[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
খাগড়াছড়ির পানছড়িতে ১০ ওয়াকিটকি সহ এক ব্যক্তিকে আটক করেছে সেনাবাহিনীবান্দরবানের লামায় সাড়ে ৬ লাখ ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি চারা ধ্বংসখাগড়াছড়ির রামগড়ে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ব্যক্তি গ্রেফতারদীঘিনালায় নবাগত ইউএনও শান্তি ও উন্নয়নে সবার সহযোগীতা চাইলেনবান্দরবানের আলীকদমে বন্দুকের গুলিতে পর্যটকের মৃত্যু, চার বন্ধু আটকদীঘিনালায় কৃত্তি শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা বিভাগের পুরস্কার বিতরণমাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দূর্ঘটনায় রাঙ্গামাটির উক্য চিং মারমাও মারা গেলখাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় অস্ত্র, গুলি ও সামরিক সরঞ্জাম উদ্ধারপাহাড়ের উন্নয়নে ঐক্য ও সম্প্রীতির বিকল্প নেই: খাগড়াছড়িতে নাহিদ ইসলামদীঘিনালায় নদীর গর্ভে বিলিন রাস্তা সাঁকো দিয়ে চলাচল
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

কাপ্তাই আসবাবপত্র শিল্পে ধস, বেকার ও ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছে অনেকে

১১৭

॥ কবির হোসেন, কাপ্তাই ॥

কাপ্তাই উপজেলায় আসবাবপত্র শিল্পে চরম ধস চলছে। বেকার ও ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছে এ কাজে জড়িত ব্যবসায়ী ও শ্রমিক। আসবাবপত্র শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখা খুবই জরুরী। এতে প্রশাসনকি সহযোগীতাও প্রয়োজন।

দেখা যায়, কাপ্তাই উপজেলায় প্রায় শতাধিক আসবাবপত্র দোকান মালিক এ ব্যবসায় পরিচালনা করে আসছে। দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর যাবৎ করোনা মহামারীর ফলে ব্যবসা বন্ধ রয়েছে। আসবাবপত্র সরবরাহ করতে না পাড়ায় লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যাংক লোন ও বিভিন্ন ঋণ নিয়ে দেনার দায়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। শত শত শ্রমিক বেকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। করোনাকালীন অনেক লোকই প্রণোদনা পেলেও এই শিল্পের সাথে জড়িতদের কেউ কোন খবর রাখেনি।

কাপ্তাই আসবাবপত্র (ফার্নিচার) ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি লিটন কান্তি দাশ জানান, ট্রানজিট পাস (টিপি)র, মাধ্যমে সরকারি গাছের লট ক্রয় করে থাকি। কোন ব্যক্তি বদলিজনিত এবং অবসরজনিত কর্মস্থল হতে চলে যাওয়ার সময় আসবাবপত্র নেওয়ায় বিশেষ পাশ নেওয়া হত। সে পাশ দেখিয়ে কাপ্তাই বা অন্যত্র হতে রাঙ্গামাটি জেলার বাহিরে নেওয়া হত। সম্প্রতি কিছু প্রশাসনিক জটিলতা ও বাধাগ্রস্ত হওয়ার ফলে তা বন্ধ রয়েছে বলে জানান।

কাপ্তাই আসবাবপত্র মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক মুহাম্মদ রাকিব বলেন, লক্ষ লক্ষ টাকা বিভিন্ন ব্যাংক লোন ও কিস্তি নিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছি। কোন মালামাল বাহিরের অর্ডার নেওয়ার পরও সরবরাহ করতে পারছি না। ব্যবসায়ী অনেকে দেউলিয়া হয়ে চলে গেছে। আর্থিক বিভিন্ন সংকট সহ প্রশাসনিক বিভিন্ন জটিলতার কথা উল্লেখ করেন। এদিকে কাপ্তাই শাপলা শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি ইকবাল হোসেন মাসুদ জানান, এ ফার্নিচার ব্যবসায় ধস নামার পাশাপাশি এ কাজে জড়িত শত শত শ্রমিক বেকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। আসবাবপত্র শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখা খুবই জরুরী। এতে প্রশাসনকি সহযোগীতাও প্রয়োজন।