[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

কাপ্তাই আসবাবপত্র শিল্পে ধস, বেকার ও ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছে অনেকে

১১৫

॥ কবির হোসেন, কাপ্তাই ॥

কাপ্তাই উপজেলায় আসবাবপত্র শিল্পে চরম ধস চলছে। বেকার ও ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছে এ কাজে জড়িত ব্যবসায়ী ও শ্রমিক। আসবাবপত্র শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখা খুবই জরুরী। এতে প্রশাসনকি সহযোগীতাও প্রয়োজন।

দেখা যায়, কাপ্তাই উপজেলায় প্রায় শতাধিক আসবাবপত্র দোকান মালিক এ ব্যবসায় পরিচালনা করে আসছে। দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর যাবৎ করোনা মহামারীর ফলে ব্যবসা বন্ধ রয়েছে। আসবাবপত্র সরবরাহ করতে না পাড়ায় লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যাংক লোন ও বিভিন্ন ঋণ নিয়ে দেনার দায়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। শত শত শ্রমিক বেকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। করোনাকালীন অনেক লোকই প্রণোদনা পেলেও এই শিল্পের সাথে জড়িতদের কেউ কোন খবর রাখেনি।

কাপ্তাই আসবাবপত্র (ফার্নিচার) ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি লিটন কান্তি দাশ জানান, ট্রানজিট পাস (টিপি)র, মাধ্যমে সরকারি গাছের লট ক্রয় করে থাকি। কোন ব্যক্তি বদলিজনিত এবং অবসরজনিত কর্মস্থল হতে চলে যাওয়ার সময় আসবাবপত্র নেওয়ায় বিশেষ পাশ নেওয়া হত। সে পাশ দেখিয়ে কাপ্তাই বা অন্যত্র হতে রাঙ্গামাটি জেলার বাহিরে নেওয়া হত। সম্প্রতি কিছু প্রশাসনিক জটিলতা ও বাধাগ্রস্ত হওয়ার ফলে তা বন্ধ রয়েছে বলে জানান।

কাপ্তাই আসবাবপত্র মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক মুহাম্মদ রাকিব বলেন, লক্ষ লক্ষ টাকা বিভিন্ন ব্যাংক লোন ও কিস্তি নিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছি। কোন মালামাল বাহিরের অর্ডার নেওয়ার পরও সরবরাহ করতে পারছি না। ব্যবসায়ী অনেকে দেউলিয়া হয়ে চলে গেছে। আর্থিক বিভিন্ন সংকট সহ প্রশাসনিক বিভিন্ন জটিলতার কথা উল্লেখ করেন। এদিকে কাপ্তাই শাপলা শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি ইকবাল হোসেন মাসুদ জানান, এ ফার্নিচার ব্যবসায় ধস নামার পাশাপাশি এ কাজে জড়িত শত শত শ্রমিক বেকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। আসবাবপত্র শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখা খুবই জরুরী। এতে প্রশাসনকি সহযোগীতাও প্রয়োজন।