[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

গাছে গাছে লাগানো ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণ করলো “স্বপ্নবুনন”

৭০

॥ মোঃ আরিফুর রহমান ॥

নৈসার্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি রাঙ্গামাটি। বৈচিত্রময় প্রকৃতির কারণে যা সারাদেশে ‘রুপের রাণী’ হিসেবে পরিচিত। কিন্তু কিছু প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি বিশেষের কারণে নষ্ট হচ্ছে শহরের প্রকৃতি ও পরিবেশ।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, পুরো শহরে সড়কের পাশে গাছের গায়ে পেরেক ঠুকে লাগানো হচ্ছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও পণ্যের বিজ্ঞাপন। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন কোচিং সেন্টার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও চিকিৎসকদের ফেস্টুন। একইভাবে টাঙানো হয়েছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং সেন্টারের বিজ্ঞাপনও। এতে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে গাছগুলো ।

সড়কের পাশে বেড়ে উঠা গাছগুলো মানুষের অকৃত্রিম বন্ধু হলেও কিছু মানুষের অসচেতনতায় কারণে চরম নিষ্ঠুরতার শিকার হচ্ছে গাছগুলো। তাই মানুষের মাঝে সচেতনা সৃষ্টির লক্ষ্যে এগিয়ে এসেছে স্বেচ্ছাসেবী ও সামাজিক সচেতনতা মূলক সংগঠন “স্বপ্নবুনন”।

 

শহরের বৃক্ষ ও পরিবেশ এর সৌন্দর্য রক্ষায় কার্যক্রম চালিয়েছে সংগঠনটির রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা শাখা। পর্যটন নগরী রাঙ্গামাটির প্রবেশপথ থেকে শহীদ মিনার এলাকা পর্যন্ত এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

স্বপ্নবুননের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি নুর তালুকদান মুন্না বলেন, শহরের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতেই আমাদের এ প্রয়াস। এ কার্যক্রম এর বিশেষত্ব একটি গাছের বিজ্ঞাপন লাগানো অবস্থার ছবি ও বিজ্ঞাপন খুলে নেওয়ার পরের ছবি দেখলেই উপলব্ধি করা যায়। আমরা এই কার্যক্রমের মাধ্যমে সচেতনতা সৃষ্টি করে বৃক্ষের পূর্ণ রুপ ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। হয়ত কিছুদিন এই সৌন্দর্য রক্ষা হবে, এরপর আবার গাছে পেরেক টুকে বিজ্ঞাপন লাগানো হবে।

তিনি আরো বলেন, যদি নিয়ম জারি করে গাছে বিজ্ঞাপন লাগানো নিষিদ্ধ করা হয়, কিছুদিন অন্তর অন্তর যারা বিজ্ঞাপন লাগায় তাদের জরিমানার আওতায় আনা ও গাছ হতে বিজ্ঞাপন খুলে নেওয়ার ব্যবস্থা করা যায় সেজন্য তিনি রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ ও পৌর মেয়রের দৃষ্টি আর্কষণ করেন। যদি এমনটি হয় তাহলে এ শহরের সৌন্দর্য আরো দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। এসময় বৃক্ষ ও পর্যটন শহরের সৌন্দর্য রক্ষায় একটা পদক্ষেপ নেওয়া যায় কিনা তা বিবেচনা করার দাবী জানান তিনি।