[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
বান্দরবানের থানচিতে ১৩মাস পর পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আংশিক প্রত্যাহারজিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে কাপ্তাইয়ে দুস্থদের মাঝে চাল বিতরণবান্দরবানে খুলে দেয়া হয়েছে লামা উপজেলার সকল রিসোর্টসীমান্তে পুশইন ও চোরাচালান ঠেকাতে তৎপর রয়েছে বাঘাইহাট বিজিবিলংগদু উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিজিবির টহল জোরদার: লে. কর্ণেল নাহিদ হাসানরাঙ্গামাটিতে বিয়ের প্রলোভনে কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় যুবক আটকপুশইন ও চামড়া পাচার রোধে রামগড় ৪৩ বিজিবির নিরাপত্তা জোরদাররাজস্থলীতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী পালনচামড়া পাচার ও সীমান্ত দিয়ে পুশইন ঠেকাতে বিজিবি টহল বাড়িয়েছেমাটিরাঙ্গা সেনা জোন কর্তৃক ঈদ উপহার ও মানবিক সহায়তা প্রদান
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

কাজে না আসলে আলীকদমে ৩৪ লক্ষ ৬৩ হাজার টাকার ব্রিজ কেন

৪৪

পার্বত্য অঞ্চলের প্রত্যন্ত গ্রামেও উন্নয়নের যথেষ্ট ছোঁয়া লেগেছে। এ উন্নয়ন বিশেষ করে পার্বত্য চুক্তির পর যেন দিন দিন বাড়তে শুরু করে। রাজনৈতিকভাবে কোথাও কোথাও বাধা বিপত্তির সৃষ্টি হলেও রাজনৈতিকভাবেই তা সরকার এবং স্থানীয় জনসাধারণ তাদের উন্নয়ন কাজগুলোকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। আবার কোথাও কোথাও উন্নয়নের কাজ দীর্ঘ সুত্রিতার সৃষ্টি হলেও সেটিও একটি সময় পরিপূর্নতায় রূপ নিয়েছে। কিন্তু যখন উন্নয়ন কাজ করেও তা কাজে না আসে বলে প্রশ্ন বা অভিযোগ উঠে তখন সরকারের মোটা অংকের অর্থগুলোকে কেন নষ্ট করা হয়েছে তার প্রশ্ন স্বভাবতই সকলের। ঠিক একইভাবে বান্দরবান জেলার আলীকদমের পূর্ব পালং পাড়া এলাকার প্রায় পঁয়ত্রিশ লক্ষ টাকার ব্রিজ কোন কাজেই আসেনি বলে দাবি করা হচ্ছে।

জানা গেছে, বান্দরবানের আলীকদম থানচি সড়ক হতে দক্ষিণ পূর্ব পালং পাড়া যাওয়ার সড়কের উপর ৩৪ লাখ ৬৩ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটি এলাকাবাসীর কোন কাজে আসছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। কি কারণে এত টাকা ব্যয়ে করে কৃষি জমির বাঁধের উপর ব্রীজ নির্মাণ করা হয়েছে তার উত্তরও নেই সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও জনপ্রতিনিধি বা উন্নয়ন সংস্থার। জানতে গেলে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা এখন একে অপরের উপরের দোষ চাপিয়ে দায় সারানোর বৃথা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ব্রিজ নির্মাণ হলেও মানুষের চলাচল না থাকায় এখন লতাপাতা-ঝোপঝাড়ে ভরে গেছে অধিকাংশ াাবার কিছু অংশ ভেঙ্গে পড়েছে। ব্রিজের উপরে ধান শুকাতে ব্যস্ত স্থানীয় কয়েকজন ও একপাশে লাকড়ি স্তুপ করে রাখা হয়েছে। ব্রিজের কাঁচা মাটির রাস্তার উপর বিভিন্ন আগাছা ও জঙ্গলে ভরে গেছে এবং রাস্তার শেষ প্রান্তে রাস্তার চিহৃও যেন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

স্থানীয় বাসিন্দার মোঃ আবু তৈয়ব ও ছৈয়দ হোসেন ব্রিজটি কেন নির্মাণ করা হয়েছে প্রশ্ন তুলেছেন। এত টাকা ব্যয়ে নির্মিত ব্রিজটি এলাকাবাসীর জন্য, নাকি বিশেষ কোন ব্যক্তির সুবিধার্থে দেওয়া হয়েছে তার জবাবা স্তানীয় চেয়ারম্যান ও প্রকল্প অফিস জানেন। ব্রীজ ও মাটির রাস্তাটি দিয়ে দৈনিক ১০ জনের অধিক লোক চলাচল করে না। আলীকদম উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস গ্রামীণ রাস্তায় কম বেশী ১৫ মিটার কালভার্ট / সেতু নির্মাণ প্রকল্প-১ এর আওতায় জেলার আলীকদম র্পূব পালং পাড়া যাওয়ার ঝিড়ি উপর ১৮-১৯ অর্থ বছরে ৩৪ লাখ ৬৩ হাজার টাকা ব্যয়ে ৩৯ মিটার ব্রিজ নির্মাণ করেন দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর। অথচ ব্রিজটির ব্যয় করা সকল অর্থই যেন অনর্থে পরিণত হয়েছে। প্রকল্প সঠিক যাঁচাই না করার কারনে এই অবস্থা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের আনাচে কানাচে উন্নয়ন সবাই চায় কিন্তু যে উন্নয়ন বা প্রকল্প কোন কাজে আসবে না তার পিছনে কেন অর্থের এত অপচয় করা হলো। স্থানীয় নেতৃবৃন্দ চাহিদা পত্র দিলেই যে হয়ে গের তাও নয়। প্রকল্প বাস্তবায়ন সংস্থাগুরোর উচিৎ অধিকবার যাঁচাই করেই উন্নয়ন প্রকল্পের কাজে হাত দেওয়া। শুধু প্রকল্প গ্রহন করলেই হবে না ভবিষ্যৎ সুবিধাগুলোকেও গুরুত্ব সহকারে নিতে হবে। তাই উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করার পূর্বে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে প্রত্যেককেই। অন্যথায় লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করেও প্রশ্ন থেকে যাবে উন্নয়ন কাজের। কাজে না আসলে আলীকদমে ৩৪ লক্ষ ৬৩ হাজার টাকার ব্রিজ কেন এমনই প্রশ্ন প্রত্যের হয়ে দাঁড়াবে।