[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
বান্দরবানের থানচিতে ১৩মাস পর পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আংশিক প্রত্যাহারজিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে কাপ্তাইয়ে দুস্থদের মাঝে চাল বিতরণবান্দরবানে খুলে দেয়া হয়েছে লামা উপজেলার সকল রিসোর্টসীমান্তে পুশইন ও চোরাচালান ঠেকাতে তৎপর রয়েছে বাঘাইহাট বিজিবিলংগদু উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিজিবির টহল জোরদার: লে. কর্ণেল নাহিদ হাসানরাঙ্গামাটিতে বিয়ের প্রলোভনে কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় যুবক আটকপুশইন ও চামড়া পাচার রোধে রামগড় ৪৩ বিজিবির নিরাপত্তা জোরদাররাজস্থলীতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী পালনচামড়া পাচার ও সীমান্ত দিয়ে পুশইন ঠেকাতে বিজিবি টহল বাড়িয়েছেমাটিরাঙ্গা সেনা জোন কর্তৃক ঈদ উপহার ও মানবিক সহায়তা প্রদান
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

নানিয়ারচর দূর্গম বুড়িঘাট ইউনিয়নে নেই ডিজিটাল সেন্টার

৫৭

॥ মোঃ নুরুল আমিন ॥

রাঙ্গামাটির নানিয়ারচর উপজেলার দূর্গম ইউনিয়ন বুড়িঘাট। এ ইউনিয়নে প্রায় ৪ হাজার পরিবারের বসবাস। কিন্তু ডিজিটাল বাংলাদেশে ওই ইউনিয়নে এখানো স্থাপন করা হয়নি,ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার। ফলে সরকারি-বেসরকারি ডিজিটাল সুযোগ-সুবিধা এবং সেবা নিতে হিমশিম খাচ্ছে ওই ইউনিয়নের মানুষ। কোন নির্দিষ্ট যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় নৌকা ও মোটর সাইকেল যোগে তাদের সেবা নিতে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে উপজেলা সদরে যাতায়াত করতে হয়। এমন কি বিশ টাকার সেবা নিতেও উপজেলার সদরে যেতে তাদের খরচ হয় ৫থেকে ৬শত টাকা। এমনটাই অভিযোগ করেন, নানিয়ারচর উপজেলার ৩নং বুড়িঘাট ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দারা।

স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ ইব্রাহিম, বুড়িঘাট ইউনিয়ন একটি দূর্গম পাহাড়ি এলাকা। ওই ইউনিয়ন থেকে সরকারি-বেসরকারি ডিজিটাল সুযোগ-সুবিধা পেতে ভাড়ায় মোটর সাইকেল ও নৌকা করে উপজেলা সদরে যাতায়াত করতে হয় তাদের। এতে তাদের ৫ থেকে ৬শত টাকা গচ্ছা যায় এবং সেবা ও তথ্য পেতে তাদের প্রতিনিয়ত হিমশিম খেতে হয়। তিনি আরো জানান, নানিয়ারচর উপজেলা সদরে একটি ডিজিটাল সেন্টার রয়েছে। কিন্তু তাদের ইউনিয়ন থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূর হওয়ায় প্রতিনিয়ত সেবা নিতে নানান ভোগান্তি হয় ইউনিয়নবাসীর। তাই পাহাড়ের এ দূর্গম ইউনিয়নে একটি ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করার জন্য জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকতার নিকট জোর দাবি জানান তিনি।

বুড়িঘাট ইউনিয়নের ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোঃ সফিউল ইসলাম জানান, এ ইউনিয়নে প্রায় ৪ হাজার পরিবারের বসবাস। ইউনিয়নে ডিজিটাল সেন্টার না থাকায় বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ভাতা, জন্মনিবন্ধন, ভিজিডি এবং বয়স্ক ভাতা কার্ড প্রভৃতি সহ উপজেলা সদরে গিয়ে ডিজিটাল সেন্টার থেকে করতে হয়। এছাড়াও মোবাইল ব্যাংকিং, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, ছবি তোলা, ইন্টারনেট ব্রাউজিং, ইমেইল, চাকুরির তথ্য, কম্পোজ, ব্রিটিশ কাউন্সিলের ইংরেজী শিক্ষা, ভিসা আবেদন ও ট্র্যাকিং, ভিডিওতে কনফারেন্সিং, প্রিন্টিং, স্ক্যানিং, ফটোকপি, লেমিনেটিং প্রভৃতি সেবা নিতেও ৫ থেকে ৬শত টাকা খরচ করে যাতায়াত করতে হয় তাদের। তাই দূর্গম এ ইউনিয়নে একটি ডিজিটাল সেন্টার খুবই প্রয়োজন বলে তিনি জানান।

৩নং বুড়িঘাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রমোদ খীসা,ইউনিয়নবাসীদের ডিজিটাল সেন্টারের সকল ধরনের সেবামূলক কার্যক্রম চাহিদায় সহযোগীতার জন্য তিনি প্রতিশ্রুতি বদ্ধ। ইউনিয়নে ডিজিটাল সেবার মান বৃদ্ধি করতে জনগনের ডিজিটাল সেন্টার প্রয়োজন আছে। দূর্গম এ ইউনিয়নে ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করলে জনগণ খুবই উপকৃত হবে ।

নানিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিউলি রহমান তিন্নী জানান, এখনো পর্যন্ত ওই ইউনিয়নে ডিজিটাল সেন্টার স্থাপনের ব্যাপারে কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। তবে ইউনিয়নে ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করা হবে বলে তিনি জানান।

রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোঃ মিজানুর রহমান জানান, বুড়িঘাট ইউনিয়নে ডিজিটাল সেন্টার স্থাপনের ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সাথে পরামর্শ করা হবে। যদি সম্ভব হয় আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের পরে ডিজিটাল সেন্টার স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।