[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় গার্ল গাইডস এসোসিয়েশনের ৫দিনব্যাপি বিজ্ঞপাখি মৌলিক প্রশিক্ষণ সম্পন্নখাগড়াছড়ির দীঘিনালায় বাড়ির সদস্যদের অজ্ঞান করে দূর্ধষ চুরিগুণগত শিক্ষা জাতিগত ভেদাভেদ ভুলিয়ে দিতে পারবে: রাঙ্গামাটিতে জলখেলি অনুষ্ঠানে সুপ্রদীপনৃ-গোষ্ঠীর আগে ক্ষুদ্র শব্দটি ব্যবহার করতে চাই না: জলকেলীতে উপদেষ্টা সুপ্রদীপবান্দরবানের আলীকদমে মার্মা সম্প্রদায়ের মাহাঃ সাংগ্রাই পোয়েঃ-২০২৫ উৎসব পালনপুরোনো দিনের গ্লানি মুছে যাক সাংগ্রাইয়ের মৈত্রীময় জলেবান্দরবানের থানচিতে খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের গুড ফ্রাইডের উপহার দিলেন সেনাবাহিনীদীঘিনালায় রাতের আধাঁরে পাহাড় কাটার অভিযোগে ২লাখ টাকা জরিমানাখাগড়াছড়ির রামগড়ে গরু ঘাঁস খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১ আহত ৮অক্সিজেনের অভাবে বাঘাইছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১ মাস বয়সের শিশুর মৃত্যু
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

লামায় ভুল চিকিৎসায় শিশু মৃত্যুর অভিযোগ

৪২

॥ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ॥

বান্দরবানের লামা উপজেলার আজিজনগর জেনারেল হাসপাতালের ডাক্তারের বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসায় তিন বছরের এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। ১৮ আগস্ট বুধবার সকাল ৮টায় আজিজনগর জেনারেল হাসপাতাল থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল নিয়ে যাওয়ার পথে শিশুটির মৃত্যু হয় বলে জানায় তার বাবা। শিশুটির নাম ইয়াছিন আরাফাত (৩)। সে চকরিয়া উপজেলার মাইজ কাকারা এলাকার বেলাল হোসেন এর ছেলে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, শিশুটিকে হার্নিয়ার অস্ত্রোপাচারের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল চকরিয়ার মালুমঘাট হাসপাতালে। পথে এক দালালের খপ্পরে পড়ে ২০ হাজার টাকা চুক্তিতে অস্ত্রোপাচার করাবে বলে নিয়ে আসে লামার আজিজনগর জেনারেল হাসপাতালে। কথা মতো চুক্তি হয় আজিজনগর জেনারের হাসপাতালের ডাক্তার জেমস ইটেনের সাথে। কোন এ্যানেসথিওলজিস্ট ছাড়াই ১৭ আগস্ট বিকাল ৫ টায় অস্ত্রোপাচার করেন ডাক্তার জেমস ইটেন। তাতেই শেষ নয়। যেখানে তিন বছরের এই শিশুটিকে অস্ত্রোপাচারের পর ক্লিন্ডামাইসিন ইনজেকশন ফর্ম ব্যবহার করাটা উচিত ছিল সেখানে ক্লিন্ডামাইসিন ক্যাপসুল ব্যবহার করেছেন যার কারনে এই ক্যাপসুল গলা শ্বাস নালিতে আটকে শিশুটির মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিয়ে হাসপাতালের সামনে উত্তেজনার সৃষ্টি হলে আজিজনগর পুলিশ ক্যাম্পের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়।

শিশুটির বাবা মোঃ বেলাল বলেন, ‘১৮ আগস্ট সকাল বেলা তিন বছরের এই ছোট্ট শিশুটিকে যখন এই ক্যাপসুল খাওয়ানো হয় সাথে সাথে তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। হাসপাতালে দ্বায়িত্বরত ডাক্তার এবং নার্সরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েও অবস্থার অবনতি হওয়ায় জরুরীভাবে শিশুটিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। কিন্তু ঐখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষনা করে।

শিশুটির নানি বলেন, ‘সকাল সাড়ে সাতটা বাজে আমার নাতিকে হাসপাতালের একজন নার্স এসে জোর করে নাক চেপে ধরে এই ক্যাপসুলটি খাওয়ায় দেয় এবং খাওয়ানোর পর পরেই তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যায়। তিন বছরের বাচ্চাকে ক্যাপসুল খাওয়াতে আমি জীবনেও দেখিনি।’

লামা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মহিউদ্দিন মাজেদ চৌধুরী বলেন, ‘এটা অবশ্যই ভুল চিকিৎসা। বাচ্চাটিকে ক্যাপসুল না দিয়ে ইনজেকশন ফর্ম ব্যবহার করতে পারতো। তাছাড়াও এ্যানেসথিওলজিস্ট ছাড়া কোন ভাবে এই হার্নিয়া অস্ত্রোপাচার সম্ভব না। যদি করে থাকে সেটাও অপরাধ।

বান্দরবানের সিভিল সার্জন অংসুই প্রু মারমা বলেন, ‘এই হাসপাতালের নামে অসংখ্য অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছে। হাসপাতালটির কোন অনুমোদন নেই। তবে জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছিল। কিন্তু যথেষ্ট অনিয়ম ধরা পড়াতেই তাদেরকে অনুমোদন দেওয়া হয়নি। খুব শীঘ্রই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’