[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত-১কাপ্তাইয়ে কর্ণফুলী নদী থেকে উদ্ধার সাম্বার হরিণটি মারা গেলকাঁচামালের উৎপাদন বাড়িয়ে কেপিএম এর সক্ষমতাকে বাড়াতে হবে-শিল্প উপদেষ্টাখাগড়াছড়ির দীঘিনালায় ইয়াবাসহ ৩যুবক আটকদীঘিনালায় কৃষকদের মাঝে আমন ধান বীজ ও সার বিতরণবান্দরবানের ঘুমধুম সীমান্তে আবারো স্থলমাইন বিস্ফোরণে রোহিঙ্গা যুবকের পা বিচ্ছিন্নরাঙ্গামাটিতে চোখ রাঙাচ্ছে ম্যালেরিয়া, ৫ মাসে আক্রান্ত ৬৭৬ জনবাঘাইছড়িতে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দিলেন জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দবান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ দুই রোহিঙ্গা নারী আটকবাল্যবিবাহ আইনে শাস্তির বিধান থাকলেও সচেতনতার অভাব: খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

ব্যস্ত সময় পার করছেন জুমিয়ারা

রাঙ্গামাটির জুমে ধান কাটার ধুম

৫৫

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥

রাঙ্গামাটির জুমে ধান কাটার ধুম পড়েছে। পাহাড়ের চূড়ায় চূড়ায় শোভা পাচ্ছে জুমিয়াদের সোনালি রঙের ধান। পাহাড়ের বুক জুড়ে যেদিকে চোখ যায়, সেদিকে সোনালি সমারোহ। দূর থেকে দেখলে মনে হবে সবুজ পাহাড়ের বুকে একটি সোনালি রঙের বিছানা। মৃদু বাতাসে দুলছে জুমিয়াদের স্বপ্ন। বুনানো স্বপ্নের পাকা ধান কেটে হাসি মুখে ঘরে তুলছেন রাঙ্গামাটির জুমিয়ারা। এতেই ব্যস্ত সময় পার করছেন জুম চাষিরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, রাঙ্গামাটির আসামবস্তি সড়কে বিলাইছড়ি পাড়া এলাকায় সড়ক ঘেঁষে পাহাড়ে প্রায় দেড় একর জমিতে জুম চাষ করেছে স্থানীয় পাহাড়িরা। সেখানে ধানের ফাঁকে ফাঁকে রোপন করা হয়েছে কলাগাছ,মরিচ, হলুদ, আদা, কচু,মিষ্টি কুমড়া ও বরবটিসহ নানান জাতের শাক-সবজি।

চাষিরা জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং নিয়মিত পরিচর্যা করার কারণে জুম চাষে ভালো ফলন হয়েছে। বর্তমানে জুমে জুমে চলছে ধান কাটার উৎসব। জুমচাষীদের ঘরে ঘরে চলছে নবান্ন উৎসব। তারা আরো জানান, জুমে উৎপাদিত ধান ও কৃষি শাক-সবজি ৭ থেকে ৮ মাস পর্যন্ত তাদের খাবারের জোগান দেয়। এছাড়াও তারা অতিরিক্ত শাক-সবজি বিক্রি করেও জীবিকা নির্বাহ করেন।

জুমচাষি নিয়তি চাকমা জানান, গত বছরের তুলনায় এবছর জুমে ভালো ফলন হয়েছে। ধানের পাশাপাশি রোপন করা হয়েছে বিভিন্ন শাক-সবজি। জুমে উৎপাদিতকৃত ধান প্রায় ৭ থেকে ৮ মাস পর্যন্ত জোগান দিবে এবং উৎপাদিত শাক-সবজি দিয়ে নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে এগুলো বিক্রি করে তাদের সংসার চলে।

আরেক জুমচাষি বসুদেব জানান, জুমে আগে শুধু ধান চাষ করা হতো। এখন ধানের পাশাপাশি হাইব্রিড জাতের শাক-সবজিও রোপন করছেন। ধান এবং বিভিন্ন কৃষিপণ্যের ভালোই ফলন হচ্ছে। বর্তমানে জুমে ধান কাটার ধুম পড়েছে। ধান কাটার পর ধাপে ধাপে শাক-সবজি তোলে বিক্রি করে তাদের সংসার চলে। তিনি আরো জানান, প্রতি বছর এপ্রিল মাসের শেষের দিকে শুরু হয় জুমে ধান লাগানোর প্রক্রিয়া। প্রায় ৩-৪ মাস পরির্চযার পর সেপ্টেম্বর মাসের শেষদিক থেকে পাহাড়ে জুমের ধান কাটা শুরু করে আর শেষ হয় অক্টোবর মাসে।

এ বিষয়ে রাঙ্গামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষ্ণ প্রসাদ মল্লিক জানান,রাঙ্গামাটিতে এবার ৫ হাজার ৫৮০ হেক্টর জমিতে জুম চাষ হয়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় শতকরা ৪০ ভাগ ধান কর্তন করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, জুমে পুরাতন ঐতিহ্য বীজের পাশাপাশি বিভিন্ন আধুনিক জাতের ধান ও সবজির বীজ রোপণ করলে জুমচাষীরা লাভবান হবেন। অনেক জুমচাষী আধুনিক জাতের বীজ ব্যবহার লাভবান হচ্ছেন। জুমচাষীদের আধুনিক পদ্ধতিতে জুম চাষের জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে।