[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

পঞ্চম বর্ষে পদার্পণ

‘পাহাড়ের সময়’ হোক পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যতম সাপ্তাহিক মূখপত্র

১৬৯

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
গণমাধ্যমের ব্যাপক প্রসারে পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যান্য সাপ্তাহিকের পাশাপাশি ‘সাপ্তাহিক পাহাড়ের সময়’ এখন অদ্বিতীয়। তিন পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলা উপজেলার সাংবাদিকদের অক্লান্ত পরিশ্রম আর নিয়মিত সংবাদ পরিবেশন এ সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। সেই সাথে বিগত ৪টি বছর সরকারি বেসরকারি প্রশাসনের সহযোগীতাও ছিল যথেষ্ট। এভাবেই প্রত্যেকের আন্তরিকতা নিয়ে ‘সাপ্তাহিক পাহাড়ের সময়’ এখন ৫ম বর্ষে পদার্পণ করেছে।

মুদ্রন কপির পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রামের খবরাখবরগুলো তাৎক্ষনিক পাঠকের কাছে পৌঁছে দিতে গত ২০২০ সালের জুলাই মাসে অনলাইন পোর্টাল এর কাজ শুরু করি, সেই সাথে আমাদের অনলাইন পোর্টালও ২য় বর্ষে পাদাপর্ণ করেছে। তাই পাহাড়ের সময় পরিবার প্রত্যেকের নিকট কৃতজ্ঞ। করোনা-১৯ ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে দেশে দফায় দফায় লকডাউন চলার কারনে পাহাড়ের সময় বর্ষপূর্তির সংখ্যা প্রকাশ করা হয়নি। তবে চেষ্টা চলছে ছোট্ট পরিসরে হলেও করতে।

অতীত দেখলে সাপ্তাহিক পাহাড়ের সময় বিগত ২৩ জুলাই রবিবার ২০১৭ সালে প্রকাশনার প্রথম যাত্রা শুরু হয়। বহু কষ্টে আর ত্যাগ এর বিনিময়ে একটু একটু করে আজ এ পর্যন্ত। ইতিমধ্যে আমাদের এ পত্রিকা পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলা উপজেলার আনাচে কানাচেও পৌঁছেছে পত্রিকার সাংবাদিকদের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারনে। প্রতি সপ্তাহেই সরকারের গুরুত্বপূর্ন প্রতিষ্ঠানের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছেও পৌছে যাচ্ছে পহাড়ের সময়। বিভিন্ন এলাকায় পত্রিকা বিক্রেতাদের মাধ্যমে পাঠকের হাতে পৌঁছে যায়। মহামারি করোনার কারনে দেশে লকডাউন চলাকালে আমাদের প্রকাশনার কিছুটা বিঘ্ন ঘটেই যাচ্ছে। তবে আমাদের অনলাইন পোর্টাল সংবাদ পরিবেশনে ছিল নিয়মিত। এর পরও এ প্রকাশনার পাঠক প্রিয়তার কোন কমতি ঘটেনি। বরং আমরা ব্যর্থ যে পাঠক আরো বেশী কিছু আশা করেছিল তা আমরা পূরন করতে পারিনি বা পারছিনা। আমাদের চেষ্টা অব্যাহতই রয়েছে, আমরা আমাদেরই প্রতিযোগী, পিছন বা অগ্রভাগের কাউকেই আমারা কখনো প্রতিপক্ষ বা প্রতিযোগী ভাবিনি। আমরা বুঝতে এবং বোঝাতে চেষ্টা করি অনুকুল-প্রতিকুলকে। পাঠক প্রিয়তার মধ্যেই আমাদের সফলতা।

পাহাড়ের সময় পত্রিকা প্রকাশনার শুরুতেই সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি অনুপম বড়ুয়া শংকর অর্থনৈতিক ভাবে লাগাতার সহযোগীতা করছেন। আমাদের বার্তা প্রধান নুরুল আমিন মানিক তার মেধা প্রজ্ঞাকে কাজে লাগিয়ে এই মহা কাজের পথ চলা শুরু হয়। পরে আমাদের সিনিয়র সাংবাদিক প্রেস ক্লাব, রাঙামাটি এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলী সহযোগী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এছাড়াও সহ বার্তা সম্পাদক হিসেবে পলাশ চাকমা নিরলম পরিশ্রম করে পাহাড়ের সময় পত্রিকাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তার মধ্যে রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলা উপজেলার সাংবাদিকরাতো তাদের কাজ চালিয়েই যাচ্ছেন। আমারা অবশ্যই আরো তিন ব্যক্তির কাছে কৃতজ্ঞ যারা পাহাড়ের সময় পত্রিকার ডিজাইন ও নিউজ মেকারে ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলো নিজস্ব প্রতিবেদক মীর লোকমান হোসেন, ডিজাইন ও নিউজ মেকার বিটু বড়ুয়া ও মোঃ রিয়াদ এবং মার্কেটিং এ দেবদত্ত মুৎসুদ্দী গোপাল। পাহাড়ের সময় পরিবার তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আমাদের প্রত্যাশা ছিল রাঙ্গামাটি জেলা শহরে যারা সাংবাদিকতা করছেন তাদের আরো ব্যাপক সহযোগীতায় ‘সাপ্তাহিক পাহাড়ের সময়’ পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যতম সাপ্তাহিক হবে। পত্রিকা এজেন্ট, পাঠক, বিজ্ঞাপন দাতা এবং শুভানুধ্যায়ী মহলসহ ইতিমধ্যে বেশ কিছু এলাকা থেকে পাহাড়ের সময় প্রকাশনার খোঁজ নিচ্ছেন। এক দিকে লক ডাউন অন্যদিকে আমরা পাবলিক প্রেসে পত্রিকা ছাপানোর কারনে এ বিলম্ব হচ্ছে। আমরা আমাদের এবং দেশের সব প্রতিকুল পরিস্থিতিকে পিছনে ফেলে অবশ্যই অগ্রভাগে থাকবো। সততা এবং পক্ষপাতহীন স্লোগানকে ধারন করে পাহাড়ের সময় নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের গণমানুষের কল্যাণে এগিয়ে যাবো।