[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে খাগড়াছড়ির গুইমারা রিজিয়ন ও সিন্দুকছড়ি জোনগুইমারায় ওয়াদুদ ভুইয়ার পক্ষে গণসংযোগ ও বিএনপির ৩১ দফা প্রচারখাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলা ও পৌর মহিলা দলের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিতখুচরা সার বিক্রেতাদের লাইসেন্স স্থগিতে সিদ্ধান্তে মাটিরাঙ্গায় ক্ষোভখাগড়াছড়ির রামগ‌ড়ে ভোট ফর ধা‌নের শীষ এর ক্যাম্পেইনমাটিরাঙ্গায় সাংবাদিকদের সাথে ইউএনও’র মতবিনিময়খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় সেনাবাহিনীর মানবিক সহায়তা প্রদানখাগড়াছড়ির দীঘিনালায় খুচরা সার বিক্রেতাদের মানববন্ধনছাত্রনেতা জুবায়েদ হত্যার প্রতিবাদে দীঘিনালা কলেজ ছাত্রদলের বিক্ষোভমাটিরাঙ্গায় সেনা অভিযানে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

বান্দরবানের সাঙ্গু ও মাতামুহুরী রির্জাভে বীজ ছিটালো বনবিভাগ

গাছপালা বিলিন হচ্ছে এর ফলে পানি সংকট তৈরী হচ্ছে: ব্রিগেডিয়ার জিয়াবুল হক

৬৮

॥ সুশান্ত কান্তি তঞ্চঙ্গ্যাঁ, আলীকদম ॥

মুজিব বর্ষ উপলক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রথম বারের মত বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনীর সহযোগিতায় বন বিভাগ মাতামুহুরী সাঙ্গু দূর্গম সংরক্ষিত বনাঞ্চলে বনায়ন কর্মসূচী গ্রহন করেছে। এ কর্মসূচীর আওতায় মঙ্গলবার বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার যোগে আকাশ থেকে সীডবল নিক্ষেপের মাধ্যমে দূর্গম সংরক্ষিত বনাঞ্চলে বীজ ছিটানো হয়।  মঙ্গলবার (৩১ আগষ্ট ) সাড়ে দশটায় আলীকদম সেনা জোনের হেলিপ্যাডস্থ সবুজায়ন মাঠে এই কর্মসূচীর শুভ উদ্ধোধন করেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বান্দরবান রিজিয়নের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ জিয়াবুল হক।

উক্ত অনুষ্টানে অতিথি হিসেবে আলীকদম ৫৭ বিজিবির অধিনায়ক মোঃ ইফতেখার হোসেন, চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক মোঃ আব্দুল আউয়াল সরকার, লামা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস.এম কায়চার, বান্দরবানের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ফরিদ মিঞা, উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কালাম, বান্দরবান জেলা পরিষদের সদস্য দুংড়িমং মার্মা,ফাতেমা পারুলসহ সেনাবাহিনী,স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বনবিভাগের বিভিন্ন কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতা, সাংবাদিকসহ উপস্থিত ছিলেন।

বান্দরবান সেনা রিজিয়নের ব্রিগেডিয়ার জেণারেল মোঃ জিয়াবুল হক বলেন, এটি একটি মহতী উদ্যোগ। বান্দরবানের দুইটি সংরক্ষিত বনাঞ্চলে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে বীজ ছিটানো হচ্ছে। আমরা চাই এখানের জীব বৈচিত্র্য রক্ষা হোক, মানুষ প্রকৃতির সাথে যেন মিশে থাকুক। বর্তমানে গাছপালা বিলিন হচ্ছে এর ফলে পানি সংকট তৈরী হচ্ছে। গাছপালা বাড়লে পানি সংকট থাকবে না, জীববৈচিতত্র্য বাড়বে। গাছপালা বাড়লে বন্যপ্রাণীরা আর জনসম্মুখে আসবে না। তার জন্য যে বীজ গুলো ছিটানো হচ্ছে তা যে কেউ নষ্ট না করে, তার জন্য আমরা সচেষ্ট থাকবো।

লামা বনবিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা এস.এম কায়চার বলেন, বিলুপ্ত ও বনাঞ্চল সৃষ্টির সহায়ক ৩০ প্রজাতীর বীজ সীডবলের মাধ্যমে ছিটানো হচ্ছে। তার মধ্যে ৬ শত কেজি আনুমানিক ৫ লক্ষ বীজ মাটি সংমিশ্রণের মাধ্যমে প্রক্রিয়াজাত করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সিএইচটিডবিউসিএ এসআইডি-সিএইচটি প্রকল্পের মাধ্যমে এ কর্মসূচী বাস্থবায়ন করা হচ্ছে। তারমধ্যে চাপরাশি,চম্পা,হারগাজা,জাম,গামার,তেলশুরসহ প্রায় ৩০ প্রজাতির বীজ আছে।

উদ্ধোধন শেষে মাটি মিশ্রীত সীডবল ভর্তি বক্স গুলো হেলিকপ্টারের করে দূর্গম সংরক্ষিত বনাঞ্চলে ছিটানোর উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়।