রাঙ্গামাটিতে জেলা উন্নয়ন কমিটির সভা
দায়িত্ব পালনে আরও আন্তরিক এবং মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে উনার দীর্ঘায়ু, সুনেতৃত্ব কামনা করেন। জেলা উন্নয়ন সভার কার্যক্রম প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন মন্ত্রীসভা পর্যবেক্ষণ এবং মনিটরিং করেন। সেদিক বিবেচনায় বিভাগীয় কর্মকর্তাদেরকে স্ব স্ব দায়িত্ব পালনে আরও আন্তরিক এবং মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দেন। মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) সকালে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সভাকক্ষে (এনেক্স ভবন) অনুষ্ঠিত জেলা উন্নয়ন কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
করোনার-১৯ এর কারণে প্রায় ৬ মাস পর জেলা উন্নয়ন কমিটির সভায় সকলের সঙ্গে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করে বলেন, ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি সম্পাদনের পর এলাকায় উন্নয়নের গতিধারা শুরু হয়েছে। উন্নয়নের এই গতিধারাকে চলমান রাখার চালিকাশক্তি হলো বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত কর্মকর্তারা। সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলাসমূহ দেশের অন্যান্য জেলার তুলনায় সরকারি বরাদ্দ প্রাপ্তি এবং শিক্ষা ও যোগাযোগ উন্নয়নে পিছিয়ে রয়েছে। সমতল জেলায় ব্যক্তি বিশেষের অর্থায়নে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং শিল্প কারখানা গড়ে উঠলেও পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের আর্থিক অবস্থা সমতলের জেলার তুলনায় পিছিয়ে থাকায় ব্যক্তি উদ্যোগে এ ধরনের উন্নয়ন হয়না। তিনি স্থানীয় এমপির বক্তব্যের সূত্র ধরে বলেন, বর্তমানে এলজিইডি বছরওয়ারী যে পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ পেয়ে থাকে সে অর্থ দিয়ে আগামী ১০০ বছরেও পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন এবং গ্রামে যাওয়ার রাস্তা তৈরি করা যাবেনা। বিশেষ বরাদ্দ এবং বিশেষ পরিকল্পনা ব্যতীত এ এলাকাকে সমতলের জেলাগুলোর সমকক্ষ করা যাবেনা। তিনি নবনিযুক্ত বিভাগীয় প্রধানদের বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম একটি ব্যতিক্রমী এলাকা। এজন্য এ জেলায় গতানুগতিক পরিকল্পনার বাইরে গিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করে সর্বত্র উন্নয়ন ত্বরান্নিত করার পরামর্শ রাখেন।
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাঃ আশরাফুল ইসলামর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায়
উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য নুরুল আলম, সদর সার্কেল এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাপস রঞ্জন ঘোষ, রাঙ্গামাটি সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর তুষার কান্তি বড়ুয়া, রাঙ্গামাটি সরকারী কলেজের প্রভাষক সুন্দ্রসেন চাকমা, বিউবো বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ জামাল উদ্দীন, এলজিইডি এসএই যুগল চন্দ মন্ডল, সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ ফারহান, মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আজহার আলী, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র্র চন্দ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সহকারী পরিচালক মোঃ রফিকুল ইসলাম, জেলা আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়ের সহকারী জেলা কমানডেন্ট মো: আব্দুল মোন্তাকিম. জেলা রোভার স্কাউট সম্পাদক মো আবছার, গার্লস গাইড এসাসিয়েশনের কমিশনার বীনা প্রভা চাকমা, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (উত্তর) অজিত কুমার দে, সহকারী বন সংরক্ষক(দক্ষিণ) গঙ্গা প্রসাদ চাকমা, সহকারী বন সংরক্ষক মোঃ আনিসুল হক, বিটিভির উপকেন্দ্র সহকারী পরিচালক মোঃ জাকারিয়া সিদ্দিকী, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী ত্রয়া সরকার, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক মোঃ আলী আহসান ভূঁইয়া, জেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ের নুর উজ্জামান, জেলা সঞ্চয় কর্মকর্তা মোঃ জালাল উদ্দীন চৌধুরী, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মিজানুর রহমান শরীফ, রেশম উন্নয়ন বোর্ডের জেলা ব্যবস্থাপক সুলগ্না চাকমা, জনশক্তি ও কর্মসংস্থানের সহকারী পরিচালক মোঃ নিজাম উদ্দীন, জেলা তথ্য অফিসের উপপরিচালক কৃপাময় চাকমা, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সদস্য এম এন জাহাঙ্গীর, চেম্বার অব কমার্স সভাপতি মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী অনুপম দে, জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ সাজ্জাদ হোসেন, বিটিসিএল জুনিয়র এসিষ্টেন্ট ম্যানেজার কারন চাকমা, পিটিআই সুপারিনটেন্টডেন্ট মোঃ রবিউল জামান, মৃত্তিকা সম্পদ উধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা উষালয় চাকমা, তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ গিয়াস উদ্দীন, পর্যটন হলিডের ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়ুয়া, জেলা সমবায় কর্মকর্তা মো: ইউসুফ হাসান চৌধুরী, সমাজসেবা বিভাগের উপপরিচালক মো: ওমর ফারুক, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ শাহিদুল ইসলাম, এসআইডি-ইউএনডিপির কর্মকর্তা বিহিত বিধান খীসা এবং ব্র্যাক ম্যানেজার মো হাবিবুর উপস্থিত ছিেেলন।
সভায় উপস্থিত বিভাগীয় কর্মকর্তাগণ স্ব স্ব বিভাগের কার্যক্রম উপস্থাপন করেন।