[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
প্রবারণা উপলক্ষে রোয়াংছড়ি তারাছা ইউনিয়নে ফুটবল টুর্ণামেন্ট অনুষ্ঠিতপার্বত্য চট্টগ্রামে লাইভলিহুড ডেভেলপমেন্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু: উপদেষ্টা সুপ্রদীপখাগড়াছড়ির পানছড়িতে মৎস্যখাতে কোটি টাকার ক্ষতিলংগদুতে জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা ও ভিক্টিম সাপোর্ট বিষয়ক জনসচেতনতা সভালংগদুতে অবৈধভাবে পাহাড়/টিলা কর্তনের দায়ে দুই ব্যক্তিকে অর্থদন্ডরাজস্থলীর বিমাছড়া পাড়ায় পানির সংকট দূর করলো সেনাবাহিনীদীঘিনালায় ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে জশনে জুলুস, মিলাদ ও পুরস্কার বিতরণপানছড়ি বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) পালিতকাপ্তাইয়ে জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা ও ভিক্টিম সাপোর্ট বিষয়ক সভারাজস্থলীতে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) উদযাপন
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

রোয়াংছড়ি কেন্দ্রীয় জেতবন বৌদ্ধ বিহারে ৫৩তম কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠিত

৩৫

॥ হ্লাছোহ্রী মারমা, রোয়াংছড়ি ॥

বান্দরবান রোয়াংছড়ি উপজেলাতে কেন্দ্রীয় জেতবন বৌদ্ধ বিহারে প্রতি বছরের মতো এবারও নানা আয়োজনে ৫৩তম দানোত্তম শুভ কঠিন চীবর দানোৎসব পালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

সকালে কেন্দ্রীয় জেতবন বৌদ্ধ বিহার হইতে প্রদক্ষিণ করে রোয়াংছড়ি পাড়া, রোয়াংছড়ি বাজারে পিন্ডু চরনের সারিবদ্ধভাবে দায়ক-দায়িকাদের কাঁচা চাউল, বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী দান করেন। বিকালে এলাকায় পূণ্যরাসের দায়ক-দায়িকারা ভান্তের জন্য চীবর (কাপড়), পেডেসাহ্ (কাগজ দিয়ে তৈরি ফুল গাছ) নগদ টাকাসহ পূজার সামগ্রী হাতে নিয়ে বিহার থেকে অনুষ্ঠানস্থলে আসেন। পরে সমবেত হয়ে পঞ্চমশীল, অষ্টমশীল গ্রহণ এবং পূণ্যলাভের জন্য ভান্তের নিকট চীবর দান করেন পূজানীয়রা।

এসময় নর-নারী, দায়-দায়িকা, উপ-উপাসীকাবৃন্দ পুনরায় বিহারের সমবেত হয়ে ভগবানের উদ্দেশে বিহারে জল উৎসর্গ (পানি ঢালা), নগদ অর্থ দান, প্রদীপ প্রজ্বলন, অষ্টপরিষ্কার দান, পঞ্চশীল ও অষ্টশীল গ্রহণ করেন ভক্তরা।

এসময় ধর্ম সভায় বান্দরবানের পার্বত্য সংঘ নিকায় ও মহাধ্যক্ষ্য রোয়াংছড়ি কেন্দ্রীয় জেতবন বৌদ্ধ বিহারে বিহারধ্যক্ষ উঃ উইচাবিন্দা মহথের সভাপত্বিতে উপস্থিত ছিলেন ২য় উপ-সংঘরাজ পার্বত্য সংঘ নিকায় ও বালাঘাটা পারিহিতা বৌদ্ধ বিহার অধ্যক্ষ উঃপাইন্ডিচা মহাথের ও বিভিন্ন বিহারের অধ্যক্ষ ভান্তেবৃন্দগণ। এসময়. ভিক্ষু সবার উদ্দেশে ধর্ম দেশনা দেন ও দেশের শান্তির জন্য মঙ্গল কামনা করেন।

উল্লেখ্য যে, গৌতম বুদ্ধের অন্যতম সেবিকা মহাপুণ্যবতী বিশাখা দেবী এই কঠিন ব্রতী পালন করে বুদ্ধকে চীবর দান করেছিলেন। সেই থেকে প্রতিবছর কঠিন চীবর দানোৎসব ধর্মীয়ভাবে পালন করে আসছে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীরা।