[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
সীমান্তে পুশইন ও চোরাচালান ঠেকাতে তৎপর রয়েছে বাঘাইহাট বিজিবিলংগদু উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিজিবির টহল জোরদার: লে. কর্ণেল নাহিদ হাসানরাঙ্গামাটিতে বিয়ের প্রলোভনে কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় যুবক আটকপুশইন ও চামড়া পাচার রোধে রামগড় ৪৩ বিজিবির নিরাপত্তা জোরদাররাজস্থলীতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী পালনচামড়া পাচার ও সীমান্ত দিয়ে পুশইন ঠেকাতে বিজিবি টহল বাড়িয়েছেমাটিরাঙ্গা সেনা জোন কর্তৃক ঈদ উপহার ও মানবিক সহায়তা প্রদানউন্নয়ন কর্মকান্ডে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারীদের প্রশ্রয় দেওয়া হবে না: বিজিবি রাজনগর জোন কমান্ডারবান্দরবানের লামা হাসপাতালে প্রথম সাপে কামড়ানো রোগীকে বাঁচালো চিকিৎসকদুর্যোগকালীন ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ১০আরই ব্যাটালিয়নের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

লামার কোয়ান্টাম কসমো স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর দুই ছাত্র পানিতে ডুবে মৃত্যু

৪০

॥ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম,লামা ॥

লামার সরই ইউনিয়নের কোয়ান্টামে ফাউন্ডেশনের কসমো স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর দুই ছাত্র পানিতে ডুবে মারা গেছে। সরই পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশের উপ-পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া দুই ছাত্র মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সোমবার (০৭ জুন) বেলা ১১টায় কোয়ান্টাম কসমো স্কুলের সামনে মাঠে এই ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে উপ-পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম ভূঁইয়ার সাথে সোমবার বিকেলে কথা হয়। তিনি আরো বলেন, ঘটনাটি যদিও সকালের, আমরা বিষয়টি বিকেলে জানতে পারি। লাশ গুলো এখন পাশর্^বর্তী লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া সরকারি হাসপাতালে রয়েছে। জানার সাথে সাথে আমরা লাশ দুইটি উদ্ধারে লোহাগাড়া যাচ্ছি।

নিহত শিশুরা হলো, কোয়ান্টাম কসমো স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র আব্দুল কাদের জিলানী (১২) ও মোঃ শ্রেয় মোস্তাফিজ (১১)। আব্দুল কাদের জিলানী চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার চকবহরম এলাকার মোঃ রজব আলীর ছেলে এবং মোঃ শ্রেয় মোস্তাফিজ ঠাঁকুরগাও জেলার সদর উপজেলার হাজী পাড়ার বুলবুল মোস্তাফিজের ছেলে।

পুলিশের সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকালে প্রচুর বৃষ্টিপাত হলে কসমো স্কুলের ছোট ছোট ৬০/৭০ জন বাচ্চা স্কুল মাঠে খেলছিল। স্কুল গুলো পাহাড়ের উপরে অবস্থিত। স্কুলের ও পাশর্^বর্তী পাহাড়ের বৃষ্টির পানি যাওয়ার জন্য স্কুল মাঠে একপাশে বড় পাইপ দিয়ে পুলু খালে পর্যন্ত প্রায় একশত ফুট দীর্ঘ পানির রাস্তা করা হয়। খেলার কোন এক ফাঁকে বাচ্চা দুইটি পাইপের মুখে গেলে ভারি বৃষ্টির প্রচুর পানির স্রোতে তারা পাইপের গর্তে পড়ে যায়। পাইপের ভিতর দিয়ে পানির সাথে গড়িয়ে পুলু খালে গিয়ে পড়ে। সেখানে তাদের মৃত্যু হয়। তবে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হতে কোয়ান্টাম কর্তৃপক্ষ তাদের লোহাগাড়া পদুয়া সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে জানতে সরই কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের অর্গানিয়ার (ব্যবস্থাপক) অ্যাডভোকেট আরিফের মুঠো ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি কল রিসিভ না করার তার বক্তব্য জানা যায়নি।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে সরই এলাকার সচেতন এক ব্যক্তি বলেন, এত ছোট বাচ্চারা অতি ভারি বৃষ্টির সময় পানিতে খেলছে। কোয়ান্টাম কর্তৃপক্ষের দায়িত্বরত লোকজন কোথায় ছিল ? বাচ্চাদের বিষয়ে তাদের অবহেলা ও উদাসীনতা রয়েছে। তাদের দায়িত্বের অবহেলার কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে।

লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ আলমগীর বলেন, আমি সরজমিনে ঘটনাস্থলে আসি। এইটি একটি আবাসিক স্কুল এন্ড কলেজ। এখানে প্রায় ১৫ শত ছেলে-মেয়ে আবাসিকভাবে থেকে লেখাপড়া করে। সকালে বৃষ্টি শুরু হলে ৬০/৭০ জন ছেলেরা বৃষ্টির পানিতে খেলতে বের হয়। কোন এক ফাঁকে দুইটি শিশু পানির পাইপে দিয়ে গড়িয়ে খালে পড়ে মৃত্যু হয়। সন্ধ্যায় লাশ দুইটি পুলিশের হেফাজতে নিয়ে প্রাথমিক সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।