[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

জানাযায় অংশ নেয় খুনিরা

পাওনা টাকা চাওয়ায় খুন হন মাটিরাঙ্গার ব্যবসায়ী আবুল বাশার

৬০

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় ব্যবসায়ী মোঃ আবুল বাশার হত্যাকান্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে আটককৃত মোঃ আব্দুস সালাম ও আনোয়ার হোসেন ওরফে সাগর। হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দিও দিয়েছে তারা।

বুধবার (২ জুন) সকালে সাংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ। তিনি জানান, পাওনা সাড়ে ৩ লাখ টাকা চাইতে গিয়ে নির্মমভাবে খুন হন ব্যবসায়ী মোঃ আবুল বাশার। হত্যার পর লাশ গুমের চেষ্টা করেছিলেন হত্যাকাীরা।

তিনি আরো জানান, নিখোঁজের এক দিন পর (গত ২৮ মে) বাড়ী থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে পাহাড়ের গভীর খাদ থেকে মোঃ আবুল বাশারের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশ। এ ঘটনায় আবুল বাশারের ছোট ভাই আবুল কালাম অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করে মাটিরাঙ্গা থানায় মামলা করেন।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ জানান, কয়েক মাস আগে ব্যবসায়ী মোঃ আবুল বাশারের কাছ থেকে ব্যবসা করার কথা বলে সাড়ে ৩ লাখ টাকার ধার নেয় প্রতিবেশী আব্দুল সালাম। কিন্তু টাকা ফেরত না দেওয়ায় দুই জনের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়।

 

আবুল বাশারকে গল্প করার কথা বলে নিজের মুরগীর খামারে ডেকে নেয় আবদুস সালাম। এক পর্যায়ে আবদুস সালাম থেকে নিজের পাওনা সাড়ে ৩ লাখ টাকা চাইলে আবুল বাশারের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আবদুস সালাম প্রথমে লাঠি দিয়ে আবুল বাশারের মাথায় আঘাত করে এবং গলায় রশি পেঁচিয়ে ধরে। এরপর অপর সহযোগী স্থানীয় মোঃ আনোয়ার হোসেন ওরফে সাগরের সহায়তায় কাঠের মোটা লাঠি দিয়ে হাত-পা বেঁধে ঝুলিয়ে ঘটনাস্থল থেকে এক কিলোমিটার দূরে নিহত আবুল বাশারের বাড়ীর পাশ্বে খাদে মরদেহ ফেলে দায়ের উল্টো দিক দিয়ে মাথার পেছনে আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর তারা পুনঃরায় খামারে ফিরে এসে ঘটনায় ব্যবহৃত আলাম ধ্বংস করে।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ জানান, মামলায় আসামী অজ্ঞাত হলেও পুলিশ তদন্তে নেমে প্রথমে আনোয়ার হোসেন ওরফে সাগরকে আটক করে। তার স্বীকারোক্তিতে অপর হত্যাকারী আব্দুল সালামকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তিতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত আলামতও উদ্বার করা হয়। তিনি জানান, হত্যাকারীরা নিজেদের আড়াল করার জন্য আবুল বাশারের লাশ উদ্বার, ময়না তদন্ত ও জানাযায়ও অংশ নেয়।