বান্দরবানের লামায় নবম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ
॥ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ॥
লামায় নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে গলায় ছুরি ঠেকিয়ে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ করেছে ভিকটিমের পরিবার। বুধবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে লামা হাসপাতালে ধর্ষিতা মেয়েকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য আসেন তাঁর মা।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, হাসপাতালে মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে ভিকটিম ও পরিবারকে থানায় আসতে বলি। এই বিষয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রেকর্ডের প্রক্রিয়া চলছে।
লামা হাসপাতালের জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত সহকারী মেডিকেল অফিসার ডাঃ রায়হান জান্নাত বিলকিস সুলতানা বলেন, ভিকটিমের শরীরে ধর্ষণের আলামত রয়েছে। তাকে বান্দরবান জেলা সদর হাসপাতালে ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে রেফার করেছেন বলে জানিয়েছেন।
ভিকটিমের পরিবার জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাড়িতে ধর্ষণের শিকার মেয়েটি ও তাঁর ছোট বোন ছিল। আর কেউ ঘরে ছিলনা। এই সুযোগে পার্শ্ববর্তী মোঃ সাইফুল বাড়ির আঙ্গিনায় এসে তার গলায় ছুরি ঠেকিয়ে ভয় দেখিয়ে তাকে বাড়ির পাশে পাহাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ করা হয়। ধর্ষক মোঃ সাইফুল লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের হারগাজা এলাকার সেকান্দর আলীর ছেলে বলে জানা গেছে। ধর্ষিতার মা জানিয়েছেন মেয়ে হারগাজা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী ও ভাইবোনদের মধ্যে সে চতুর্থ।