্টা ধরে পাহাড়ায় হাতির দলজাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসে দীঘিনালায় সচেতনতামূলক সভাবাল্যবিবাহ নারীর ক্ষমতায়নকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছেকাপ্তাই আইডিইবি’র নতুন সভাপতি- ইমাম ও সাঃ সম্পাদক-আলীআইডিইবি কাপ্তাই সাংগঠনিক জেলা নির্বাহী কমিটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

রোয়াংছড়ি কেন্দ্রীয় জেতবন বৌদ্ধ বিহারে ৫৩তম কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠিত

৩৫

॥ হ্লাছোহ্রী মারমা, রোয়াংছড়ি ॥

বান্দরবান রোয়াংছড়ি উপজেলাতে কেন্দ্রীয় জেতবন বৌদ্ধ বিহারে প্রতি বছরের মতো এবারও নানা আয়োজনে ৫৩তম দানোত্তম শুভ কঠিন চীবর দানোৎসব পালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

সকালে কেন্দ্রীয় জেতবন বৌদ্ধ বিহার হইতে প্রদক্ষিণ করে রোয়াংছড়ি পাড়া, রোয়াংছড়ি বাজারে পিন্ডু চরনের সারিবদ্ধভাবে দায়ক-দায়িকাদের কাঁচা চাউল, বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী দান করেন। বিকালে এলাকায় পূণ্যরাসের দায়ক-দায়িকারা ভান্তের জন্য চীবর (কাপড়), পেডেসাহ্ (কাগজ দিয়ে তৈরি ফুল গাছ) নগদ টাকাসহ পূজার সামগ্রী হাতে নিয়ে বিহার থেকে অনুষ্ঠানস্থলে আসেন। পরে সমবেত হয়ে পঞ্চমশীল, অষ্টমশীল গ্রহণ এবং পূণ্যলাভের জন্য ভান্তের নিকট চীবর দান করেন পূজানীয়রা।

এসময় নর-নারী, দায়-দায়িকা, উপ-উপাসীকাবৃন্দ পুনরায় বিহারের সমবেত হয়ে ভগবানের উদ্দেশে বিহারে জল উৎসর্গ (পানি ঢালা), নগদ অর্থ দান, প্রদীপ প্রজ্বলন, অষ্টপরিষ্কার দান, পঞ্চশীল ও অষ্টশীল গ্রহণ করেন ভক্তরা।

এসময় ধর্ম সভায় বান্দরবানের পার্বত্য সংঘ নিকায় ও মহাধ্যক্ষ্য রোয়াংছড়ি কেন্দ্রীয় জেতবন বৌদ্ধ বিহারে বিহারধ্যক্ষ উঃ উইচাবিন্দা মহথের সভাপত্বিতে উপস্থিত ছিলেন ২য় উপ-সংঘরাজ পার্বত্য সংঘ নিকায় ও বালাঘাটা পারিহিতা বৌদ্ধ বিহার অধ্যক্ষ উঃপাইন্ডিচা মহাথের ও বিভিন্ন বিহারের অধ্যক্ষ ভান্তেবৃন্দগণ। এসময়. ভিক্ষু সবার উদ্দেশে ধর্ম দেশনা দেন ও দেশের শান্তির জন্য মঙ্গল কামনা করেন।

উল্লেখ্য যে, গৌতম বুদ্ধের অন্যতম সেবিকা মহাপুণ্যবতী বিশাখা দেবী এই কঠিন ব্রতী পালন করে বুদ্ধকে চীবর দান করেছিলেন। সেই থেকে প্রতিবছর কঠিন চীবর দানোৎসব ধর্মীয়ভাবে পালন করে আসছে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীরা।