[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

পর্যটকদের দাবি “ওয়ানষ্টপ সার্ভিস পয়েন্ট”

৮৫

॥ থানচি উপজেলা প্রতিনিধিঃ

রাজধানী ঢাকা শহর থেকে বান্দরবানে থানচি’র পর্যটন কেন্দ্রে আসতে ৭টি জায়গাতে তল্লাশিসহ নিবন্ধন কিংবা এন্ট্রি করতে হচ্ছে পর্যটকদের। থানচি’র পর্যটন শিল্পের বিকাশ বিস্তারে আরো গড়ে তুলতে স্থানীয় প্রশাসন, ট্যুরিস্ট পুলিশসহ পথ প্রদর্শকেরা এই বিড়ম্বনা এড়াতে “ওয়ানষ্টপ সার্ভিস পয়েন্ট” চালুর পরার্মশ দিচ্ছে পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।

থানচিতে ঘুরতে আসা পর্যটকদের সূত্রে জানা যায়, ঢাকা শহরসহ দেশের বিভিন্ন শহর থেকে ঘুরতে আসলে বান্দরবান জেলা প্রবেশের মুখে যৌথ বাহিনী চেকপোস্ট, থানচি’র পথে মিলনছড়িতে পুলিশ চেকপোস্ট, ১২ কিলোমিটারে সেনাবাহিনী চেকপোস্ট ও বলিপাড়া চেকপোস্টের এন্ট্রি করতে হয়। এসব চৌকিতে জাতীয় পরিচয়পত্রের অনুলিপি জমা দেওয়ার পরেও থানচিতে পৌঁছলে আবারও পর্যটন তথ্যসেবা কেন্দ্রের রেজিষ্ট্রেশন করতে হয়। এছাড়াও থানচি থানায় জাতীয়পত্রের অনুলিপি জমা দিয়ে সর্বশেষে বিজিবি চেকপোস্টের এন্ট্রি কিংবা রেজিষ্ট্রেশন করে ভ্রমনে নৌকাতে উঠতে পারি। প্রতিটি কেন্দ্রের নিবন্ধনের প্রায় আধা ঘন্টা সময়ের ব্যয় ঘটে।

এদিকে থানচি পর্যটনের ঘুরতে আসার ঢাকা শহর বাসিন্দা মোঃ আজিজুল হক (৩৫)সহ একাধিক পর্যটকের সাথে কথা হয়। এক পর্যায়ে তারা বলেন, পাহাড়ে ভ্রমনে ঘুরতে আসলে এত প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হবে তা আগে জানা ছিল না। একাধিকবার চেকপোস্টের বিড়ম্বনার কথা জানলে কখনোই পাহাড়ে ঘুরতে আসতাম না। তারা আরো বলেন, এই পাহাড় অঞ্চলেও সমতলে পর্যটন কেন্দ্রগুলোর মতো ওয়ানষ্টপ সার্ভিস চালু করতে পারলে এসব বিড়ম্বনার থেকে মুক্তি পাবে পর্যটকদের।

পথ প্রদর্শক (গাইড) উপজেলা পরিচালনার কমিটি সভাপতি ম্যানুওয়েল (ইমন) মতে, থানচিতে ওয়ানষ্টপ সার্ভিস পয়েন্ট হিসেবে উপজেলা তথ্যসেবা কেন্দ্রের একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারী মাধ্যমে পর্যটকদের রেজিষ্ট্রেশন করতে পারেন। পরে স্থানীয় থানা, বিজিবি চেকপোস্ট, প্রশাসনকে জাতীয়পত্রসহ ছবি জমা দিলে ভ্রমণকারীসহ পথপ্রদর্শকেরা বিড়ম্বনা থেকে রেহাই পাবেন।

থানচি জোনে ট্যুরিস্ট পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুল জলিল বলেন, ভ্রমণকারীদের তথ্যসমূহ কাগজপত্র সরকারিভাবে কোনো একটি সংস্থা সংগ্রহ করলে কিংবা উপজেলা তথ্যসেবা কেন্দ্রে প্রতিদিন নির্ধারিত সময়ে সকল সংস্থার সমন্বিতভাবে কাজ করতে পারলে ওয়ানষ্টপ সার্ভিস পয়েন্ট চালু করতে সম্ভব হবে।

এদিকে থানচি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুদ্বীপ রায় বলেন, থানচি’র ভ্রমণকারীদের এই বিড়ম্বনার এড়াতে বিশেষ বিবেচনায় অঞ্চলে ভিত্তিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন ও সংশ্লিষ্টদের সমন্বয় অত্যন্ত জরুরি। তিনি আরো বলেন, বিপদে পড়া পর্যটকদের পরিচয় শনাক্তের জন্য থানায় প্রয়োজনীয় তথ্যসহ ছবি তোলা হয়। একটি নির্ধারিত স্থানে পুলিশ, আর্মি, বিজিবিসহ উপজেলা পরিষদের প্রতিনিধি’র সমন্বয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় সকল তথ্য সংগ্রহসহ ছবি তুললে পর্যটকদের ভালো সেবা দেয়ার সম্ভব হবে। এতে থানচিতে পর্যটন শিল্প বিকাশে সহায়তা হবে।

এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতাউল গনি ওসমানী বলেন, এই বিড়ম্বনা বিষয়টি ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসক সঙ্গে আলাপ করা হয়েছে। প্রশাসনের নিজস্ব সার্ভারের মাধ্যমে অনলাইনে এই সেবা চালু করার সম্ভব হতে পারে। পর্যটনের শিল্প বিকাশে ভ্রমণকানীদের বিড়ম্বনা এড়াতে এই ব্যবস্থা পদক্ষেপ গ্রহনের পরিকল্পনা আছে বলে জানান তিনি।