[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
বান্দরবানের থানচিতে ১৩মাস পর পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আংশিক প্রত্যাহারজিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে কাপ্তাইয়ে দুস্থদের মাঝে চাল বিতরণবান্দরবানে খুলে দেয়া হয়েছে লামা উপজেলার সকল রিসোর্টসীমান্তে পুশইন ও চোরাচালান ঠেকাতে তৎপর রয়েছে বাঘাইহাট বিজিবিলংগদু উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিজিবির টহল জোরদার: লে. কর্ণেল নাহিদ হাসানরাঙ্গামাটিতে বিয়ের প্রলোভনে কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় যুবক আটকপুশইন ও চামড়া পাচার রোধে রামগড় ৪৩ বিজিবির নিরাপত্তা জোরদাররাজস্থলীতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী পালনচামড়া পাচার ও সীমান্ত দিয়ে পুশইন ঠেকাতে বিজিবি টহল বাড়িয়েছেমাটিরাঙ্গা সেনা জোন কর্তৃক ঈদ উপহার ও মানবিক সহায়তা প্রদান
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

কাপ্তাই আসবাবপত্র শিল্পে ধস, বেকার ও ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছে অনেকে

১১৬

॥ কবির হোসেন, কাপ্তাই ॥

কাপ্তাই উপজেলায় আসবাবপত্র শিল্পে চরম ধস চলছে। বেকার ও ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছে এ কাজে জড়িত ব্যবসায়ী ও শ্রমিক। আসবাবপত্র শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখা খুবই জরুরী। এতে প্রশাসনকি সহযোগীতাও প্রয়োজন।

দেখা যায়, কাপ্তাই উপজেলায় প্রায় শতাধিক আসবাবপত্র দোকান মালিক এ ব্যবসায় পরিচালনা করে আসছে। দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর যাবৎ করোনা মহামারীর ফলে ব্যবসা বন্ধ রয়েছে। আসবাবপত্র সরবরাহ করতে না পাড়ায় লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যাংক লোন ও বিভিন্ন ঋণ নিয়ে দেনার দায়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। শত শত শ্রমিক বেকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। করোনাকালীন অনেক লোকই প্রণোদনা পেলেও এই শিল্পের সাথে জড়িতদের কেউ কোন খবর রাখেনি।

কাপ্তাই আসবাবপত্র (ফার্নিচার) ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি লিটন কান্তি দাশ জানান, ট্রানজিট পাস (টিপি)র, মাধ্যমে সরকারি গাছের লট ক্রয় করে থাকি। কোন ব্যক্তি বদলিজনিত এবং অবসরজনিত কর্মস্থল হতে চলে যাওয়ার সময় আসবাবপত্র নেওয়ায় বিশেষ পাশ নেওয়া হত। সে পাশ দেখিয়ে কাপ্তাই বা অন্যত্র হতে রাঙ্গামাটি জেলার বাহিরে নেওয়া হত। সম্প্রতি কিছু প্রশাসনিক জটিলতা ও বাধাগ্রস্ত হওয়ার ফলে তা বন্ধ রয়েছে বলে জানান।

কাপ্তাই আসবাবপত্র মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক মুহাম্মদ রাকিব বলেন, লক্ষ লক্ষ টাকা বিভিন্ন ব্যাংক লোন ও কিস্তি নিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছি। কোন মালামাল বাহিরের অর্ডার নেওয়ার পরও সরবরাহ করতে পারছি না। ব্যবসায়ী অনেকে দেউলিয়া হয়ে চলে গেছে। আর্থিক বিভিন্ন সংকট সহ প্রশাসনিক বিভিন্ন জটিলতার কথা উল্লেখ করেন। এদিকে কাপ্তাই শাপলা শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি ইকবাল হোসেন মাসুদ জানান, এ ফার্নিচার ব্যবসায় ধস নামার পাশাপাশি এ কাজে জড়িত শত শত শ্রমিক বেকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। আসবাবপত্র শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখা খুবই জরুরী। এতে প্রশাসনকি সহযোগীতাও প্রয়োজন।