[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় রাতের আধাঁরে পাহাড় কাটার অভিযোগে ২লাখ টাকা জরিমানাখাগড়াছড়ির রামগড়ে গরু ঘাঁস খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১ আহত ৮অক্সিজেনের অভাবে বাঘাইছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১ মাস বয়সের শিশুর মৃত্যুকাপ্তাইস্থ ১০আর ই ব্যাটালিয়ন কর্তৃক অসহায় পরিবারকে হাঁস বিতরণবিএনপি সন্ত্রাসের রাজনীতি করে না, বাঘাইছড়িতে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তারাখাগড়াছড়ির দীঘিনালায় পরীক্ষার্থীর মাঝে পানি, ওরস্যালাইন বিতরণ করলো ছাত্রদলবৈসাবী উৎসব উপলক্ষে আলীকদম ৫৭ বিজিবি কর্তৃক আর্থিক অনুদান প্রদানরাঙ্গামাটিতে নয় বছরের শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টায় আটক-১রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক সদস্য আলীম বহিষ্কারখাগড়াছড়ির দীঘিনালায় নানান আয়োজনে নববর্ষ উদযাপন
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

দরিদ্রদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর

যারা অনিয়ম,দূনীর্তির আশ্রয় নিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া জরুরী

৬৪

জাতির সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট সন্তান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মশত বর্ষে সরকারের নির্বাহী প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সকল মানবিক উন্নয়নের, মানবতা এবং মানবাধিকার উন্নয়নের আরেকটি উন্নয়ন হলো দেশে দরিদ্র জনগোষ্ঠির যাদের ভুমি নেই, গৃহ নেই তাদেরকে ভুমিসহ ঘর দেয়া। মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর এই মহৎ উদ্যোগ এবং অঙ্গীকার দেশের প্রত্যেক মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন। দিনতো কেটে যায় কিন্তু দরিদ্র মানুষগুলোর যখন চিন্তা ছিল রাত হলেই মাথা গোঁজার স্থান সেই চিন্তা থেকে এসব মানুষ মুক্ত রাখতে প্রধানমন্ত্রীর এই মহৎ উদ্যোগ মহানুভবতার একটি নিদর্শনও বটে। কিন্তু যখন এই মহৎ কাজের বা উন্নয়নের বিষয় নিয়ে অভিযোগ আপত্তি উঠে তখন স্বভাবতই মনে একটি দাগ কেটে যায়। কেননা এ উন্নয়ন স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর স্বপ্নের বাস্তবায়ন। কিন্তু এসব ঘর নিয়ে নানান জটিলতা, হয়রানির কথা গুলো সংবাদ মাধ্যমগুলোতেও উঠে আসছে।

আমরা দেখছি এ উন্নয়ন কাজের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামের দরিদ্র মানুষের জন্যও রয়েছে ভুমি ও গৃহ নির্মাণ। তাই তিন পার্বত্য জেলাতেও ভুমি ও গৃহহীন দরিদ্র মানুষকে ঘর উপহার দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে অনেকেই পেয়েছেনও। বান্দরবানের প্রত্যন্ত অঞ্চলের থানচিতে মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষ্যে ২ শতাংশ খাস জমি বন্দোবস্ত প্রদান পূর্বক দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্মিতব্য একক গৃহ নিমার্ণ ও গৃহ বরাদ্ধের জন্য অনুসরণীয় নির্দেশনা সঠিকভাবে মানা হচ্ছেনা। প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে এসব ঘর নির্মাণে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ করছেন অনেকেই। সুবিধাভোগী লাংরোও ম্রো ও লাইতং ম্রো অভিযোগ করেছেন তিনি আত্নীয় স্বজনদের কাছে ধার ও মহাজনদের কাছে ঋণ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ঘর নির্মাণের জন্য ৩৪ হাজার টাকা মামুন কন্ট্রাক্টর হাতে এত গুলো টাকা দিয়েও এখনো ঘরের কাজ শেষ করে দেয়া হয়নি। নির্মীতব্য গৃহের মান নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে। কোথাও কোথাও ঘর নির্মাণ কাজ শেষ হতে না হতেই ঘরে ফাটল দেখা দিয়েছে আবার অসমাপ্ত অবস্থায়ও রয়েছে।

সুবিধাভোগী রুস্পতি ত্রিপুরা অভিযোগ করেছেন, গত বছর ছেলের নামে একটি সরকারী ঘর পেয়েছি। কিন্তু অত্যন্ত দু:খের বিষয় ঘরের ফাটল দেখা দেয়ায় নতুন ঘরে আর উঠা হয়নি। ঘরের দরজা-জানালা গুলোও ঠিক মতো খোলা ও বন্ধ করা যাচ্ছে না। এ নিয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) তারিকুল ইসলাম বলেন, ১ম ধাপে ৫০টি ঘরের কাজ শেষ করে ২য় ধাপে ৫০টি ঘর নির্মাণ কাজ চলছে। ঘর নির্মাণের প্রাতিষ্ঠানিক দরপত্র দিয়ে কোন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেয়া হয় নাই। মৌখিক ভাবে মোঃ মামুন নামে এক ঠিকাদারের সাথে ঘর নির্মাণের চুক্তিবদ্ধ হয় এবং তিনিই এই উপজেলায় সকল ঘর নির্মাণ কাজে নিয়োজিত আছেন।

কিন্তু কথা হলো প্রধানমন্ত্রীর মানবিক এই উদ্যোগ এর ঘরগুলি তৈরী নিয়ে যদি নানান সমস্যার সৃষ্টি হয়। সংশ্লিষ্ট প্রকল্পকর্মকর্তারাও যদি দায়সারা গোচের বক্তব্য দেয় নিয়ম ভঙ্গ করে তাহলে তার দায়তো দরিদ্ররা বহন করবে না। এসব দরিদ্রদের নানান ভাবে হয়রানি করে অর্থ হাতিয়ে নেয়া হয় বলে অভিযোগ উঠছে। দরিদ্রদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহারের এসব ঘর তৈরীতে যারা অনিয়ম এবং দূনীর্তির আশ্রয় নিয়েছে এদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া জরুরী।