[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় গার্ল গাইডস এসোসিয়েশনের ৫দিনব্যাপি বিজ্ঞপাখি মৌলিক প্রশিক্ষণ সম্পন্নখাগড়াছড়ির দীঘিনালায় বাড়ির সদস্যদের অজ্ঞান করে দূর্ধষ চুরিগুণগত শিক্ষা জাতিগত ভেদাভেদ ভুলিয়ে দিতে পারবে: রাঙ্গামাটিতে জলখেলি অনুষ্ঠানে সুপ্রদীপনৃ-গোষ্ঠীর আগে ক্ষুদ্র শব্দটি ব্যবহার করতে চাই না: জলকেলীতে উপদেষ্টা সুপ্রদীপবান্দরবানের আলীকদমে মার্মা সম্প্রদায়ের মাহাঃ সাংগ্রাই পোয়েঃ-২০২৫ উৎসব পালনপুরোনো দিনের গ্লানি মুছে যাক সাংগ্রাইয়ের মৈত্রীময় জলেবান্দরবানের থানচিতে খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের গুড ফ্রাইডের উপহার দিলেন সেনাবাহিনীদীঘিনালায় রাতের আধাঁরে পাহাড় কাটার অভিযোগে ২লাখ টাকা জরিমানাখাগড়াছড়ির রামগড়ে গরু ঘাঁস খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১ আহত ৮অক্সিজেনের অভাবে বাঘাইছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১ মাস বয়সের শিশুর মৃত্যু
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা

সত্যটাকে চিহ্নিত করা জরুরী অন্যথায় একপেশে হয়ে দাঁড়াবে

৫৩

রাজনৈতিক অপশক্তি, দখল দারিত্ব, ক্ষমতার অপব্যবহার, সত্যকে মিথ্যা, মিথ্যাকে সত্য আর লুটপাটের কারনে পার্বত্য চট্টগ্রামের কোন না কোন স্থানে মানুষ যেন নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেই। লুটেরা সুবিধাবাদীরা তাদের লুটপাটকে নিজের কব্জায় নিতে অসহায় ও প্রতিবাদকারী মানুষকে আরো অসহায় করতে অহরহ ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে। এসব লুটেরা ষড়যন্ত্রকারী হোতাদের কারনে কোথাও কোথাও মানুষ তাদের সম্মান হারাচ্ছেন আবার কেউ কেউ নিঃস্বও হয়ে পড়ছেন। তাদের কাছ থেকে সাংবাদিক কিংবা সংবাদকর্মীও রেহায় পাচ্ছে না। কোন ঘটনার সরেজমিন সংবাদ লিখতে গিয়ে ষড়যন্ত্রকারীরা উল্টো সাংবাদিককে আসামী করছে।

জানা গেল, শহরের চম্পক নগর এলাকায় জনৈকা সঞ্জু বড়ুয়াকে ভিটেমাটি ছাড়া করতে বিগত ৫/৬ বছর ধরে উটে পড়ে লেগেছে চট্টগ্রামের রহমতগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা নীহার কান্তি দাশ। কারন হিসেবে জানা গেছে মৃত ভাই তুষার কান্তি দাশের জায়গা দাবি করে দীর্ঘ ৩৫ বছর পর নীহার কান্তি দাশ সঞ্জু বড়ুয়াকে ভিটেমাটি ছাড়া করতে রীতিমতন রাজনৈতিক লুটেরা বাহিনী নিয়ে মাঠে নেমেছেন। সত্যকে মিথ্যা, মিথ্যাকে সত্য বানিয়ে তিনি তাঁর কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে সত্য হলো তাঁর মৃত ভাইয়ের নামে ১০২নং রাঙ্গাপানি মৌজার অংশ চম্পক নগরে রাজবাড়ী খাজনা প্রদান সুত্রে তাঁর জায়গা আছে এবং তিনি বন্দোবস্ত আছে বলেও দাবি করছেন। এছাড়াও তাঁর ভাইয়ের জায়গায় একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে বলেও দাবি করছেন। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে তিনি জেলা প্রশাসন বা ভুমি অফিসের মাধ্যমে তাঁর ভাইয়ের জায়গা চিহ্নত না করে অহেতুক অসহায়দের উপর নানান মামলা হামলার জন্ম দিয়ে যাচ্ছেন। এভাবেই টানা গন্ডোগল পাকিয়ে রাজনৈতিক লুটেরা বাহিনী দিয়ে সঞ্জু বড়ুয়া ও তাঁর পক্ষে প্রতিবাদকারী প্রতিবেশী সন্ধ্যা রাণি দাশ এর সন্তানদের উপরও হামলা মামলা করাচ্ছেন। অথচ জমির বিরোধ নিষ্পত্তি আইনীভাবে সম্বব এবং সেটাই করা উচিৎ।

স্থানীয়দের অভিযোগ নীহার কান্তি দাশকে খুঁটি হিসেবে ব্যবহার করে মুলত রাজনৈতিক লুটেরা বাহিনীর দল সঞ্জু বড়ুয়া ও তাঁর পক্ষে প্রতিবাদকারী প্রতিবেশী সন্ধ্যা রাণি দাশকে স্বমূলে উচ্ছেদে এসব মিথ্যা পাকাপোক্ত কাজ করে যাচ্ছে। অর্থাৎ নীহার কান্তি দাশকে সঠিক পথে না নিয়ে উল্টোপথে পরিচালিত করছেন। অপর দিকে জনৈকা সঞ্জু বড়ুয়ার ছেলের বউ বিথিকা বড়ুয়া জানিয়েছেন পূর্ব মামলায় রাঙ্গামাটি জেলা যুগ্ম জজ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলতি বছরের ২৫ মার্চ শহরের চম্পক নগর এলাকায় ৪০ বছর ধরে বসবাসকারী সঞ্জু বড়ুয়ার ভাড়া টিয়ার বাসায় রাজনৈতিক লুটেরা বাহিনী নিয়ে জোর পূর্বক বিদ্যুৎ মিটার বসাতে গিয়ে আবারো মারামারি ঘটনার জন্ম দেয়। এসব ঘটনা অস্বাভাবিকও কিছু নয় কেননা বিভিন্ন স্থানে জায়গা-জমি নিয়ে অনেক বিরোধ রয়েছে, আছে এবং হচ্ছে। কিন্তু কোন স্থানে অসামাজিক বা কোন দূর্ঘটনা ঘটলে সাংবাদিকগন সংবাদ সংগ্রহ করতে ঘটনাস্থলে যাবেন বা যাচ্ছেন। কিন্তু প্রতিহিংসা পরায়ন বা প্রতিপক্ষ ভেবে কেউ যদি সাংবাদিককে এসব ঘটনার ইন্ধনদাতা বানানো হয় এবং আসামী করা হয় তখন স্বভাবতই লজ্জ্যার হয়ে দাঁড়ায়। ঠিক এমটি ঘটেছে সাংবাদিক মিলটন বড়ুয়ার বেলাতেও তিনি মারামারির ঘটনার সংবাদ প্রকাশ করলে তাঁকে ঐ মারামারির ইন্ধনদাতা হিসেবে দেখিয়ে থানায় মামলা করেছেন অশিতিপর নীহার কান্তি দাশ। পুলিশও তাঁকে ইন্ধনদাতা দেখিয়ে চার্জসীট দিয়েছেন, অতএব আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল সাংবাদিক মিলটন বড়ুয়া গত ১৭ আগষ্ট তাঁর আইনজীবির মাধ্যমে জামিন প্রার্থনা করলে রাঙ্গামাটি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সবুজ পাল এর আদালত তাঁকে জেলে প্রেরণ করেন। পরে ১৯ তারিখ আবারো জামিন চাইলে বিজ্ঞ সিনিয়র চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রবাল চক্রবর্ত্তী’র আদালত প্রেস ক্লাব এর সভাপতির জিম্মায় তাঁকে জামিনে মুক্তি দেন।

কথা হলো সাংবাদিক ও সংবাদকর্মী রাষ্ট্র এবং জনক্যাল্যাণে আইনগতভাবে তাঁর সংবাদ সংগ্রহ এবং প্রকাশ করার অধিকার রয়েছে। তিনি পক্ষ বিপক্ষের কথা বলবেন তাই বলে এই নয় যে, সাংবাদিককে প্রতিপক্ষ ভাববে বা আসামী করবে। তবে এখানে আইনের উর্দ্ধে কেউ নয়। লক্ষ্য করা যাচ্ছে, মূলত পিছন থেকে রাজনৈতিক লুটেরা বাহিনী এইসব কাজ করিয়ে যাচ্ছে অথচ এসবের বিষয়ে প্রশাসনের সঠিক এবং সত্যটাকে চিহ্নিত করা জরুরী, অন্যথায় একপেশে হয়ে দাঁড়াবে। সাধারণ মানুষও কষ্ট পাবে।