[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
যেখানে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় সেখানেই যেন আলোর নিচে অন্ধকারবান্দরবানের থানচিতে এবার গ্রামে ফিরল বম জনগোষ্ঠীর আরো এক পরিবারবান্দরবানে সেনাবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র সরঞ্জামসহ ৯ জন আটক, জনমনে স্বস্তি‘কারিগরি শিক্ষা নিলে বিশ্বজুড়ে কর্ম মিলে’ কাপ্তাই এ সেমিনার অনুষ্ঠিতচিকিৎসক সংকটে বান্দরবানের থানচি হাসপাতালে সেবা বঞ্চিত মানুষখাগড়াছড়িতে তিন দিনব্যাপী জাতীয় ফল মেলা ২০২৫ অনুষ্ঠিতলংগদু সেনা জোনের উদ্যোগে সহিংসতা প্রতিরোধে কর্মশালাথানচিতে স্থানীয়ভাবে উদ্ভাসিত লাগসই প্রযুক্তি প্রয়োগ ও সম্প্রসারণ শীর্ষক সেমিনারখাগড়াছড়ির দীঘিনালায় কালোজাম কেজি ১শত ৪০ টাকারাঙ্গামাটির রাজস্থলী উপজেলার অনেক গ্রাম বিদ্যুতের আলো থেকে বঞ্চিত
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসিফ এর রায় প্রশংসার

মাদক মামলায় রাঙ্গামাটিতে এক আসামীকে সমাজ সেবা কর্মকর্তার হেফাজতে ৬ মাসের জেল

৪৯

॥ মিলটন বড়ুয়া ॥

মাদক মামলায় এক আসামীকে রাঙ্গামাটি সমাজসেবা কর্মকর্তার হেফাজতে ছয় মাসের জেল এবং সেই সাথে বৃক্ষ রোপনের আদেশ দিয়ে প্রশংসার দাবি রেখেছেন বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসাদ উদ্দিন মোঃ আসিফ এর আদালত। মামলার কার্যবিধির বিচারিক কাজ শেষে গত মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) এ রায় দেন। বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) আদালত এর প্রশাসন সুত্র এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সুত্র এবং মামলার রায়ে দেখা যায় যে, ২০১৭ সালের ৪ মে কতোয়ালী থানার মাদক দ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় জিআর মামলায় বিশ্ব নাথ দাশ প্রকাশ বিশু, সাং তবলছড়ি নীচের বাজার কে ১০ পুরিয়া গাঁজা যার ওজন ৬০ গ্রাম সহ আটক করেন থানার পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মোঃ মোসাদ্দেক হেসেন। পরে এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন যার নং জিআর-১৫৬/২০১৭। মামলার দীর্ঘ বিচারিক কাজের সকল সাক্ষীর স্বাক্ষ্য আসামীর জবানবন্দী সহ বাদী বিবাদীর যুক্তিতর্ক শ্রবণ শেষে বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর বিচারিক আদালত-৩ গত ১৪ সেপ্টেম্বের মামলার রায় ঘোষণা করেন।

বিজ্ঞ আদালতের রায়ে দেখা যায় যে, আদালত তাঁর রায়ে এবং আদেশে বলেন, আসামী বিশ্বনাথ দাশ প্রকাশ বিশু (৩২), পিতা মনু চন্দ্র দাশ, মাতা মৃত সবিতা দাশ, তবলছড়ি নীচের বাজার। কতোয়ালী থানা রাঙ্গামাটিকে ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন) সংশোধন/০৪)১৯(১) এর টেবিল ৭(ক) বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে মাদক দ্রব্য গাঁজা নিজ হেফাজতে রাখার অপরাধে ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করা হলো। আদালত রায়ে আরো উল্লেখ করেন, মামলার এজাহার, ১৬১ ধারায় জবানবন্দি, মাদকদ্রব্যের রাসায়নিক পরীক্ষা, তদন্ত রিপোর্ট এবং ৩৪২ ধারায় পরীক্ষা পর্যালোচনায় দেখা যায় আসামী মাদক সংক্রান্ত পূর্বে কোন অপরাধ করেনি, অভিযুক্ত ব্যক্তি পূর্ব ইতিহাসে মাদক সংক্রান্ত কোন অপরাধে জড়িত ছিল না। সুতরাং আদালতের নিকট প্রতিয়মান হয় যে, এই অবস্থায় আসামীর বয়স এবং অপরাধের পূর্ব ইতিহাসের বিষয় বিবেচনা করিয়া তাকে কারাগারে প্রেরণের পরিবর্তে The probatiob of offenders ordiance, ১৯৬০ এর অধীন প্রবেশন অফিসারের হেফাজতে রাখা উত্তম যাতে করে অপরাধী সমাজে একজন যোগ্য নাগরিক হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে পারে এই উল্লেখ করে শর্তাবলী আদেশ দিয়ে আদালত ৬ মাসের সশ্রম দন্ড এর রায় দেন।

বিজ্ঞ বিচারিক আদালত যে শর্ত দিয়েছেন তাতে দেখা যায় যে, ১, আসামী পিতা, মাতা, পরিবার এবং সমাজের সদস্যদের সহিত সদা সর্বদা ভালো আচরণ করবেন, ২, আসামী দন্ড পালন করার সময় সরকারি খাস জমির যেখানে লেকের নিকটবর্তী পাড় রয়েছে সেখানে অথবা সমাজ সেবার প্রবেশন কর্মকর্তা যথোপযুক্ত স্থান মনে করবেন সেখানে ৫০টি গাছ রোপন করবেন ৩, ১৫ দিন অন্তর আসামী সমাজসেবা অধিদপ্তর রাঙ্গামাটি জেলা শাখায় প্রবেশন কর্মকর্তার নিকট হাজিরা প্রদান করবেন। এবং ১৩/৩/২০২২ইং প্রবেশন কর্মকর্তার সহিত আদালতে উপস্থিত থাকবেন। আদালত রায়ের শর্তে বলেন প্রবেশন কর্মকর্তা আসামীর আচার-আচরণ বিশ্লেষণ করে তিনি কোন অপরাধ কিংবা অপরাধীর সহিত চলাফেরা করছেন কিনা বিশেষ দৃষ্টি রাখবেন। আসামী ৬ মাস কাল প্রবেশনে থাকবেন এবং এই অন্তবর্তী সময় অর্পিত শর্ত লংঘন করিলে প্রবেশন বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে এবং সাজার মেয়াদ শুরু হইবে।

এদিকে বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসাদ উদ্দিন মোঃ আসিফ এর আদালত-৩ এর এ রায়ে প্রশংসা করেছেন সমাজের সচেতন মহল। আদালত আসামীর বিষয়ে যে রায় দিয়েছেন তাতে সমাজের অনেকেই সু-শিক্ষা নিবেন, সেই সাথে আইন আদালতের প্রতি প্রত্যেক মানুষের আনুগত্য আরো সুদৃঢ় হবে। আদালত প্রত্যেক আসামীর প্রতি যে স্নেহভাবাপূর্ন তাতে এ রায়ে তারও প্রকাশ ঘটলো।