[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় রাতের আধাঁরে পাহাড় কাটার অভিযোগে ২লাখ টাকা জরিমানাখাগড়াছড়ির রামগড়ে গরু ঘাঁস খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১ আহত ৮অক্সিজেনের অভাবে বাঘাইছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১ মাস বয়সের শিশুর মৃত্যুকাপ্তাইস্থ ১০আর ই ব্যাটালিয়ন কর্তৃক অসহায় পরিবারকে হাঁস বিতরণবিএনপি সন্ত্রাসের রাজনীতি করে না, বাঘাইছড়িতে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তারাখাগড়াছড়ির দীঘিনালায় পরীক্ষার্থীর মাঝে পানি, ওরস্যালাইন বিতরণ করলো ছাত্রদলবৈসাবী উৎসব উপলক্ষে আলীকদম ৫৭ বিজিবি কর্তৃক আর্থিক অনুদান প্রদানরাঙ্গামাটিতে নয় বছরের শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টায় আটক-১রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক সদস্য আলীম বহিষ্কারখাগড়াছড়ির দীঘিনালায় নানান আয়োজনে নববর্ষ উদযাপন
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

বন্যা ও পাহাড় ধসে ক্ষতবিক্ষত লামা

৬৫

॥ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ॥

তিনদিনের টানা ভারী বর্ষণে লামা উপজেলায় ব্যাপক পাহাড় ধস ও পাহাড়ি ঢলে পাঁচ শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। পাহাড়ি ঢলে উপজেলার পৌর এলাকাসহ ২টি ইউনিয়নে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে পৌরসভাসহ ৭টি ইউনিয়নে অসংখ্য স্থানে পাহাড় ধস হয়েছে। সে সাথে রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন, লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল। বন্যার পানি কমে যাওয়ায় ক্ষতবিক্ষত স্থান গুলো ফুটে উঠেছে।

লামা পৌরসভার মেয়র মোঃ জহিরুল ইসলাম জানান, ২ দিন পানি নিচে ডুবে থাকায় রাস্তাঘাট গুলো ভেঙ্গে ও খানাখন্দে হয়ে গেছে। বন্যা ও পাহাড় ধসের ঘটনায় পৌরসভায় তিন শতাধিক ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা পরিবারের মাঝে ত্রান সামগ্রী ও শুকনো খাবার বিতরন করা হয়েছে। পানি কমে যাওয়ায় লোকজন বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছে। পাহাড় ধস ও বন্যায় উপজেলার সাথে ইউনিয়ন গুলোর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলেও এখন স্বাভাবিক হতে শুরু হয়েছে। এসব এলাকায় লক্ষাধিক লোক পানি বন্দি হয়ে পড়েছিল। এছাড়া ফাঁসিয়াখালী ও আজিজনগর ইউনিয়নের কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল। পানিতে ডুবে ও পাহাড় ধসে উপজেলা অসংখ্য স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও সরকারি-বেসরকারি অফিস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

লামা কৃষি অফিস সূত্র জানা যায়, পাহাড়ধস আর বন্যার পানিতে কৃষকদের বীজতলা ও লাগানো ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। লামা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সানজিদা বিনতে সালাম জানান, এবার লামায় ৩ হাজার ২৭১ হেক্টর আমন এবং ২ হাজার ৬৯৫ হেক্টর জমিতে বোরো চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। তবে গত তিনদিনের পাহাড়ি ঢল ও বন্যার পানিতে অধিকাংশ বীজতলা নষ্ট হয়েগেছে। একইভাবে গ্রীষ্মকালিন সবজি ও বিভিন্ন ফল বাগানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে লামা বাজারের ফার্মেসি ব্যবসায়ী উজ্জ্বল বড়–য়া জানায়, পাহাড়ি ঢল ও বন্যার পানিতে লামা বাজারসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় দোকানপাট পানির নিচে ডুবে গেছে। একদিকে লকডাউন ও অপরদিকে হঠাৎ বন্যায় কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। লামা উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অফিস সূত্রে জানা গেছে, বন্যা ও পাহাড়ধসে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের জন্য জরুরী ভিত্তিতে লামা পৌরসভার জন্য ২০ মেট্রিক টন চাল এবং ২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের জন্য ৩ মেট্রিক টন চাল এবং ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

লামা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল বলেন, উপজেলার বিভিন্নস্থানে পাঁচ শতাধিক ঘর-বাড়ি আংশিক এবং পূর্ণাঙ্গ বিধ্বস্ত হয়েছে। ধসে গেছে গ্রামীন রাস্তাঘাট, ব্রিজ ও কালভার্ট।