[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়োজনে বিশ্ব তামাক দিবস উদযাপনরাঙ্গামাটির রাজস্থলীস্থ কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহার নিরাপত্তায় দেওয়াল নির্মানের দাবিকাপ্তাইয়ে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ সম্পন্ন ও পুরস্কার বিতরণবরকলে গৃহহীন পরিবারের পাশে আইমাছড়া ইউপি চেয়ারম্যানবান্দরবানের থানচিতে পাহাড় ধসের শঙ্কা, নিম্নাঞ্চলের মানুষের জনজীবন দুর্ভোগেবান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে বিজিবির জব্দ গরু ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা সংঘর্ষে আহত ৪বান্দরবানের থানচিতে পাহাড় ধসে গুরুতর আহত ১রাঙ্গামাটির রাজস্থলী উপজেলায় বন্যহাতির তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড বসতবাড়িকাপ্তাই উপজেলায় পাহাড় ধ্বসের ঝুঁকিতে এক হাজার পরিবারদীঘিনালায় আশ্রয় কেন্দ্রে বিএনপি’র ত্রান সহায়তা
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

২৪ ঘন্টার মধ্যে বিকল্প বেইলী ব্রিজ নির্মাণ

লামা-আলীকদম-চকরিয়া সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক

৩৯

॥ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ॥

২৪ ঘন্টার মধ্যে বিকল্প বেইলী সেতু নির্মাণ করে লামা-আলীকদম-চকরিয়া প্রধান সড়কের যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল করল সড়ক ও জনপদ বিভাগ বান্দরবান। জরুরী নির্মিত বেইলী ব্রিজটি জনসাধারণ ও যানবাহন চলাচলের জন্য বৃহস্পতিবার বিকেলে উম্মুক্ত করে দেয়া হয়। তড়িৎ উদ্যোগ গ্রহণ করে বন্ধ সড়ক যোগাযোগ সচল করায় স্থানীয়রা সড়ক ও জনপদ বিভাগকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

জানা যায়, ভারী বর্ষণে পাহাড়ি পানির তীব্র স্রোতে গত মঙ্গলবার রাত ৮টায় লামা-আলীকদম-চকরিয়া প্রধান সড়কের লামা পৌরসভার মধুঝিরি মাষ্টারপাড়া এলাকাস্থ প্রধান সড়কের উপর নির্মিত দীর্ঘ দিনের (অর্ধশত বছর) পুরোনো কালবার্ট এর নিচের মাটি সরে গেলে, ইটের গাথুনী দ্বারা নির্মিত গাইড ওয়ালটি হেলে যায়। যার কারণে কালভার্ট ভেঙ্গে সড়ক পথে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল বিষয়টি সড়ক ও জনপদ বিভাগ বান্দরবানকে অবহিত করলে বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল ২৪ ঘন্টার মধ্যে জরুরীভাবে বিকল্প বেইলী ব্রিজ নির্মাণ করা হয়।

সড়ক ও জনপদ বিভাগ বান্দরবানের উপ-সহকারী প্রকৌশলী পুণেন্দু বিকাশ চাকমা বলেন, কালভার্ট ধসে যোগাযোগ বন্ধ থাকার বিষয়টি জানার পর পরই আমরা আমাদের লোকজন নিয়ে কাজে নেমে পড়ি। এক দিনের মধ্যে খুব দ্রুত বেইলী ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। বর্ষা গেলে উক্ত স্থানে আরেকটি স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণের বিষয়ে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।

এলাকাবাসি জানান, লামা-আলীকদম-চকরিয়া চলাচলের প্রধান সড়কে কাঠ, বালু, পাথর, নিত্য প্রয়োজনীয় পন্য এবং ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন কাজ করার জন্য প্রতিদিন অসংখ্য ট্রাক, কার্গো, লরী সহ ভারী যানবাহন চলাচল করে। এ সড়কে স্থায়ী ভাবে দীর্ঘ মেয়াদী সিসি ঢালাই প্রসস্থ ব্রিজ নির্মাণ করা সমস্যান স্থায়ী সমাধান করা হোক।
লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল বলেন, কিছুদিন আগে প্রায় ১১ কোটি ব্যয়ে এই সড়কটি উন্নয়ন করা হয়। সুন্দর রাস্তাটি ভারী বর্ষণে পাহাড়ি পানির তীব্র স্রোতে ভেঙ্গে গেছে। তিনি সাময়িক ভোগান্তির জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।

সড়ক ও জনপদ বিভাগের বান্দরবানের নির্বাহী প্রকৌশলী মুসলে উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আপাতত চলাচলের ব্যবস্থা করা হলেও বর্ষা গেলে স্থায়ী সিসি ঢালাই ব্রিজ নির্মাণ করা হবে। এই বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।
এদিকে গত কিছুদিনের ভারী বর্ষণে লামা উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে ৪/৫টি বড় ব্রিজের নিচ থেকে মাটি সরে ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। ঝুঁকি নিয়ে স্থানীয় লোকজন ও যানবাহন চলাচল করছে। সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বগাইছড়ি খালের উপর নির্মিত পিসি গার্ডার ব্রিজ, ইয়াংছা খালের উপর নির্মিত বনপুর বড় মার্মা পাড়া ব্রিজ, ফাঁসিয়াখালী ছড়ার উপর নির্মিত বড়ছনখোলা ব্রিজ, রূপসীপাড়া ইউনিয়নের লামা খালের উপর নির্মিত অংহ্লারী পাড়া ব্রিজ, সরই ইউনিয়নের পুলু খালে নির্মিত হাসনা ভিটা ব্রিজ ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। দ্রুত পদক্ষেপ করা না নিলে ব্রিজ গুলো ভেঙ্গে যেতে পাড়ে।