মাটিরাঙ্গায় শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মদিন ও ‘শেখ রাসেল দিবস পালিত
॥ আবুল হাসেম,মাটিরাঙ্গা ॥
‘শেখ রাসেল দীপ্ত জয়োল্লাস,অদম্য আত্মবিশ্বাস’ এ প্রতিপাদ্যে উজ্জীবিত হয়ে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ট পুত্র শহিদ শেখ রাসেলের জন্মদিন ও ‘শেখ রাসেল দিবস উদযাপন করা হয়।
সোমবার (১৮ অক্টোবর) সকালের দিকে মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন শহিদ শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণের মধ্য দিয়ে দিনটির শুভ সূচনা হয়। একই সময়ে কেক কেটে শহিদ শেখ রাসেলের ৫৮ তম জন্মদিন পালন করেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
মাটিরাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ আলা উদ্দিন লিটনের সঞ্চালনায়,মাটিরাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হারুনুর রশিদ ফরাজি’র সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথী হিসেবে বক্তব্য রাখেন,মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম.হুমায়ুন মোরশেদ খান,বিশেষ অতিথী হিসেবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সুবাস চাকমা।
আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,উপজেলা স্বেচ্চাসেবক লীগের সভাপতি বাবুল আহাম্মেদ,সাধারন সম্পাদক কামরুল ইসলাম,মাটিরাঙ্গা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তসলিম উদ্দিন রুবেল,মাটিরাঙ্গা পৌর স্বেচ্চাসেবক লীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন,মাটিরাঙ্গা উপজেলা ছাত্রলীগের কান্ত মণি ত্রিপুরা,পৌর ছাত্রলীগ আব্দুর রাজ্জাক,মাটিরাঙ্গা উপজেলা শেখ রাসেল সৃতি সংসদের সহ-সভাপতি আব্দুল হাই সৈরভ প্রমুখ।
সভায় মেধাবী শেখ রাসেলের স্মৃতিচারণ করেন বক্তারা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ ছেলে শহিদ শেখ রাসেল ১৯৬৪ সালের এই দিনে ধানমন্ডির ঐতিহাসিক স্মৃতি-বিজড়িত বঙ্গবন্ধু ভবনে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট ভাই।বঙ্গবন্ধু তাঁর প্রিয় লেখক খ্যাতিমান দার্শনিক ও নোবেল বিজয়ী ব্যক্তিত্ব বার্ট্রান্ড রাসেলের নামানুসারে তার নাম রাখেন ‘রাসেল’।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মানবতার শত্রু ঘৃণ্য ঘাতকদের নির্মম বুলেট থেকে রক্ষা পাননি শিশু রাসেল। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে নরপিশাচরা নির্মমভাবে তাকেও হত্যা করেছিল। তিনি ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।
সভায় মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ,উপজেলা শেখ রাসেল সৃতি সংসদের নেতৃবৃন্দ সহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।