[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

হালকা গরম পানি পানে জটিল সমস্যা থেকে মুক্তি

৯০

॥ নিউজ ডেস্ক ॥

পুষ্টিবিদরা বলেন, ঈষদুষ্ণ ( উষ্ণ-গরম ) পানি পান করলে পেট পরিষ্কারসহ শরীরের অতিরিক্ত চর্বি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ত্বক থাকে প্রাণবন্ত ও উজ্জ্বল। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ১-২ গ্লাস, দিনের যেকোনো সময় খাবারের ৩০ মিনিট আগে বা পরে এক গ্লাস হালকা গরম পানি পান করা উচিত।

বিশেষজ্ঞরা আরও বলেন, বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্যর মতো একাধিক সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব, শরীর দ্রুত ডিটক্স হয়ে যায়। নিয়মিত হালকা গরম পানি পান করলে তারুণ্যকে ধরে রাখা যায়।এছাড়াও ত্বকে জমাট বাধা তেল, ধুলোবালি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই লিটার বিশুদ্ধ পানির মধ্যে কুসুম গরম পানি ঠান্ডা, টনসিল, গলার যেকোন সমস্যার সমাধান করবে। এছাড়াও যেসব শারীরিক সমস্যায় গরম পানি খেলে উপকার পাওয়া যায় সেগুলো হলো, মাইগ্রেন, উচ্চ রক্তচাপ, নিম্ন রক্তচাপ, হাঁটু, গোড়ালিতে ব্যথা, বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথা, হুটহাট হৃৎস্পন্দন বৃদ্ধি-হ্রাস, মৃগী রোগ, কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ, কাশি, পেটের সমস্যাসহ আরও অনেক জটিল রোগে গরম পানি বেশ কার্যকর।
শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমে গেলে সবাই অস্বস্তি বোধ করে। মেদ ঝরাতে নিয়মিত ব্যায়াম করতে হয়। এর পাশপাশি প্রতিদিন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস হালকা গরম পানি পান করবেন। পানিতে লেবুর রস ও মধু দিতে পারেন। এক সপ্তাহেই দেখবেন মেদ কমবে ঝটপট। অন্যদিকে, গরম পানি খেলে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে। ফলে শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমার সুযোগই থাকে না।

পিরিয়ডের সময়ে মেনস্ট্রয়াল ক্র্যাম্পের প্রকোপ কমাতে গরম পানির কোনো বিকল্প নেই। এই সময় গরম পানি পান করা শুরু করলে অ্যাবডোমিনাল মাসলের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে ব্যথা খুব কম সময়ে কমে যায়।

যারা ব্রণের সমস্যায় ভুগছেন তারা নিয়মিত হালকা গরম পানি খেতে পারেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে হালকা গরম পানি পান করলে ব্রণ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়া গরম পানি স্কিন সেলের ক্ষত সারিয়ে ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। সেই সঙ্গে ত্বক টান টান হয়ে ওঠে এবং বলিরেখাও হ্রাস পায়। ফলে বয়সের কোনো ছাপই ত্বকের উপর পরতে পারে না।

চুল পড়া, অকালপক্কতা, খুসকি থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে হালকা গরম পানি। সারাদিন ধরে গরম পানি পান করলে নানা কারণে স্কাল্পের হারিয়ে যাওয়া আর্দ্রতা ফিরে আসে। ফলে খুশকির প্রকোপ কমে যায়। এছাড়া, গরম পানি খাওয়া শুরু করলে প্রতিটি হেয়ার সেলের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। এতে চুলের সৌন্দর্য বাড়ে চোখে পরার মতো।

যারা মানসিক অবসাদে ভুগছেন তারা হালকা গরম পানিতে এক চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন। দেখবেন ভালো বোধ করবেন। গায়ে, হাত-পায়ে ব্যথা হলে হালকা গরম পানিতে লবণ দিয়ে গোসল করুন। এছাড়া ত্বকের সমস্যায় ভুগলে, গরম পানিতে নিমপাতা ভিজিয়ে রাখুন। তারপর সেটা দিয়ে গোসল করলে দারুণ উপকার পাওয়া যায়। আর দাঁতে ব্যথার সমস্যা থাকলে দিনে অন্তত ৩ বার হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিলে সুফল মিলবে।

সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন