নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল
ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় রাঙ্গামাটিতে আসামীর ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড, ৫লক্ষ টাকা জরিমানা
॥ মিলটন বড়ুয়া ॥
স্কুল পড়ুয়া এক ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অপরাধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এর বিজ্ঞ আদালত রাঙ্গামাটিতে এক আসামীকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড সহ ৫লক্ষ টাকা জরিমানা আনাদায়ে আরো দুই বছরের কারাদন্ডে দন্ডিত করেছেন। আদালত বিচারিক সকল কার্য সম্পন্ন করে সোমবার (৯নভেম্বর) দুপুরে এ রায় প্রদান করেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোঃ মাহফুজুর রহমান ভুঁইয়া জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এর বিচারক(জেলা ও দায়রা জজ) এ.ই.এম ইসমাইল হোসেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর (৪) (খ) ও ১০ ধরায় দন্ডপ্রাপ্ত আসামী মোঃ আবুল হোসেনকে আদালত দোষী স্বাব্যস্ত করে এ রায় প্রদান করেন। আসামী রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার মারিশ্যা ১নং ব্লক এর বাসিন্দা মোঃ জামাল এর ছেলে। আসামীর বর্তমান ঠিকানা লেকার্স স্কুল এলাকা (আলম ডক ইয়ার্ডের সামনে লিটনের বাসা) কাঠালতলী, রাঙ্গামাটি।
বিজ্ঞ বিচারিক আদালত সাক্ষ্যপ্রমান সহ এক বছরের কম সময়ের মধ্যে এ মামলার রায় প্রদান করেন। সোমবার রায় প্রদানের সময় আসামী আদালতে হাজির ছিলেন। আদালত আসামীকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড সেই সাথে ৫লক্ষ টাকা অনাদায়ে আরো দুই বছর কারাদন্ডে দন্ডিত করেন। বিজ্ঞ বিচারিক আদালত আসামীর নিকট হতে জরিমানা আদায় হলে তা ভিকটিমকে প্রদানের জন্য বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দেন। আসামী হাজত বাস কাল The Code of Criminal Procedure 1898 এর 35 A এর ধারার বিধান মতে তার কারাদন্ডের মেয়াদ হতে বাদ দেয়ার জন্য কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশও দেন।
বিজ্ঞ বিচারিক আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এড. মোঃ রফিকুল ইসলাম ধর্ষণ চেষ্টার মামলায় আসামীকে সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত সহ অর্থ দন্ড অনাদায়ে অতিরিক্ত দুই বছরের দন্ড প্রদান করেন বলে নিশ্চিত করেন। এসময় আসামী পক্ষের আইনজিবী এড. মামুনুর রশিদ মামুন উপস্থিত ছিলেন।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা গেছে, বিগত ২০২০ সালের ২১ ডিসেম্বর আসামী মোঃ আবুল হোসেন আলম ডক ইয়ার্ড এর একটি বাসায় বাথরুমের দরজা পরিবর্তন করার সময় ভিকটিম স্কুল পড়ুয়া দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা করে। পরে ভিকটিমের চিৎকারে মামলার বাদীর ভগ্নিপতি মাস্টার এগিয়ে আসলে মোঃ আবুল হোসেন পালানোর চেষ্টা করে। তখন বাদীর ভগ্নিপতি মাস্টার তাকে একটি কক্ষে আটকে রাখে পরে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে ঐ দিনই পুলিশ আসামীকে আটক করে।