[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

থানচিতে ভারী বর্ষণে নিম্মাঞ্চল প্লাবিত

৭১

॥ চিংথোয়াই অং মার্মা,থানচি ॥

থানচি উপজেলার ভারী বৃষ্টির বর্ষণে সাঙ্গু নদীর পানি বেড়ে যাওয়ার উপজেলা সদরে কিছু কিছু এলাকারসহ বলিপাড়া ইউনিয়নের বাগান পাড়ার বইক্ষ্যং ঝিড়ি কালভার্ট সেতুতে হাটুঁর সমান পানি উঠে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত কবলিতের বান্দরবান হতে থানচি সড়কে যোগাযোগ স্থাপনে বিচ্ছিন্নতা হওয়ার সম্ভবনা হচ্ছে।

গত দুই দিনের বিরতিহীন টানা বর্ষণে পানি বেড়ে উঠেছে সাঙ্গু নদীসহ কয়েকটি ঝিড়ি ও খাল-বিল। এলাকার বিভিন্ন স্থানে পানিবন্দি হয়ে পরার সম্ভবনাময় রয়েছে অনেক মানুষ। অবিরাম বর্ষণে সাঙ্গু নদীর পানি ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে। এই বৃষ্টির না থামলে এসমস্ত নদীর পানি বিপৎসীমায় ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। মঙ্গলবার হতে টানা বৃষ্টির দিবাত্রী ভারী বর্ষণের সাঙ্গু নদীসহ খাল-বিল পানি বেড়ে যাওয়ার ফলে উপজেলা সদর ও বলিপাড়া ইউনিয়নের নিম্মাঞ্চল প্লাবিতের কৃষি জমিসহ ধানক্ষেত ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

এদিকে থানচি উপজেলা সাথে তিন্দু ও রেমাক্রী দুই ইউনিয়নের নৌ যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়াও বলিপাড়া ইউনিয়নের বাগান পাড়া, হিন্দু পাড়া কয়েকটি ঘরে হাঁটুর সমান পানি উঠেছে। বন্যার আশঙ্কায় মানুষ বাসা-বাড়ির মালামাল নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছে। উপজেলা সদরে ১নং ওয়ার্ডে কানাইক্ষ্যং ঝিড়িতে বর্ষায় পানি ভরপুর হওয়ায় কালভার্ট সেতুটিতে পানি উঠে সদর বাজার সাথে জরুরী সেবাসহ যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতা হওয়ার পথে আপ্রুমং পাড়া, মেকহা পাড়া, মুইখয় পাড়াসহ এলাকার আশেপাশে লোকজন।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার সদরে কিছু কিছু এলাকারসহ বলিপাড়া ইউনিয়নের বাগান পাড়ায় পার্শ্ববতী বইক্ষ্যং ঝিড়ি থেকে পানি উঠে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান প্রকল্পে আওতায় বাগান পাড়াকেন্দ্রসহ এলাকার বিভিন্ন জায়গাতে ধানক্ষেত পাহাড়ী ঢলের পানিতে হাটুঁর সমান ডুবে গেছে। ১৯৯৭ সালে উপজেলা সদরে থানচি বাজারটি বন্যা কবলিত পড়ে অনেক দোকান পাঠ ঘরবাড়ি বন্যা ভেসে গিয়েছিল। এরকম ভারী বৃষ্টি হওয়ায় ফের বন্যা কবলিত হতে পারে আশঙ্কায় স্থানীয়দের।

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও ) আতাউল গনি ওসমানী জানান, টানা ও ভারী বৃষ্টিতে বন্যা ও পাহাড় ধসের আশঙ্কায় নিম্নাঞ্চলে থাকা বসবাসরতদের সরকারী আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়ার জন্য সকল জনপ্রতিনিধি, মৌজার হেডম্যান, কারবারি, সাংবাদিক , আইন শৃংঙ্খলা বাহিনীর, আনসার ভিডিপিদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রয়োজনীয় সকল প্রকার শুকনো খাদ্যের মজুদ রাখা আছে।

তিনি আরো বলেন, উপজেলায় নিম্নাঞ্চলে বসবাসরতদের অন্যত্র সরিয়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়ার জন্য মাইকিং করছে প্রশাসন। এছাড়াও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এরইমধ্যে থানচি উপজেলায় চারটি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে বলে জানান তিনি।