শ্রদ্ধায় ও ভালোবাসায় কাপ্তাইয়ে নির্মিত হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু চত্ত্বর’
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ভালোবেসে রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলার ১নং চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন বারঘোনিয়া গেইট এলাকায় নির্মিত হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন বঙ্গবন্ধু চত্বর। এ চত্ত্বরে থাকবে বঙ্গবন্ধুর নান্দনিক ছবি সমূহ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন পরিষদ ও রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ বঙ্গবন্ধু চত্ত্বরের এ প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এটির কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে। আগামী কিছু দিনের মধ্যে চত্ত্বরের কাজ শেষ হতে পারে বলে জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে।
চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নে বসবাসরত কাপ্তাই উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারন সম্পাদক আলিব রেজা লিমন জানান, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধা ও ভালোবেসে নির্মিত হওয়া নান্দনিক বঙ্গবন্ধু চত্ত্বরটি কাপ্তাই উপজেলায় একটি দৃষ্টিনন্দন স্থান হিসেবে রূপ নিবে। এটি কাপ্তাইকে আলোকিত করে তুলবে। চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বেবী জানান, রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ ও চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন পরিষদের যৌথ অর্থায়নে নির্মিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধু চত্বর। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনায় এই প্রথম নির্মিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধু চত্ত্বর। তিনি জানান, আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে এই চত্ত্বরের কাজ সমাপ্ত হতে পারে এবং সমাপ্ত হলেই জাঁকজমক পূর্ণভাবে বঙ্গবন্ধু চত্ত্বরের উদ্বোধন করা হবে।
বঙ্গবন্ধু চত্ত্বর সম্পর্কে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও প্রবীন রাজনীতিবিদ এম ইসমাইল ফরিদীর জানান, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি কাপ্তাইয়ের মনোরম চন্দ্রঘোনাস্থ কর্ণফুলী পেপার মিলের প্রবেশমুখ বারঘোনা গেইটে “বঙ্গবন্ধু চত্ত্বর” নির্মাণে সহযোগীতাকারী প্রতিষ্ঠান সমূহের প্রতি তিনি মোবারকবাদ জানান।
তিনি জানান, নির্মাণ কাজ শেষে সজ্জিত অবস্থায় বঙ্গবন্ধু চত্ত্বর দৃষ্টি গোচরে এলে এলাকাবাসী নতুন রুপে দেখবে এ অঞ্চলকে। এই মহামানবের আদর্শে উজ্জিবীত মানুষ অনাবিল আনন্দে রাজনীতিতে আত্মনিয়োগ করতে অনুপ্রোণিত হবে। বঙ্গবন্ধু চত্বর অতিক্রম করার পর কাপ্তাই উপজেলার পর্যটনস্পট গুলোর শোভাবর্ধন আরো বৃদ্ধি পাবে। যা পর্যটকদের মনিকোঠায় দোলা দেওয়াসহ পর্যটকদের বারবার কাপ্তাই আসতে প্রলুব্ধ করবে।