[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের ১ সদস্য সহ ৯জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানারামগড়ে সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের শিক্ষা সামগ্রী ও অভিভাবকদের গরু বিতরণরামগড়ে সীমা হোটেলের মালিককে জরিমানাকাপ্তাই চিৎমরম মুসলিম পাড়ায় ঈদ এ মিলাদুন্নবী পালনদীঘিনালায় সেনাবাহিনীর কর্তৃক চিকিৎসাসেবা ও বিনামূল্যে ঔষধ বিতরণখাগড়াছড়ির পানছড়িতে ভারতীয় অবৈধ পণ্য আটকপ্রবারণা উপলক্ষে রোয়াংছড়ি তারাছা ইউনিয়নে ফুটবল টুর্ণামেন্ট অনুষ্ঠিতপার্বত্য চট্টগ্রামে লাইভলিহুড ডেভেলপমেন্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু: উপদেষ্টা সুপ্রদীপখাগড়াছড়ির পানছড়িতে মৎস্যখাতে কোটি টাকার ক্ষতিলংগদুতে জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা ও ভিক্টিম সাপোর্ট বিষয়ক জনসচেতনতা সভা
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

দাবি ফুট ব্রীজটির কাজ দ্রুত শেষ করার

পিলারেই ৬বছর দাঁড়িয়ে ভোগান্তিতে লংগদুর হাজাছড়া পূর্ব মালদ্বীপ এলাকাবাসী

৬৮

॥ মোঃ আলমগীর হোসেন, লংগদু ॥

জেলার লংগদু উপজেলার সোনাই হাজাছড়া ও পূর্ব মালদ্বীপ এলাকার হাজারো মানুষের চাহিদার ফুট ব্রীজ যেন শেষ হইয়াও হইলো না শেষ। অসম্পূর্ন ব্রীজের কারনে নানান ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকার সকল শ্রেণীর পেশার মানুষ। পর্যাপ্ত বরাদ্দের অভাবে ব্রীজটি এখন ৬বছর ধরেই পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। এলাকাবাসীর দাবি ফুট ব্রীজটির কাজ দ্রুত শেষ করার।

স্থানীয়রা জানান, বিগত ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের তৎকালীন চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা সোনাই হাজাছড়া ও পূর্ব মালদ্বীপ এলাকার হাজারো মানুষের যোগাযোগ সুবিধার জন্য একটি ফুট ব্রীজ নর্মিাণের বরাদ্দ প্রদান করেন। সংশ্লিষ্ট টিকাদার উক্ত কাজ শুরু করলেও পিলার দাঁড় করানোর পর থেকে অত্যবধি ব্রীজটির কাজ শেষ করে দেয় নি। এ বছর ও বছর করতে করতেই এখন ৬ বছর পার হতে চলেছে। কাজ শেষ না করাতে এলাকার স্কুল পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রী ও ব্যবসায়ী মহল চরম দূর্ভোগে রয়েছে। অপর দিকে গত সোমবার ২৯ আগস্ট এই খালের এক পাড় হতে অন্য পাড়ে সাঁতার কেটে পাড় হতে গিয়ে রাজ মাহমুদ (৭২) নামের এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে ঠিকাদার শাহ মোঃ নজরুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, সোনাই হাজাছড়া হইতে পূর্ব মালদ্বীপ যাওয়ার পথে ছড়ার উপর ফুট ব্রিজ নির্মান প্রকল্পের জন্য রাঙামাটি জেলা পরিষদ ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে পনেরো লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেন তৎকালীন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, ও সদস্য শামীমা রশিদ। কাজটি আমি পেয়েছি এবং পনেরো লক্ষ টাকার কাজ করিয়েছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, এ কাজটি সম্পন্ন করার জন্য বরাদ্দ পেতে অনেক চেষ্টা তদবির করেছি কিন্তু সাবেক জেলা পরিষদের সদস্য মরহুম জানে আলমের বিরোধীতার কারনে নতুন করে আর বরাদ্দ হয়নি ফলে সেতুটির কাজ অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে ।

এব্যাপারে অত্র এলাকার বাসিন্দা আবু বকর সিদ্দিক মামুন বলেন ৫ নং ওয়ার্ড -এ একটি দাখিল মাদ্রাসা থাকার ফলে সোনাই বাজার নোয়াখালি পাড়া, ২ নাম্বার, মালদ্বীব, ১ নাম্বার ,৩ নাম্বার সহ এই ওয়ার্ড এর সকল শিক্ষার্থী এই নদী পার হয়ে মাদ্রাসায় বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে হয়। সেতুর অভাবে বাঁশের ভেলা দিয়ে পার হতে গিয়ে অনেক শিশু, স্কুল শিক্ষার্থী ভুগান্তিতে পড়তে হয়। শুধু তাই নয়, এর ফলে অনেক দুর্ঘটনার শিকারও হয়েছে শিক্ষার্থী সহ সাধারণ মানুষ জন। তাছাড়া এই নদী পার হতে শত শত শ্রমজীবি মানুষ তাদের কর্মস্থল সোনাই গাছের মিলে কাজ করতে যেতে বিরাট ভুগান্তি এবং কষ্টের শিকার হচ্ছে । আমরা অনেক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে আছি, তা না হলে কেনো একটি সেতু ৭বছরেও হলোনা ?