মিথ্যাকেও স্থান দেয়া যাবে না
সফল আইনজীবি হতে হলে সততাকে প্রতিষ্ঠা করুন: জজ নুরুল ইসলাম
॥ মিলটন বড়ুয়া ॥
রাঙ্গামাটি জেলা ও দায়রা জজ নুরুল ইসলাম বলেছেন, কোর্টকে পবিত্র স্থান বলবেন, কিন্তু কাজে সেটা হবে না এটাতো ঠিক না। একজন সফল আইনজীবি হতে হলে সততাকে প্রতিষ্ঠা করুন। মঙ্গলবার (১৮নভেম্বর) বিকালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল কর্তৃক তালিকাভুক্ত-২০২১ সনের বিজ্ঞ আইনজীবিদের পেশাগত দক্ষতা ও মর্যাদা বিকাশে রাঙ্গামাটি জেলা বার সমিতি কর্তৃক আয়োজিত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রাঙ্গামাটি জেলা বার সমিতি’র সম্মেলন কক্ষে বিকাল ৬ঘটিকায় সভাপতি অ্যাড. কল্যাণ মিত্র চৌধুরী এর সভাপতিত্বে আয়োজিত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, এ.ই.এম ইসমাইল হোসেন (জেলা ও দায়রা জজ) বিজ্ঞ বিচারক নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, মোঃ ফারুক, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, অ্যাড. রফিকুল ইসলাম, (পিপি) এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অ্যাড. আব্দুল গফুর মুন্না। পরে অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় অধিবেশনের প্রশিক্ষনে প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন এ.ই.এম ইসমাইল হোসেন, (জেলা ও দায়রা জজ) বিজ্ঞ বিচারক নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ, মোহাম্মদ সাইফুল ইলাহী, মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন, অতি: চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও সিনিয়র আইনজীবি অ্যাড. মোখতার আহম্মদ রাঙ্গামাটি। অনুষ্ঠানে সঞ্চালনায় ছিলেন অ্যাড. সুস্মিতা চাকমা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা ও দায়রা জজ নুরুল ইসলাম বলেছেন, নিজের কষ্ট চেপে রেখে কাজ করেছি। আইনজীবিদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন, এটি একটি চ্যালেঞ্জিং পেশা। চোখের লজ্জ্যা ঝেড়ে ফেলতে হবে। ঘরে বসে আকাশ কুসুম কল্পনা কাজে আসবে না। সফল আইনজীবি হতে হলে সততাকে আগে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। আমরা জজ সাহেবরা আছি আমাদের দরজা খোলা আছে। কোর্টকে পবিত্র স্থান বলবেন, কিন্তু কাজে সেটা হবে না এটাতো ঠিক না। অসততাকে কোনভাবে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না, মিথ্যাকেও স্থান দেয়া যাবে না।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিজ্ঞ বিচারক এ.ই.এম ইসমাইল হোসেন বলেছেন, আইনজীবিদের পেশাগত দক্ষতা ও মর্যাদা বিকাশের অনুষ্ঠান সময় উপযোগী হয়েছে। বারের সাথে কথা বলার সুযোগ হয়েছে। তিনি আইনজীবিদের উদ্দেশ্যে বলেন, এজলাসে মামলা পরিচালনা করবেন ঠিক আছে কিন্তু যদি সেখানে ভিন্ন কাজে থাকেন তাহলে কাজ ও সময়ের ক্ষতি হয়। যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ, মোহাম্মদ সাইফুল ইলাহী, বলেছেন, আইনী পরামর্শ জানার জন্য খাস কামরায় আসুন, মামলার বিষয়ে নয়। মামলা পরিচালনার জন্য এজলাসেই থাকুন। চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, মোঃ ফারুক বলেছেন, আইনজীবি এ পেশাটি ভারতের মহাত্মা গান্ধীরও পেশা। পৃথিবীর বিখ্যাত বিখ্যাত মানুষেরও পেশা ছিল। সুবিচার নিশ্চিত সহ অস্থা ও সম্পর্ক সৃষ্টি করার দ্বায়িত্ব হলো আইনজীবিদের। আদালতেরও একটি দায়িত্ব রয়েছে।
অনুষ্ঠানে বার সমিতির পক্ষ থেকে অতিথিবৃন্দকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। সেই সাথে ১১ জন নতুন আইনজীবিকেও সুভেচ্ছা ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়।
বার সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আব্দুল গফুর মুন্না বলেছেন, নতুনদের বরণ এবং প্রশিক্ষণ সমিতির পক্ষে এটিই প্রথম অনুষ্ঠান।
এদিকে শুরুতেই সবাই দাঁড়িয়ে জাতীয় সংগীত এর মাধ্যামে আইনজীবিদের পেশাগত দক্ষতা ও মর্যাদা বিকাশের প্রশিক্ষণ কর্মশালার অনুষ্ঠান শুরু হয়।