[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
বান্দরবানের থানচিতে ১৩মাস পর পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আংশিক প্রত্যাহারজিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে কাপ্তাইয়ে দুস্থদের মাঝে চাল বিতরণবান্দরবানে খুলে দেয়া হয়েছে লামা উপজেলার সকল রিসোর্টসীমান্তে পুশইন ও চোরাচালান ঠেকাতে তৎপর রয়েছে বাঘাইহাট বিজিবিলংগদু উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিজিবির টহল জোরদার: লে. কর্ণেল নাহিদ হাসানরাঙ্গামাটিতে বিয়ের প্রলোভনে কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় যুবক আটকপুশইন ও চামড়া পাচার রোধে রামগড় ৪৩ বিজিবির নিরাপত্তা জোরদাররাজস্থলীতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী পালনচামড়া পাচার ও সীমান্ত দিয়ে পুশইন ঠেকাতে বিজিবি টহল বাড়িয়েছেমাটিরাঙ্গা সেনা জোন কর্তৃক ঈদ উপহার ও মানবিক সহায়তা প্রদান
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

লামায় বজ্রপাতে ২ জনের মৃত্যু, পুড়েছে ৪ গরু সহ অসংখ্য গাছপালা

৮৪

॥ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ॥

বান্দরবানের লামায় বজ্রপাতে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রবল বজ্রপাতে দুই কৃষকের ৪টি গরু মারা গেছে এবং প্রচুর গাছপালা পুড়ে ভেঙ্গে পড়েছে। সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১ থেকে মঙ্গলবার রাত ১টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত দুই ঘন্টার অধিক সময় ধরে লামা উপজেলায় একটানা এই বিদ্যুৎ চমকানো ও ভয়ংকর বজ্রপাত পড়ার ঘটনা ঘটে। টানা বজ্রপাতের এই রাতটিকে একটি ভয়ংকর রাত হিসাবে উল্লেখ করে লামার অনেক মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিমত ব্যক্ত করেছে।

উপজেলার ফাইতং ইউপি চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন জানান, ফাইতং ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড বাঙ্গালি পাড়ায় বজ্রপাতে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। তারা বাগানে গাছের উপর পাহারা টং ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। মঙ্গলবার প্রচন্ড বজ্রপাতে রাতের কোন একসময় তাদের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হল, ফাইতং ৯নং ওয়ার্ডের বাঙ্গালি পাড়ার মৃত ইসহাক এর ছেলে মোঃ এনাম (৫০) ও মৃত নবী হোচন এর ছেলে মোঃ শহীদুল ইসলাম (২২)।

এদিকে একই সময় উপজেলার সদর ইউনিয়নের মেরাখোলা এলাকায় বজ্রপাতে দরিদ্র দুই কৃষকের চারটি গরু মারা গেছে। এতে প্রায় ৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা। মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) রাত ১টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের মেরাখোলা গ্রামের ৩নং ওয়ার্ডের দফাদার বাসু কুমার দে এর ৩টি ও মুসলিম পাড়ায় ১টি গরু বজ্রপাতে মারা যায়। বাসু কুমার দে বলেন, রাতে গরু গুলো গোয়ালে বাধা ছিল। রাতে প্রচুর বজ্রপাত হয়। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি গরু তিনটি মরে পড়ে আছে।

অপরদিকে লামা ৩২ আনসার ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তর লামা পৌরসভার চাম্পাতলী এলাকায় মঙ্গলবার রাত ১টায় একটানা প্রচন্ড বজ্রপাত ও ভারি বর্ষণে বিভিন্ন গাছ-পালা এবং ইউনিটের সীমানা প্রাচীরে পতিত হয়ে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়।

লামা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের মোঃ জহির জানান, হরিণঝিরি এলাকায় গতরাতের বজ্রপাতে পাছপালা ভেঙ্গে যায়। এসময় গাছ পড়ে ১টি বসতবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়।

লামা থানার পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ আলমগীর বজ্রপাতে ২ জনের মৃত্যু ও ৪টি গরু মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।