[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
বান্দরবানের লামায় সাড়ে ৬ লাখ ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি চারা ধ্বংসখাগড়াছড়ির রামগড়ে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ব্যক্তি গ্রেফতারদীঘিনালায় নবাগত ইউএনও শান্তি ও উন্নয়নে সবার সহযোগীতা চাইলেনবান্দরবানের আলীকদমে বন্দুকের গুলিতে পর্যটকের মৃত্যু, চার বন্ধু আটকদীঘিনালায় কৃত্তি শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা বিভাগের পুরস্কার বিতরণমাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দূর্ঘটনায় রাঙ্গামাটির উক্য চিং মারমাও মারা গেলখাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় অস্ত্র, গুলি ও সামরিক সরঞ্জাম উদ্ধারপাহাড়ের উন্নয়নে ঐক্য ও সম্প্রীতির বিকল্প নেই: খাগড়াছড়িতে নাহিদ ইসলামদীঘিনালায় নদীর গর্ভে বিলিন রাস্তা সাঁকো দিয়ে চলাচলখাগড়াছড়িতে কিশোরী ধর্ষণের প্রতিবাদে দীঘিনালায় মানববন্ধন
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

প্রয়োজন সরকারের কৃষি অধিদপ্তরের সার্বিক সহযোগীতা

পার্বত্য চট্টগ্রামের উঁচু ভুমিগুলো মাল্টা চাষে উপযোগী

৩৭

পার্বত্য চট্টগ্রামের কৃষক সমাজ এবং উদ্যোক্তাবৃন্দ ফলজ উন্নযনে অগ্রণী ভুমিকা রেখে যাচ্ছে। তাঁদের চেষ্টা এবং উন্নয়ন পরিকল্পনার নিজ নিজ উদ্যোগে যে সফলতা নিয়ে আসছে তাতে আগামীতে পাহাড়ের ফলজ সম্পদ দেশের বাইরে আরো ভালো অবস্থানে যাবে। পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলা উপজেলার বহু উঁচু ভুমিতে অন্যান্য ফলজ উৎপাদনের পাশাপাশি এখন মাল্টার ব্যাপক ফলনে কৃষক এবং উদ্যোক্তাদের আরো বেশী উৎসাহ করে তুলেছে। পাহাড়ের ফলজ সম্পদের উন্নয়নে দেশের কৃষি অধিদপ্তর তথা মন্ত্রণালয় গবেষণা মুলক ভালো উদ্যোগ নিতে পারলে পুষ্টিগুনের ফলজ সম্পদ বিদেশেও রপ্তানী করতে পারবে বলে কৃষক এবং উদ্যোক্তারা আশাবাদী।

জানা গেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায় সাইট্রাস জাতীয় ফল বারি-১ মাল্টা চাষে সেখানকার কৃষক এবং উদ্যোক্তাদের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। উপজেলায় কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তর ও উপজেলা হর্টিকালচারের সহযোগিতায় সরকারি ও বে-সরকারি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে ২০১৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ২শত১২ হেক্টর জায়গা বারি-১ মাল্টার আবাদ বেড়েছে। স্থানীয় ভাবে উৎপাদিত মাল্টা খেতে স্বাদেও সুসাধু হওয়ায় এখন চাহিদা রয়েছে বরে তারা জানিয়েছেন। স্থানীয় বাজারের মাল্টা ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি ধরে বিক্রিয় করেন চাষী এবং উদ্যোক্তাবৃন্দ। বারি-১ মাল্টা চিনার সহজ উপায় হচ্ছে মাল্টার নিচে পয়সা গোলক আকৃতির থাকে। বারি-১ মাল্টার শতভাগ স্বজাত নিশ্চয়তা পয়সা আকৃতি দেখে চিনে থাকেন প্রান্তিক চাষী ও ক্রেতা সাধারণ।

উপজেলা কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তর দেয়া তথ্যমতে লেবু জাতীয় ফলজ সম্পসারণ ও উৎপাদন বৃদ্ধির প্রকল্পের আওতায় ২০১৭ থেকে ২০১৮ সালে সরকারি সহায়তাধীন সুবিধা ভোগী ২শত৪০ জন প্রান্তিক কৃষক ও ব্যাক্তি উদ্যোগের সম্মলিত প্রচেষ্টায় উপজেলায় ৯৬ হেক্টর এবং ২০১৯ থেকে ২০২০ সালে সরকার কর্তৃক ৩শত জন প্রান্তিক কৃষক ও ব্যাক্তি উদ্যোগে ১১৬ হেক্টর জায়গায় মাল্টা বাগান গড়ে তোলা হয়েছিল। পূর্বেও দেখা যায়নি উপজেলায় গত ৪ বছরে উঁচুপাহাড় ও পতিত জমিতে সাইট্রাস জাতীয় ফল বাগান গড়ে উঠার। এক সময় লিচু আর আম বাগান করার প্রতি ঝুঁকছিল পাহাড়ের প্রান্তিক চাষীরা। বর্তমানে পাল্টে গেছে উপজেলার ফল বাগান করার দৃশ্য। আম্ররুপালি আমের সাথে পাল্লাদিয়ে বেড়ে চলছে সাইট্রাস জাতীয় ফল বারি-১ মাল্টা চাষ।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে সরকারি বেসরকারি ভাবে ২শ ১২ হেক্টর জায়গায় মাল্টা আবাদ হয়েছে বলে জানিয়েছে। উপজেলায় ২০১৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ছোট বড় প্রকল্পের আওতায় ৫শ৪০ জন প্রান্তিক চাষীদের সরকারি সহায়তায় বারি-১ মাল্টা বাগান গড়েতে সার্বিক সহায়তা করা হয়েছে। চাষীদের উৎপাদিত মাল্টা স্থানীয় বাজারে বিক্রিয় করছে এবং পাইকাররা কিনে শহরের নিয়ে বিক্রি করছে। উপজেলা হর্টিকালচা‘র সহযোগীতায় কৃষি জমিতে ২শ২০টি বারি-১ মাল্টা চারা রোপন করেছিলা। তিন বছর প্রায় অর্ধেক মাল্টা গাছে ফলন এসেছে। জমির উর্বরতার কারনে রাসায়নিক ও কীটনাশক তেমন দিতে হয় না, জৈব স্যার ব্যবহারে মাল্টার ফলন ভাল হয়। বারি-১ মাল্টা দেখতে যেমন ভাল, তেমনই খেতেও সুস্বাধু। গ্রাপ্টিং করা চারা থেকে পরিচর্যার মাধ্যমে ৩ বছরে ভাল ফলন পাওয়া যায়। তাই আমাদের প্রয়োজন আরো বেশী উদ্যোগ এবং আগ্রহীদের সাহস যোগানো কেননা পার্বত্য চট্টগ্রামের উঁচুভুমিগুলো যথেষ্ট উর্বর তাই পরিত্রাক্ত না রেখে কৃষক এবং উদ্যোক্তরা এগিয়ে আসলে ফলজ সম্পদে ভালো অবদান রাখা যাবে। প্রয়োজন সরকারের কৃষি অধিদপ্তরের সার্বিক সহযোগীতা।