৩৭ বছরেও হয়নি রাঙ্গামাটির ভূষণছড়া গণহত্যার বিচার
॥ মোঃ আরিফুর রহমান ॥
দীর্ঘ ৩৭ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো রাঙ্গামাটির বরকল উপজেলার ভূষণছড়া গণহত্যার বিচার পায়নি নিহতের স্বজনেরা। উল্টো পাহাড়ে প্রতনিয়িত অবৈধ অস্ত্র ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি, নির্যাতন,খুন ও গুম থেকে রেহাই পাচ্ছে না পাহাড়ে বসবাসরত পাহাড়ি ও বাঙালি জনগোষ্ঠিরা।
সোমবার (৩১মে) সকালে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের সামনে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের উদ্যোগে বরকলের ভূষণছড়ার গণহত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
এসময় মানববন্ধনে মানববন্ধনে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ রাঙ্গামাটি জেলা শাখার সহ-সভাপতি আমির মোঃ সাবের এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ এর রাঙ্গামাটি জেলার সহ- সভাপতি কাজী মোঃ জালোয়া, সাধারণ সম্পাদক মোঃ সোলায়মান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দীক, পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা পরিষদ এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মোর্শেদা আক্তার, ও পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সিঃ সহ-সভাপতি মোঃ হাবিব আজম প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কাগজে কলমে শান্তিবাহিনী না থাকলেও পার্বত্য চট্টগ্রামে সশস্ত্র সংগঠনগুলোর দৌরাত্ম থেমে নেই। তাদের হাতে বাঙালীরা যেমন হত্যার শিকার হচ্ছে,তেমনি নিহত হচ্ছে পাহাড়ী জনগোষ্ঠীগুলোর মানুষজন। পাহাড়ের সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন জেএসএস ও ইউপডিএিফ এর সন্ত্রাসীরা পাহাড়ের সকল জনগোষ্ঠীকে কোণঠাসা করে রেখেছে। তারা এখন পাহাড়ের সাধারণ মানুষের কাছে মূর্তিমান আতংক। কখন কার উপর তারা আক্রমন চালাবে তা নিয়ে প্রতিনিয়ত আতংকে থাকে পাহাড়ের সাধারণ মানুষ। তাই পাহাড়ে কাঙ্খিত শান্তির সুবাতাস ফিরিয়ে আনতে পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানী, হত্যা, গুম,খুন, ধর্ষণ ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে এখনই রাষ্ট্রীয় পদক্ষপে গ্রহন করতে হবে।
উল্লেখ্য, ১৯৮৪ সালের এই দিনে দুর্গম রাঙ্গামাটির বরকল উপজেলার ভূষণছড়ায় নৃশংস গণহত্যার ঘটনা ঘটে। এর জন্য দায়ী করা হয়, জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (পিসিজেএসএস) সশস্ত্র শাখা শান্তি বাহিনীকে।