[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
সীমান্তে পুশইন ও চোরাচালান ঠেকাতে তৎপর রয়েছে বাঘাইহাট বিজিবিলংগদু উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিজিবির টহল জোরদার: লে. কর্ণেল নাহিদ হাসানরাঙ্গামাটিতে বিয়ের প্রলোভনে কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় যুবক আটকপুশইন ও চামড়া পাচার রোধে রামগড় ৪৩ বিজিবির নিরাপত্তা জোরদাররাজস্থলীতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী পালনচামড়া পাচার ও সীমান্ত দিয়ে পুশইন ঠেকাতে বিজিবি টহল বাড়িয়েছেমাটিরাঙ্গা সেনা জোন কর্তৃক ঈদ উপহার ও মানবিক সহায়তা প্রদানউন্নয়ন কর্মকান্ডে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারীদের প্রশ্রয় দেওয়া হবে না: বিজিবি রাজনগর জোন কমান্ডারবান্দরবানের লামা হাসপাতালে প্রথম সাপে কামড়ানো রোগীকে বাঁচালো চিকিৎসকদুর্যোগকালীন ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ১০আরই ব্যাটালিয়নের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

অপরিকল্পিত নগরায়ণে জনসংখ্যারও চাপ

জুমচাষ ও অবৈজ্ঞানিক চাষাবাদ প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য সহ জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের জন্য দায়ী

৬৪

॥ আকাশ মারমা মংসিং, বান্দরবান ॥

“যুবরাই লড়বে সবুজ পৃথিবী গড়বে”এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন ও নির্বিচারে পাহাড় কাটা বন্ধ কর এ স্লোগানে সাঙ্গু-চেঙ্গি ও কর্ণফুলী নদীসহ সকল নদী দখল-দুষণমুক্ত ও নদী রক্ষায় হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়নের দাবীতে ছাত্র যুব সমাবেশ করেছে পরিবেশবাদী যুব সংগঠন ‘গ্রীন ভয়েস’। রবিবার (৫সেপ্টেম্বর) সকালে বান্দরবান প্রেস ক্লাবের সামনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, অপরিকল্পিতভাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম সহ সারাদেশে পাহাড় কাটা ও বালু উত্তোলন বন্ধ কর, করতে হবে। পার্বত্য এলাকায় আজ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য হারাতে বসেছে। প্রকৃতিক এ বৈচিত্র্যময় পরিবেশকে ধ্বংস করে পাহাড় কেটে বাড়ি ঘর তৈরী করছে প্রভাবশালিরা। সেই সাথে কিছু অসাধু চক্র অবৈধ ভাবে পাথর উত্তোলন করে বিভিন্ন স্থানে পাচার করেই চলেছে। পরিবেশ বিরোধী মানুষগুলো আইনকে তোয়াক্কা না করে তাদের অবৈধ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এদের শাস্তি দিতে হবে।

বক্তারা আরো বলেন, পরিবেশ বিরোধীদের অশুভ তৎপরতায় পার্বত্য এলাকা থেকে চিরতরে হারিয়ে গেছে অসংখ্য দুর্লভ প্রজাতির বন্যপ্রাণী। এর বাইরে পার্বত্য অঞ্চলে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা ইটভাটা, পাহাড় কাটা, বালু ও পাথর উত্তোলন, গাছ কেটে বন উজাড় করে চলেছে। জুমচাষসহ অন্যান্য ফসলের অবৈজ্ঞানিক চাষাবাদ এখানকার প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের জন্যও অনেক দায়ী। বস্তুত এখানকার সহজ-সরল মানুষের অজ্ঞতা ও নির্বুদ্ধিতার সুযোগে কতিপয় পরিবেশ বিরোধীদের ধান্ধাবাজিতে নিষ্পেষিত এ পার্বত্য জনপদ। অপরিকল্পিত নগরায়নের নামে জনসংখার চাপ বাড়ায় আবাদি জমি ও বনাঞ্চলে গড়ে উঠছে আবাসিক স্থাপনা। এতে ক্রমাগত কমছে ফসলি জমি ও বনভূমির আয়তন। প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য ধ্বংস হচ্ছে, প্রকৃতিকে বাচাঁতে সবাইকে এক সাথে কাজ করা আহব্বান জানান গ্রীণ ভয়েস।

সমাবেশে পার্বত্য অঞ্চলে গ্রীন ভয়েস’ প্রধান সমন্ধয়ক সাচিনুং মারমা সভাপতিত্বে উপস্তিত ছিলেন, গ্রীন ভয়েস কেন্দ্রীয় পরিষদের প্রধান সমন্ধয়ক আলমগীর কবির, দিনাজপুর সরকারি রহমান কলেজে সাধারণ সম্পাদক ফারহানা রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক ফাতেহা শারমিন এনি সহ গ্রীন ভয়েস এর যুব সংগঠিনের কর্মীরা।