[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

লামায় সড়কের বেহালদশা, ভোগান্তিতে ১৫ হাজার মানুষ

৩৮

॥ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ॥

খানাখন্দকে ভরা লামার ইয়াংছা-ত্রিশডেবা ১৩ কিলোমিটার এইচবিবি সড়ক। সড়কটির এতই বেহালদশা যে রাস্তার মাঝে মাঝে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ সড়কটি দিয়ে চলাচলকারী পথচারী ও যাত্রীদের ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে প্রতিনিয়তই। বর্ষাকালে কাঁদা-পানিতে রাস্তাটি ডুবে থাকায় যানবাহন তো দূরের কথা পায়ে হেটে চলাফেরা করাও কঠিন। ফলে একটু বৃষ্টি হলে খানাখন্দ ও কাঁদার কারণে ৩ ওয়ার্ডের ২৭টি গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে বলে জানায় এলাকাবাসী।

স্থানীয়রা জানায়, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক কয়েকটি প্যাকেজে ২০০৯ সাল থেকে ইয়াংছা-ত্রিশডেবা ১৩ কিলোমিটার এই সড়কটি নির্মাণ করা হয়। তারপর কয়েকবার রাস্তাটি মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ হয়। মেরামত কাজের অনিয়ম ও এই সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত অবৈধ পাথর, গাছ, বালুর ট্রাক চলাচলের কারণে রাস্তাটির এ অবস্থা হয়েছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ১, ২ ও ৯নং ওয়ার্ডের ঠান্ডাঝিরি, ছোট পাড়া, বড় পাড়া, বনপুর বাজার, গয়ালমারা, রাজাপাড়া, ওয়াক্রা পাড়া, রামগতি, মহেশখালি পাড়া, ত্রিশডেবা সহ ২৭টি গ্রামের জনসাধারণ এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে। দীর্ঘদিন যাবত সংস্কারের অভাবে বেহালদশা সড়কটির।

বড় মার্মা পাড়ার বাসিন্দা ও ৯নং ওয়ার্ডের ইউ.পি সদস্য আপ্রুচিং মার্মা বলেন, আমরা পুরোপুরি অসহায়। এ রাস্তার সংস্কার কাজ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও কোনো এক অজানা কারনে তা শুরু হচ্ছে না। রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে। রাস্তা নষ্ট হওয়ায় মালবাহী, যাত্রীবাহী, জীপ, সিএনজি, পিকআপ, মোটর সাইকেল সহ আরো অনেক গাড়ি যাতায়াত করতে পারছেনা। কতদিন এলাকাবাসীর এই ভোগান্তি সহ্য করতে হবে জানিনা।

ইয়াংছা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মফিজ বলেন, এসাইনমেন্ট সহ নানা কাজে স্কুলে কলেজ মাদ্রাসার শত শত ছাত্র-ছাত্রী যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু রাস্তার বেহাল অবস্থা সৃষ্টি হওয়ায় প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। এতে যাতায়াতকারীরা পরছে চরম ভোগান্তিতে। অসংখ্য গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় স্বল্প সংখ্যক গাড়ী চলাচল করায় নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে ওই এলাকার মানুষদের।

ফাঁসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান জাকের হোসেন মজুমদার বলেন, উক্ত রাস্তা সংস্কারের দাবীতে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, এমপি, সহ উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।

ইয়াংছা-ত্রিশডেবা বেহাল সড়ক নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বান্দরবানের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ ইয়াছিন আরাফাত বলেন, কয়েকদিন আগেও সংস্কার করা হয়েছিল সড়কটি। বর্ষা শেষে সড়কটি আবার সংস্কার করা হবে।