॥ মানিকছড়ি উপজেলা প্রতিনিধি ॥
সম্প্রতি মিলন ত্রিপুরার দুরাবস্থা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোষ্ট করেন রানা ত্রিপুরা নামের এক যুবক। ফেইসবুকের সেই পোষ্টিই যেন তার ভাগ্যের পরিবর্তন করে দিল। তাৎক্ষনিক আর্থিক সহযোগিতার পাশাপাশি খুব শীগ্রই তাকে করে দেয়া হচ্ছে সরকারি ঘরও।
জানা গেছে, খাগড়াছড়ি জেলাধীন গুইমারা উপজেলার সদর ইউনিয়নের দূর্গম মাইরংপাড়ায় হতদরিদ্র মিলন ত্রিপুরার মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই। ছয় সদস্যদের পরিবার নিয়ে থাকেন জরাজীর্ণ ঝুপড়ী ঘরে। আর্থিক দুরাবস্থার কারণে কোন রকম জীবিকা নির্বাহ করেই চলে তাঁর সংসার। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ফলে গুইমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার তুষার আহমেদ’র নজরে আসে। আর বিলম্ব না করে ১৮ কিলোমিটার দূর্গম পথ পারি দিয়ে সোজা গিয়ে উঠলেন মিলন ত্রিপুরার সেই ঝুপড়ী ঘরে। তাৎক্ষণিক আর্থিক সহযোগিতার পাশাপাশি সরকারি ঘর বরাদ্দেরও আশ্বাস দিলেন তিনি। কুঁড়ে ঘরটি হতে চলেছে পাঁকা বাড়ি। গুইমারা উপজেলার মানবিক নির্বাহী অফিসার তুষার আহমেদ’র সুদৃষ্টিতে মুখে হাঁসি ফুটলো মিলন ত্রিপুরার পরিবারে। পাঁকা বাড়িতে থাকার স্বপ্নে মিলন ত্রিপুরাও পাচ্ছেন সরকারি ভাবে পাঁকা ঘর।
গত শনিবার (৩ জুলাই) সরেজমিনে মিলন ত্রিপুরার বাড়ীতে যান উপজেলা নির্বাহী অফিসার তুষার আহমেদ। গুইমারা উপজেলা সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের আওতাধীন মাইরংপাড়াটি উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার দূর্গম এলাকায়। যেখানে মোটরসাইকেলই যানবাহন হিসেবে একমাত্র ভরসা। এটি গুইমারা উপজেলার আওতাভুক্ত হলেও যেতে হয় মাটিরাঙ্গা উপজেলার দূর্গাবাড়ী হয়ে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার তুষার আহমেদ জানান, ১ম পর্যায়ে ঘরের তালিকায় তার নাম থাকলেও দূর্গম এলাকা হওয়ায় ঘরটি নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। তবে বর্তমানে তার পরিবারের যে অবস্থা তাতে দূর্গম এলাকা হওয়া সত্বেও তার দুরাবস্থার কথা বিবেচনা করে ৩য় পর্যায়ে তাকে ঘর নির্মাণ করে দেয়া হবে। তাৎক্ষণিক খাদ্য শস্য ক্রয়ের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মিলন ত্রিপুরার হাতে নগদ অর্থও তুলে দেন।