॥ খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি ॥
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় করোনা-১৯ রোগীদের সুচিকিৎসায় জেলা পরিষদ থেকে সর্বাত্মক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। পরিষদ চেয়ারম্যান হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধিতে নির্দেশনা দিয়েছেন। ত্রিশ শয্যার আরো একটি করোনা ওয়ার্ড চালু করতে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণের কাজ চলছে বলে পরিষদের প্রকৌশল বিভাগ জানিয়েছে।
এদিকে খাগড়াছড়ি জেলার ৯টি উপজেলায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েই চলছে। জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় সুযোগ রয়েছে শুধুমাত্র আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে। গত কয়েকদিন থেকে হাসপাতালে শয্যা সংখ্যার তুলনায় রোগী ভর্তির চাপও বেড়ে চলেছে। এ অবস্থায় গত সোমবার খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রুু চৌধুরী অপু সরেজমিনে হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে জরুরী ভিত্তিতে ৩০ শয্যার আরো একটি করোনা ওয়ার্ড চালু করতে দ্রুত অবকাঠামো নির্মাণের নির্দেশনা দেন। এসময় তিনি দৃঢ়তার সাথে বলেন, জেলায় করোনা রোগীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিতে সর্বাত্মক পদক্ষেপ নেয়া হবে। তবে সরকারি স্বাস্থবিধি মানার ক্ষেত্রে যদি আমরা সকলে সচেতন ও আন্তরিক হই, তাহলে সবাই মিলে অনেক বেশি ভালো থাকতে পারবো।
পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী তৃপ্তি শঙ্কর চাকমা নিজে উপস্থিত থেকে অবকাঠামোর সম্ভাব্য স্থান নির্ধারণসহ প্রয়োজনীয় প্রস্তুুতি শেষ করেছেন। তিনি জানান, যত দ্রুত সম্ভব এটি নির্মাণ করে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে বুঝিয়ে দেয়া হবে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে ৫০শয্যার করোনা ইউনিট রয়েছে। কোরবানী ঈদের পর হাসপাতালে শয্যার চেয়ে রোগী বেশী ভর্তি হয়েছে। হাসপাতালের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী হাসপাতালে ৫৩ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। এদিকে সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালে করোনা টিকা নেওয়ার জন্য নারী পুরুষ দীর্ঘ লাইন ধরে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে টিকা নেওয়ার আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলায় এ পর্যন্ত ১৬জনের মৃত্যু হয়েছে। এই মাসের করোনা শনাক্তের হার ২৮.৯%। জেলায় করোনা সংক্রমণ উপজেলা ভিত্তিক বিবেচনা করলে, জেলা সদর ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য সীমান্তবর্তী উপজেলা সমূহ পানছড়ি, মাটিরাঙ্গা ও রামগড় উপজেলায় সংক্রমণের হার অন্যান্য উপজেলা গুলোর চাইতে বেশী।
খাগড়াছড়ি জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ নুপুর কান্তি দাশ জানান, হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ৫০শয্যার অতিরিক্ত আরো ২০শয্যার ব্যবস্থা করে রেখেছি। গত সোমবার (২৬শে জুলাই) খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। তিনি আরো ৩০শয্যা বেডের একটি নতুন করোনা ইউনিট চালু করার জরুরী নির্দেশনা দেন। তিনি বলেন, হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাব নেই, এছাড়াও জেলায় করোনা টিকা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।