[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় গার্ল গাইডস এসোসিয়েশনের ৫দিনব্যাপি বিজ্ঞপাখি মৌলিক প্রশিক্ষণ সম্পন্নখাগড়াছড়ির দীঘিনালায় বাড়ির সদস্যদের অজ্ঞান করে দূর্ধষ চুরিগুণগত শিক্ষা জাতিগত ভেদাভেদ ভুলিয়ে দিতে পারবে: রাঙ্গামাটিতে জলখেলি অনুষ্ঠানে সুপ্রদীপনৃ-গোষ্ঠীর আগে ক্ষুদ্র শব্দটি ব্যবহার করতে চাই না: জলকেলীতে উপদেষ্টা সুপ্রদীপবান্দরবানের আলীকদমে মার্মা সম্প্রদায়ের মাহাঃ সাংগ্রাই পোয়েঃ-২০২৫ উৎসব পালনপুরোনো দিনের গ্লানি মুছে যাক সাংগ্রাইয়ের মৈত্রীময় জলেবান্দরবানের থানচিতে খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের গুড ফ্রাইডের উপহার দিলেন সেনাবাহিনীদীঘিনালায় রাতের আধাঁরে পাহাড় কাটার অভিযোগে ২লাখ টাকা জরিমানাখাগড়াছড়ির রামগড়ে গরু ঘাঁস খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১ আহত ৮অক্সিজেনের অভাবে বাঘাইছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১ মাস বয়সের শিশুর মৃত্যু
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে ফুট ব্রিজ ধসে ভোগান্তিতে চার পাড়াবাসী

৭০

॥ আকাশ মারমা মংসিং, বান্দরবান ॥

প্রায় তিনবছর আগেই বান্দরবান রোয়াংছড়ি উপজেলার দৌছড়ি পাড়া হতে বাঘমারা যাওয়া রাস্তায় নোয়াপতং খালের উপর নির্মিত ১২মিটার র্দৈঘ্যের আর সি সি ব্রীজটি ধসে পড়ে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে নোয়াপতং ইউনিয়নের সোনাইছড়ি সহ ৪টি পাড়ার গ্রামবাসীরা। যেখানে দুর্গম এলাকায় পাহাড়ী জনপদ ছ্যাপোশে পাড়া, গুংখ্যং পাড়া, সেপ্রু পাড়া, ও সোনাই সেপ্রু পাড়া চারটি গ্রামের প্রায় হাজারও মানুষের বসবাস। সংযোগ সড়ক না থাকায় প্রতিনিয়ত সেই গ্রামে লোকজন জীবন-জীবিকার প্রয়োজন মিটাতে পারাপারে একমাত্র র্নিভর ছিল বর্তমানের ভাঙা ব্রিজটি। দীর্ঘ তিনবছর ধরে ব্রিজটি ভেঙ্গে অকেজো হয়ে পড়ায় তাদের উৎপাদিত ফসল ও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস আনা-নেওয়ায় চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে।

জানা গেছে, বান্দরবান সদর হতেই ৯ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত রোয়াংছড়ি উপজেলা নোয়াপতং ইউনিয়নাধীন ৫নং ওয়ার্ড সোনাইছড়ি । ওই গ্রামে বসবাস করে প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবার। বর্তমান সরকার আমলে পাহাড়ে বিভিন্ন এলাকা উন্নয়নে ধারাবহিকতা অগ্রগতি থাকলেও সেই গ্রামের এখনও পৌছেনি বৈদ্যুতিক আলো নেই কোন নেটওয়ার্ক। কোনরকম সোলার আলো দিয়ে চলে ওই ইউনিয়নের এলাকাবাসী।

দীর্ঘ প্রায় তিনবছর আগেই তাদের চলাচলে সুবিধার্থে বরাদ্দ পাওয়ায় ত্রাণ ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ওই ইউনিয়নে খালের উপর নিমার্নাধীন ব্রিজ ভেঙ্গে যায়। এতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করতে হচ্ছে। ব্রিজটি পুনঃ নিমার্ণ ও সংস্কারে জন্য কয়েক দফা এলাকাবাসী মিলে গণস্বাক্ষরও দিয়েছেন। তাতে কোন পরিত্রাণ পাইনি আবার কেউ এগিয়েও আসেনি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ব্রিজের এক পাশে মাথা ভেঙে পড়ে আছে নদীর বুকে। তবুও ঝুঁকি নিয়ে ব্রিজ দিয়েই প্রতিদিন স্কুল পড়ুয়া কোমলমতি শিক্ষার্থীর, এলাকাবাসী ও ছোট ছোট যানবাহন সহ পারাপার হতে দেখা গেছে। তাছাড়া বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টিতে ব্রিজটিতে কোমড় ওপরে পানি ওঠে কাঁদা জমিয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েন। এসময় সাধারণ মানুষের পাড় হাওয়ার খুব কষ্টকর হয়ে উঠে। তবুও জীবনের তাগিদে বাধ্য হয়ে ঝুকি নিয়ে পাড় হতে গিয়ে অনেকে হতাহত শিকার হয়েছেন। তাদের কষ্ট লাঘব থেকে মুক্তি পেতে সেতুটি দ্রুত সংস্কার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

সেপ্রু পাড়ার বাসিন্দা গ্রাম প্রধান (কারবারি) সেফুঅং (৪০) জানান, আমাদের কষ্ট হচ্ছে ব্রিজ নিয়ে। প্রায় তিন হতে চারবছর ধরে এই ভাঙ্গা ব্রিজ দিয়ে চলাফেরা করছে স্থানীয়রা। এই ব্রিজ দিয়ে পরাপার করতে এলাকা মানুষজন কষ্ট পোহাতে হচ্ছে। তাই দ্রুত সংস্কারে জন্য দাবী জানাচ্ছি। গলেঙ লাল তঞ্চগ্যা (৮৫) জানান, গত তিন বছর ধরে এই ব্রিজ এইভাবে পড়ে আছে। দিন দিন গ্রামবাসীর ভোগান্তি বেড়ে যাচ্ছে। বর্ষা মৌসুম হলে আরও বেশি কষ্ট হয় । এই ব্রিজটি সংস্কারে জন্য এলাকাবাসি গনস্বাক্ষর দিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট দরখাস্ত জমা দিয়েছি, তবুও কোন কাজ হয়নি।

বাঘমারা এক মোটর বাইক চালক উথোয়াই মারমা (২৯) বলেন, আমরা ভাড়াচালিত বাইকে যাত্রী নিয়ে ভাঙ্গা ব্রিজ পাড় হওয়ার আগে যাত্রীকে নামিয়ে দিতে হয়। ব্রিজটি দ্রুত সংস্কার হলে এলাকাবাসি জন্য উপকারে আসবে পাশাপাশি যানবাহন চলাচল ও সুবিধা হবে। নোয়াপতং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অংথোয়াইচিং মারমা জানান, দীর্ঘ দিনের ব্রীজটি সংস্কারের জন্য এলাকাবাসীরা দাবি তুলেছেন। এলাকাবাসী সম্মতিক্রমে গণস্বাক্ষরের মাধ্যমে পার্বত্য মন্ত্রী বরাবরে দরখাস্ত জমাও দিয়েছি। কিন্তু এখনো এই ব্যাপারে কেউ কোন উদ্যোগ নেয়নি।

এ বিষয়ে রোয়াংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবদুল্যাহ আল জাবেদ জানান, রোয়াংছড়ি উপজেলার সোনাইছড়ি ব্রীজ এর জন্য এখনো কোন প্রকল্প বরাদ্ধ হয়নি। তবে প্রকল্পের জন্য আমরা দরখাস্ত দিয়েছি। প্রকল্প বরাদ্ধ হলে দ্রুত কাজ করা হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।