[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
বান্দরবানের আলীকদমে ইয়াবা সেবন, কৃষক দলের সভাপতি আলম সহ আটক ৪খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় তামাক চুল্লিতে আগুন, ব্যাপক ক্ষতিবাঘাইছড়ির মারিশ্যা ২৭ বিজিবি’র উদ্যোগে বিদ্যালয়ে নগদ অর্থ প্রদানবান্দরবানের রুমার মুনলাই পাড়ায় অসহায়দের জন্য সেনাবাহিনীর চিকিৎসা সেবা প্রদানখাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়িতে তরুণী ধর্ষণ ঘটনায় আটক ২ জন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতানায়েক রাসেলের গুড সার্ভিস পুলিশ ব্যাজ ও সনদপত্র অর্জনবান্দরবানের থানচি ইউএনও’র সাথে যুব ক্রীড়া পরিষদের সৌজন্য সাক্ষাৎবান্দরবানের আলীকদমে শ্রমিক দলের আয়োজনে মে দিবস পালিতরাঙ্গমাটি জেলা প্রশাসন, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের আয়োজনে মে দিবস পালনখাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়িতে যথাযথ মর্যাদায় মহান মে দিবস পালন
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

প্রয়োজন সরকারি সহযোগিতা

জরাজীর্ণ টিনের মসজিদে বৃষ্টিতে ভিজে নামাজ আদায় করেন মুসল্লীরা

৬৮

॥ মোঃ ইসমাইল হোসেন, মানিকছড়ি ॥

চারপাশে অর্ধেক টিন আর অর্ধেক বাঁশের বেড়া দিয়ে তৈরি। উপরে টিনের ছাউনি। দরজা জানালারও ভাঙ্গাচুরা অবস্থা। বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি পড়ে। বলছিলাম মানিকছড়ি ও গুইমারা উপজেলার সীমান্তবর্তী মানিকছড়ি অংশে ১৯৮৩ সালের স্থানীয় কয়েকজন মুরুব্বীদের নিয়ে নির্মিত ওসমানপল্লী মদিনা জামে মসজিদের কথা।

বর্তমান এই যুগে এমন জরাজীর্ণ মসজিদ কারো চোখে পড়ে কিনা সন্দেহ রয়েছে। অথচ বর্তমান সরকারের আমলে দেশের আনাচে-কানাচে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি এমন স্থান খুঁজে পাওয়া যাবে না। তাছাড়া স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির, রাস্তাঘাটসহ ব্যাপক অবকাঠামো উন্নয়ন হয়েছে। বাদ যায়নি খাগড়াছড়ি জেলার পার্বত্য অঞ্চলের জনপদও। বর্তমান সরকারের আমলে এ জেলার কোথাও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি এমন স্থান নেই বললেই চলে। স্থানীয় সরকার, জেলা প্রশাসক, জেলা পরিষদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডসহ অন্যান্য দপ্তরের অধিনে অসংখ্য উন্নয়ন কাজে হয়েছে। কিন্তু এমন উন্নয়নের প্রায় ৩ যুগেরও বেশি সময় ধরে সরকারিভাবে কোনো অবকাঠামো উন্নয়ন কাজ হয়নি। ফলে জরাজীর্ণ নামাজ আদায় করছে মুসল্লিরা।


গত শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায়, স্থানীয় মুরুব্বী কারি আব্দুল কাদের, ছায়েদ মুন্সি, শাহ আলম আকন্দ, সোহরাব হোসেন, মাজেদ মাওলানা, কাঞ্চন আলী, আব্দুর রব, মৃত আব্দুল আজিজ, মৃত আইয়ুব আলী সরদারসহ অন্যান্যরা মিলে নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে ১৯৮৩ সালে ওসমানপল্লী মদিনা জামে মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে এ সমাজে প্রায় দুইশত পরিবারের বসবাস। যাদের বেশিরভাগই শ্রমজীবী। তাদের দেয়া মাসিক ৫০-৬০ টাকার চাঁদা দিয়ে ইমাম ও মুয়াজ্জিনের বেতন চালাতে হিমশিম খেতে হয় মসজিদ পরিচালনা কমিটিকে।

কোন রকম ইমাম মুয়াজ্জিনের বেতন চালাতে পারলেও মসজিদের অবকাঠামো উন্নয়ন করতে পারেনি তারা। গেল ৩৮ বছরেও মসজিদের কোন উন্নয়ন হয়নি সরকারিভাবে। যার ফলে বর্তমানে মসজিদের বেহাল দশা। ভাঙ্গাচুরা দরজা-জানালা আর পুরাতন টিনের ছিদ্র দিয়ে পানি পরে। সামাজিক চাঁদা ও বিভিন্ন সময় মুসল্লিদের অনুদানে টুকিটাকি অবকাঠামো উন্নয়ন কাজ করা গেলেও পাঁকা ভবণ নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি! শুক্রবার জুমার দিনে মসজিদও বারান্দার বাইরেও খোলা মাঠে নামাজ আদায় করতে হয় মুসল্লিদের। ফলে বর্তমানে বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টিতে ভিজে নামাজ আদায় করতে হচ্ছে মুসল্লিদের।

মসজিদের ইমান মাঃ আহসান উল্লাহ বলেন, প্রতি ওয়াক্তে ৩০-৫০ জন মুসল্লি হলেও শুক্রবার জুমার দিন প্রায় ৫শ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে আসেন। বর্ষা মৌসুমে অনেক সময় তাদের ভিজেই নামাজ আদায় করতে হয়।

মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর ছিদ্দিক বলেন, মুসল্লিদের দেয়া চাঁদা দিয়ে ইমাম মোয়াজ্জিনের বেতন চললেও মসজিদের অবকাঠামো উন্নয়ন করা সম্ভব হয় না।বর্তমানে মুসল্লিদের নামাজ আদায় করতে কষ্ট হচ্ছে। সমাজের বৃত্তবান, স্থানী জনপ্রতিনিরা ও সরকারি ভাবে যদি একটি বরাদ্দের মাধ্যমে মসজিদের নতুন ভবণ নির্মাণ করা যায় তাহলে সমাজের মুসল্লিরা খুব আরামে নামাজ আদায় করতে পারবে।

মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ছায়েদ মুন্সি বলেন, প্রতিষ্ঠানলিন সময় থেকে গত ৩৮ বছরে সরকারি ভাবে কোনো বরাদ্দ পাইনি। ভাঙ্গা দরজা-জানালা আর টিনের ছিদ্রে অনিশ্চয়তায় থাকে মসজিদের ভেতরে থাকা জিনিসপত্র। বর্ষা মৌসুমে কষ্ট হয় মুসল্লিদের। স্থানীয় জনপ্রতিনি, জেলা প্রশাসক, জেলা পরিষদ ও স্থানীয় সাংসদের কাছে বর্তমানে একটাই দাবি দ্রুত যেন মসজিদটিকে যেন একটি পাঁকা ভবনে রুপান্তরিত করা হয়।