[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় তারাবনিয়া সড়কের দুই পাশে বৃক্ষ রোপনলামায় বাড়ির মাচাংয়ে পাওয়া গেল ৯ বছরের শিশুর মৃতদেহবৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে সরকার বিহার নির্মাণ প্রকল্প হাতে নিয়েছেক্যান্সারে আক্রান্ত ঋতুপর্ণা চাকমার ‘মা’ অর্থের অভাবে চিকিৎসাও হচ্ছে নাপানছিড়িতে ভেজা চোখে রাজকীয় বিদায় জানালেন মসজিদের ইমামকেখাগড়াছড়ির রামগড়ে চোলাইমদ সহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতাররাঙ্গামাটির বাঙ্গালহালিয়া খাল ঐতির্হ্যের নীরব সাক্ষী, অথচ দখলে দূষণে বিপর্যস্তকাপ্তাই এর কৃষক দিদার আলমের সন্ধান মেলেনি এক মাসেওসুজন এর নানিয়ারচর উপজেলা কমিটির সভাপতি উত্তম, সম্পাদক বিনয়লংগদু উপজেলা পর্যায়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘হলদে পাখি’ মতবিনিময়
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

উৎপাদন বেড়েছে কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে

৪৫

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥

রাঙ্গামাটিতে থেমে নেই বৃষ্টি। টানা বর্ষণে কাপ্তাই হ্রদের পানি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে দেশের একমাত্র জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদনও বাড়ছে বলে জানিয়েছেন কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ম্যানেজার প্রকৌশলী এ টি এম আব্দুজ্জাহের। বুধবার (১১ আগস্ট) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেন তিনি।

তিনি আরো জানান, কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে মোট পাঁচটি জেনারেটর রয়েছে। এই পাঁচটি জেনারেটর থেকে প্রতিদিন ২৩০ মোগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। বর্তমানে পাঁচটি জেনারেটর থেকে ১৩০ থেকে ১৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হচ্ছে।

কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা যায়, কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনে পানি রির্জাভ থাকার কথা ১০৮ ফুট এবং কাপ্তাই হ্রদে পানির রুলকার্ভ ( পানির পরিমাপ) অনুযায়ী কাপ্তাই হ্রদে পানি থাকার কথা ৯৯.২০ ফুট মীন সী লেভেলের (এমএসএল) উপরে। কিন্তু কাপ্তাই হ্রদে পানি রয়েছে ৮৯.৪৩ ফুট এমএসএলেরও কম। এই অবস্থায়ও প্রতিনিয়ত বিদ্যুত উৎপন্ন করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপনে ১৯৬০ সালে খরস্রোতা কর্ণফুলি নদীর উপর দিয়ে নির্মিত হয় কাপ্তাই বাঁধ। সৃষ্টির পর বিদ্যুৎ উৎপাদনের পাশাপাশি মৎস্য উৎপাদন, নৌ যোগাযোগ, জলে ভাসা জমিতে কৃষি চাষাবাদ, সেচ, ব্যবহার্য পানি সরবরাহ, পর্যটনসহ বিভিন্ন সুযোগ ও সম্ভাবনা গড়ে ওঠে কাপ্তাই হ্রদ ঘিরে। কিন্তু সৃষ্টির পর থেকে কাপ্তাই হ্রদের কোনো সংস্কার, ড্রেজিং বা খনন করা হয়নি। ফলে বছরের পর বছর ধরে নামা পাহাড়ি ঢলে পলি জমে এবং নিক্ষেপ করা হাজার হাজার টন বর্জ্যে ভরাট হয়ে যাচ্ছে হ্রদের তলদেশ। এতে নাব্যতার সংকটে অস্তিত্বের সম্মুখীন এই হ্রদ। প্রতিবছর শুষ্ক মৌসুমে পানি শুকিয়ে যাওয়ায় হ্রদ ঘিরে তৈরি হয় নানা সংকট।