রোয়াংছড়িতে ভিসিএফ কমিটির দিনব্যাপী কর্মশালা
॥ রোয়াংছড়ি উপজেলা প্রতিনিধি ॥
বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলাতে বেসরকারি সংস্থার গ্রাউস (গ্রাম উন্নয়ন সংস্থা) উদ্যোগে কনভার্স কমিউনিটি আন্ডার চিটাগং হিল ট্র্যাক্টস ওয়াটারশেড কো-ম্যনেজম্যন্ট এ্যাক্টিভিটি (সিএইচটিডব্রিউসিএ) প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত ভিসিএফ কমিটির সদস্যদের নিয়ে দিনব্যাপী কর্মশালা আয়োজন করা হয়েছে। শনিবার (১১সেপ্টেম্বর) রোয়াংছড়ি মাল্টিপারপাশ মিলনায়তনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রশিক্ষক ডক্টর নিখিল চাকমার সভাপতিত্বের উদ্বোধক ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান চহ্লামং মারমা। বিশেষ অতিথি ছিলেন ৩৪৯ নং ঘেরাউ মৌজা হেডম্যান শৈসাঅং মারমা, ৩৪১নং পাইক্ষ্যং মৌজা হেডম্যান বয়থাং বম, ৩৩৮নং রোয়াংছড়ি মৌজার হেডম্যান প্রতিনিধি অবঃ শিক্ষক উচথোয়াই মারমা। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, সাংবাদিক সাথোয়াইঅং মারমা, ভিসিএফ কমিটির সদস্য ও সাংবাদিক হ্লাছোহ্রী মারমা, হ্লাশৈঅং মারমা, মাউসাং মারমা, চিংম্রাউ মারমাসহ ভিসিএফ কমিটির সদস্যবৃন্দ।
গ্রাউস সংস্থার উপজেলা ফোকাল পার্সন উমংসিং মারমা স্বাগত বক্তব্যের বলেন, এককালে পার্বত্য চট্টগ্রামে বন্যাপ্রাণীর বৈচিত্রে ভরপুর ছিল যেমন বাঘ, ভালুক, হরিণ, বানর, শিয়াল বিভিন্ন ধরণের স্তন্যপায়ী প্রাণী, সরীসৃপ, পাখি, উভচর ও জলজ প্রাণী। জলবায়ু পরিবর্তন, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, আবাস্থল ধবংস, বন উজার, অত্যাধিক আহরণ, চোরা শিকার, ক্রয়-বিক্রয় ও নানাবিধ কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামে যেমন বাঘ আর দেখা যায় না তেমনি অন্যান্য বন্যপ্রাণীরাও আজ বিলুপ্তর হুমকির মুখে।
ডক্টর নিখিল চাকমা বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৮ক-এ রাষ্ট্র কতৃর্ক জীববৈচিত্র্য, বন ও বন্যপ্রাণী, সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা বিধানের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সকলের প্রচেষ্টায় সংরক্ষণের পাড়া বন কে আরো প্রভাবিত করতে হবে। সকলকে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং আইন সম্পর্কে প্রতিটি আলোচনায় উদ্ভোদ্ধ করতে হবে।
সাংবাদিক সাথোয়াই অং মারমা বলেন, রোয়াংছড়িতে বন ও বন্যাপ্রাণী সংরক্ষণের পাশাপাশি ঝিড়ি বা নদীর আশেপাশে গাছ পালা লাগাতে হবে, ঝিড়িতে পাথর সংরক্ষণ করতে হবে। বন সংরক্ষণের পাশাপাশি পাথর সংরক্ষণ করতে হবে। বিশেষ করে হেডম্যানদেরকে অবহিত জোর দিতে হবে।
এ সময় ভিসিএফ (পাড়া বন) সংরক্ষণ কমিটির সদস্যদেরকে প্রশিক্ষক ডক্টর নিখিল চাকমার বন সংরক্ষণে স্লাাইস মাধ্যমে দেখানো হয়। প্রমাণ্য চিত্রগুলোর পরে উপস্থিত সকলকে চার গ্রুপে বিভক্ত করে কিভাবে পাড়া বন সমূহের বন্যাপ্রাণী সংরক্ষণের প্রতিবন্ধকতার ও উত্তোরণের উপায় সমূহ ব্রাউন পেপার মাধ্যমে তুলে ধরেন।