[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
বান্দরবানের লামায় সাড়ে ৬ লাখ ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি চারা ধ্বংসখাগড়াছড়ির রামগড়ে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ব্যক্তি গ্রেফতারদীঘিনালায় নবাগত ইউএনও শান্তি ও উন্নয়নে সবার সহযোগীতা চাইলেনবান্দরবানের আলীকদমে বন্দুকের গুলিতে পর্যটকের মৃত্যু, চার বন্ধু আটকদীঘিনালায় কৃত্তি শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা বিভাগের পুরস্কার বিতরণমাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দূর্ঘটনায় রাঙ্গামাটির উক্য চিং মারমাও মারা গেলখাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় অস্ত্র, গুলি ও সামরিক সরঞ্জাম উদ্ধারপাহাড়ের উন্নয়নে ঐক্য ও সম্প্রীতির বিকল্প নেই: খাগড়াছড়িতে নাহিদ ইসলামদীঘিনালায় নদীর গর্ভে বিলিন রাস্তা সাঁকো দিয়ে চলাচলখাগড়াছড়িতে কিশোরী ধর্ষণের প্রতিবাদে দীঘিনালায় মানববন্ধন
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

করোনা-১৯ প্রতিরোধে স্থানীয় প্রশাসনকে কঠোর হতে হবে

৪১

করোনা-১৯ সংক্রম এড়াতে সরকার দেশের মানুষকে বাঁচাতে ব্যতিব্যস্ত। ইতিমধ্যেই করোনা-১৯ সংক্রমণ আবারো বাড়তে শুরু করেছে। দেশের বিভিন্ন জেলার সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষ সংক্রমিত হচ্ছে। করোনা-১৯ প্রতিরোধে সরকারের নানা পদক্ষেপগুলো কাজে লাগাতে প্রশাসনের কঠোরতা অবলম্বনে নিজ নিজ এলাকায় কাজ করে যাচ্ছে। সীমান্ত এলাকাগুলোয় সংক্রমনের বড় কারন হতে পারে বলে সরকার আগাম সকল প্রস্তুতি নিয়েছে। প্রতিটি জেলা উপজেলা পর্যায়ে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনসৃংখলাবাহিনীর সদস্যরাও জনসাধারনকে সাবধানতা অবলম্বনে কাজ করে যাচ্ছেন। এর পরও যেন ভয় ভয় ভাব। করোনা-১৯ ধরন পাল্টানোর কারনে তার প্রতিরোধও চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। হঠাৎ করে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়াতে মানুষের মাঝে আতঙ্ক লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কিন্তু এবারও এই চ্যালেঞ্জতো কাটিয়ে উঠতেই হবে। বিস্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনা সংক্রমন এড়াতে প্রথম কাজ হলো ঘরের বাইরে গেলে অবশ্যই মাস্ক পড়তেই হবে বলে জানাচ্ছেন।

দেখা যায়, শহরে ছোট যান বাহনগুলো স্বাস্থ্যবিধি না মেনে তাদের ইচ্ছেতম করেই যাত্রী পরিবহন করছে। তিন পার্বত্য চট্টগ্রামের মধ্যে রাঙ্গামাটির মানুষ যথেষ্ট সচেতনতা অবলম্বনও করছে। এর পরও শহরের বেশ কিছু এলাকায়, বাজারে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দেখা যায় অনেকেই মাস্ক ব্যবহার করছেন না। তাদের দেখা অনেকে না পড়ার উৎসাহ পাচ্ছে বলে অনেকে আপতিত্ত করছেন। আবার বান্দরবান জেলা শহরে দেখা গেছে মানুষ মাস্ক না পড়েই যত্রতত্র চলাফেরা করছে। হাট বাজার, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ রাস্তাঘাট এবং পরিবহনেও মাস্ক পড়তে সংখায় কমই চোখে পড়েছে। প্রশাসনের তৎপড়তা থাকা সত্তেও অনেকে তা মানছেন না। ফলে সেখানে ঝুঁকি বাড়িয়ে দেবে যারা নিয়ম অমান্য করে চলেছে। অপর দিকে খাগড়াছড়ি শহর এবং বেশ কিছু উপজেলাতেও মাস্ক না পড়ে যে যার মতন করে চলছে বলে অনেকেরই অভিযোগ। করোনা সংক্রমন প্রতিরোধে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন যথেষ্ট সচেতন হলেও অনেকে এড়িয়ে চলছে। সম্প্রতি বেশ কটি উপজেলাতে উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী কর্মকর্তারা রীতিমতন ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে মাস্ক না পড়াদের অর্থ জরিমনাসহ মানুষের মাঝে মাস্ক বিতরণও করছে।

দেখা যায় মানুষ আগাম বর্তা পাচ্ছেন করোনা সংক্রমন প্রতিরোধে। প্রশাসনও এখন চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাস্ক ছাড়া কাউকেই ঘর থেকে বেড় না হতে পরামর্শ দিয়েছেন। প্রতিটি অফিস আদালতে মাস্ক ছাড়া সেবা নাই বলে প্রচার চালাচ্ছেন। তিন পার্বত্য জেলায় প্রত্যেক উপজলাতেও প্রশাসন কঠোর ভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে করোনা প্রতিরোধে এবং সংক্রমন এড়াতে। তাই প্রশাসন এ বিষয়ে আন্তরিকতার কমতেই নেই। কিন্তু করোনা প্রতিরোধে প্রশাসনের এ প্রচেষ্টাকে সফল করতে জনপতিনিধিদেরও একাগ্রচিত্তে এগিয়ে আসতে হবে। যেখানে মানুষ মাস্ক ছাড়া নানা ভাবে ঘোফেরা এবং অফিস আদালতে প্রবেশ করছে তাদেরকে সচেতন করতে একযোগে কাজ করতে হবে। করোনা প্রতিরোধে শুধু মাস্ক নয় আরো যেসব কাজ প্রয়োজন তাও করতে এগিয়ে আসতে হবে। প্রত্যেককে মনে রাখতে হবে এটি হলো দ্বিতীয় সংক্রমনের মৌসুম। সরকার সব দিক দিয়েই প্রস্তুত হলেও সফলতা নির্ভর করছে সাধারণ জনগনের সচেতনতার জন্য। তাই মাস্ক পড়তে হবে অন্যকেও পড়াতে উৎসাহ থাকতে হবে। স্থানীয় প্রশাসনকে যেমনি সচেতনার জন্য প্রতিদিন ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করতে হবে। ইতিমধ্যে করোনা-১৯ এর ভ্যাকসিনও বিভিন্ন দেশ হতে আমাদের দেশে এসে পৌছাচ্ছে সকলকে ধর্য্য ও মনোবল রেখেই সকল নিয়ম মেনে এর প্রতিরোধ করতেই হবে। সেই সাথে স্থানীয় জনসাধারনকেও করোনা সংক্রমন প্রতিরোধে সকল নিয়ম পালন করতে এবং করাতে কঠোর হতেই হবে।