রাঙ্গামাটির লংগদুতে কচুরিপানার প্রভাবে নৌ-যান চলাচলে ভোগান্তি
॥ মোঃ আলমগীর হোসেন, লংগদু ॥
রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলার কাপ্তাই হ্রদে কচুরিপানায় নাকাল হয়ে পড়েছে। ফলে ব্যাহত হচ্ছে উপজেলার অভ্যন্তরিন নৌ যোগাযোগ ব্যাবস্থা।
দেখা গেছে, উপজেলার মাইনীমুখ ইউনিয়নের মাইনী নদী, কাচালং নদী সহ গুলশাখালী ও বগাচতর ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকার কাপ্তাই হ্রদে কচুরিপানায় ভরে গেছে। এসব ইউনিয়নের বেশিভাগ বাসিন্দাদের নৌ পথই হচ্ছে একমাত্র যাতায়ত ব্যবস্থা। ইঞ্জিন চালিত ছোট ছোট নৌকা দিয়ে হাট বাজার সহ জরুরী ভিত্তিতে হাসপাতালে রোগী নিয়ে যেতে কচুরিপানার বিপাকে পড়তে হচ্ছে জনসাধারনকে। হ্রদ জুড়ে কচুরিপানার কারণে নৌ-পথে ছাত্র ছাত্রী ও শিক্ষকদের স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় সময়মত যেতে পারছেন না। এতে পড়া-লেখার ক্ষতি হচ্ছে।
কচুরিপানার জটে দশমিনিটের পথ সেখানে তিন-চার ঘন্টায়ও যাওয়া সম্ভব হয় না। এই নদীতে ৪মাস মাছ মারা বন্ধ থাকার পরে খুলে দিলেও কচুরিপানায় ভরে যাওয়ার কারনে মাছ ধরতে পারছে না এখানকার জেলেরাও। এ কারণে পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টে জীবন যাপন করছেন মৎস্যজীবিরা।
বোড চালক জামাল হোসেন জানান, লংগদুর মুখ, বগাচতর,গুলশাখালী হয়ে মাইনীমুখ গোটা হ্রদ এলাকায় কচুরিপানা ভরপুর হয়েছে। আমরা ঠিকমত বোট চালাতে পারছিনা। এতে আমাদের প্রতিনিদিন খরচ গুনতে হচ্ছে। বোট চালক নজরুল ইসলাম জানান, লংগদু থেকে কচুরিপানা অপসারণ করা প্রয়োজন। তা না হলে এলাকাবাসীদের নৌপথে যাতায়তে মারাত্বক সমস্যার সৃষ্টি হবে।
মঙ্গলবার উপজেলা আইন শৃঙ্খলা সভায় লংগদু নির্বাহী অফিসার মোঃ মাইনুল আবেদীন জানান, লংগদুর তিনটি ইউনিয়নের কাপ্তাই হ্রদে কচুরিপানা বেশি হয়ে গেছে। এতে নৌ-যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যহত হচ্ছে। তাই অচিরেই কুচুরিপানা অপাসারণের জন্য ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। এব্যাপারে মাইনীমুখ ও বগাচতর ইউপি চেয়ারম্যানরা নিজ নিজ ইউনিয়নে উদ্যোগ নিবেন।