[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
উন্নয়ন কর্মকান্ডে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারীদের প্রশ্রয় দেওয়া হবে না: বিজিবি রাজনগর জোন কমান্ডারবান্দরবানের লামা হাসপাতালে প্রথম সাপে কামড়ানো রোগীকে বাঁচালো চিকিৎসকদুর্যোগকালীন ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ১০আরই ব্যাটালিয়নের খাদ্যসামগ্রী বিতরণকাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়োজনে বিশ্ব তামাক দিবস উদযাপনরাঙ্গামাটির রাজস্থলীস্থ কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহার নিরাপত্তায় দেওয়াল নির্মানের দাবিকাপ্তাইয়ে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ সম্পন্ন ও পুরস্কার বিতরণবরকলে গৃহহীন পরিবারের পাশে আইমাছড়া ইউপি চেয়ারম্যানবান্দরবানের থানচিতে পাহাড় ধসের শঙ্কা, নিম্নাঞ্চলের মানুষের জনজীবন দুর্ভোগেবান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে বিজিবির জব্দ গরু ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা সংঘর্ষে আহত ৪বান্দরবানের থানচিতে পাহাড় ধসে গুরুতর আহত ১
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

মডেল মসজিদ নির্মাণে ধীরগতি

বান্দরবানের লামায় শর্ট পিলারেই দুই বছর পার, ভোগান্তিতে মুসল্লিরা

৩৪

॥ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম,লামা ॥

বান্দরবানের লামা উপজেলা সদরে মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজ দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধ রয়েছে। ২০১৯ সালের ৩০ অক্টোবর গণপূর্ত বিভাগের তদারকিতে এবং ইসলামী ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে প্রায় ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে মডেল মসজিদটি নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ইতিমধ্যে প্রায় দুই বছর পার হয়ে গেলেও ৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়নি। ফলে নির্ধারিত সময়ে নির্মাণ শেষ না হওয়ায় উপজেলার প্রাণ কেন্দ্রে শত শত মুসল্লিদের নামাজ আদায় এবং মুসলমানদের ধর্মীয় এবাদত করতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

এদিকে দুইবছর পার হলেও মডেল মসজিদ নির্মাণে মাটির নিচের অবকাঠামো এবং মাটির উপরে বিমের কাজ শেষে থমকে আছে নির্মাণকাজ। যার কারণে রডগুলো মরিচা পড়ে নষ্ট হচ্ছে। ফলে দিনে দিনে রডের কার্যক্ষমতা কমছে বহুগুণে। আর এমন দৃশ্য দেখে উপজেলার সাধারণ মানুষের মনে ক্ষোভ আর হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। সূত্রে জানা গেছে, ইসলামী ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে ও গণপূর্ত বিভাগের তদারকিতে দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মডেল মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকার।

জানা যায়, সারাদেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণেত উদ্যোগ নেয় সরকার। ২০১৯ সালের ৩০ অক্টোবর প্রায় ১২ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ব্যয়ে লামা মডেল মসজিদ ও ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০২০ সালের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ করার সরকারি ঘোষণা থাকলেও ২০২১ সালেও মাটির নিচের অবকাঠামো এবং মাটির উপরে শর্ট বিমের মধ্যে ঠেকে আছে।

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্সে নারী ও পুরুষদের পৃথক অজু ও নামাজ আদায়ের সুবিধা, লাইব্রেরি গবেষণা ও দীনি দাওয়া কার্যক্রম, পবিত্র কুরআন হেফজ, শিশু শিক্ষা, অতিথিশালা, বিদেশি পর্যটকদের আবাসন, মৃতদেহ গোসলের ব্যবস্থা, হজযাত্রীদের নিবন্ধন, প্রশিক্ষণ, ইমামদের প্রশিক্ষণ ইত্যাদি ব্যবস্থা থাকবে।

সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ২০১৯ সালে লামা কোর্ট মসজিদটি ভেঙ্গে ফেলায় পাশে উপজেলা গণ-পাঠাগারের ছোট একটি কক্ষকে অস্থায়ী মসজিদ হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। অস্থায়ী মসজিদটিতে সর্বোচ্চ ৫০/৬০ জন মুসল্লি গাদাগাদি করে নামাজ পড়তে পারে। কেন্দ্রীয় মসজিদ হওয়ায় পূর্বে এই মসজিদটিতে প্রতি ওয়াক্তে দুই থেকে তিন শত মুসল্লি নামাজ আদায় করত। এছাড়া জুমার নামাজ ও বিশেষ দিনে সহস্রাধিক মানুষ এই মসজিদের নামাজ আদায় করত। কিন্তু বর্তমার অস্থায়ী মসজিদ খুবই ছোট হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে দ্বীনদার মানুষ গুলো।
এ বিষয়ে ঠিকাদার আনোয়ার হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ফান্ড না পাওয়ায় কাজ করতে পারছিনা। প্রকল্পের ফান্ড পাওয়া মাত্র কাজ শুরু করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রেজা রশীদ বলেন, শুনেছি নির্মাণ কাজে ফান্ডের ঘাটতি আছে। প্রকল্পের অর্থ ছাড় দিলে ঠিকাদার কাজ শুরু করবে।