[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
বান্দরবানের থানচিতে ১৩মাস পর পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আংশিক প্রত্যাহারজিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে কাপ্তাইয়ে দুস্থদের মাঝে চাল বিতরণবান্দরবানে খুলে দেয়া হয়েছে লামা উপজেলার সকল রিসোর্টসীমান্তে পুশইন ও চোরাচালান ঠেকাতে তৎপর রয়েছে বাঘাইহাট বিজিবিলংগদু উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিজিবির টহল জোরদার: লে. কর্ণেল নাহিদ হাসানরাঙ্গামাটিতে বিয়ের প্রলোভনে কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় যুবক আটকপুশইন ও চামড়া পাচার রোধে রামগড় ৪৩ বিজিবির নিরাপত্তা জোরদাররাজস্থলীতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী পালনচামড়া পাচার ও সীমান্ত দিয়ে পুশইন ঠেকাতে বিজিবি টহল বাড়িয়েছেমাটিরাঙ্গা সেনা জোন কর্তৃক ঈদ উপহার ও মানবিক সহায়তা প্রদান
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

১০ বছরের উন্নয়ন তুলে ধরে নৌকায় ভোট চাইলেন মিন্টু কুমার সেন

৩৭

॥ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ॥

আগামী ১১ নভেম্বর লামা উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন পরিষদে ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলার ২নং লামা সদর ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মিন্টু কুমার সেন ইউনিয়নের গত ১০ বছরের সার্বিক উন্নয়ন তুলে ধরে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন। শনিবার (০৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় লামা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভা মেয়র মোঃ জহিরুল ইসলাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ কান্তি দাশ সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকরা।

মতবিনিময়কালে প্রার্থী মিন্টু কুমার সেন বলেন, আমি বিগত ১০ বছর লামা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন করেছি। দায়িত্ব পালন করার পূর্বে আপনারা ইউনিয়নের প্রতিটি এলাকা সম্পর্কে অবগত আছেন। বর্তমানে ও আপনারা এলাকার সার্বিক চিত্র জানেন। আমার সর্বোচ্চ আন্তরিকতা দিয়ে ইউনিয়নে উন্নয়ন করার জন্য নিরলসভাবে কাজ করেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুরের আন্তরিকতায় ইউনিয়নের সার্বিক উন্নয়ন চিত্র দিন দিন পাল্টে যাচ্ছে। মাতামুহুরী নদীর রাজবাড়ী মেরাখোলা ঘাটে প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ব্রীজ নির্মাণ করায় জনসাধারণের জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন হয়েছে। পোপা খালের উপর ব্রিজ নির্মাণ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এটি নির্মিত হলে দুর্গম এলাকার জীবনযাত্রার মান আরো পাল্টে যাবে।

গত কয়েক বছরে ইউনিয়নের ১০৩ টি গৃহীন পরিবারকে গৃহ নির্মাণ করে দেওয়া সহ বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতা শতভাগ নিশ্চিত করা হয়েছে ও এই কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নারীর ক্ষমতায়ন ও তাদের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের জন্য সেলাই মেশিন সহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও অনুদান প্রদান ও গরীবদেরকে ১০ টাকা মূল্যে চাল প্রদান করা হচ্ছে। ভিজিডি কর্মসূচীর মাধ্যমে অসহায় নারীদেরকে সহায়তা প্রদান অব্যাহত আছে। পোপা সড়কের প্রায় ৮ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণের টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন আছে। ২-৩ মাসের মধ্যে সড়কের নির্মাণ কাজ শুরু হবে।

ইউনিয়নের মসজিদ, ফোরকানিয়া মাদ্রাসা, হেফজখানা, মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা সহ সামাজিক ও ধর্মীয় উন্নয়নে অনুদান প্রদান করে সকলের সাথে আছি। পুরো ইউনিয়নকে বিদ্যুতায়নের আওতায় আনার জন্য কাজ চলছে। যে সকল এলাকায় বিদ্যুৎ পৌঁছানো সম্ভব নয়, সেসব এলাকায় বিনামূল্যে সোলার লাইট বিতরণ করা হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের জন্য প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে কম বেশি অনুদান দেয়া হয়েছে। মেরাখোলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জুনিয়র হাই স্কুলে উন্নীত করা হয়েছে। অসংখ্য অভ্যন্তরীন যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নসহ ই্উনিয়ন পরিষদ ভবন নির্মাণ করেছি। অসম্পূর্ণ কাজগুলো সম্পন্ন করার জন্য ধাপে ধাপে এগিয়ে যাচ্ছি। কমিউনিটি ক্লিনিক উন্নয়নের মাধ্যমে জনগণের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতের পাশাপাশি কৃষি খাতের উন্নয়নে কৃষকদের কৃষি উপকরণ ও প্রণোদনা প্রদান করেছি।

তিনি আরো বলেন, দায়িত্ব পালনকালে কখনো সাম্প্রদায়িকতাকে লালন করিনি। গত ১৪ অক্টোবর লামা বাজারে একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে। বিষয়টি একান্তই লামা বাজারের। অথচ আমার প্রতিদ্বন্ধী চেয়ারম্যান প্রার্থী ওই বিষয়টিকে পুঁজি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছেন। ভোটারদের কাছে গিয়ে এ বিষয়টিকে ভিন্নখাতে উপস্থাপন করে নির্বাচনী পরিবেশকে নিজের অনুকূলে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। আমি সকলের সহায়তা কামনা করছি।